রাজাদের গল্প-১০ চীনা রাজার ১০ ভিন্ন কাহিনী

800px-Forbidden_City_Beijing_Shenwumen_Gateকিন রাজবংশের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত (খ্রিস্টপূর্ব ২১২ – খ্রিস্টাব্দ ১৯১২) প্রায় শতাধিক রাজা চীন কে শাসন করেন । তাঁদের অধিকাংশই ছিলেন চাইনিজ । কিছু ছিলেন মঙ্গোলীয় এবং মাঞ্চু । তাঁদের কেউ কেউ জোর পূর্বক সিংহাসন দখল করেছিলেন । তবে অধিকাংশই সিংহাসন পেয়েছিলেন উত্তোরাধিকার সূত্রে । তাঁরা চীনকে আমূল পরিবর্তন করেছিলেন । তাদের অনেকেই ছিলেন বুদ্ধিমান এবং মেধাবী । আবার কেউ কেউ ছিলেন নিষ্ঠুর এবং অলস ।

১। তোঘন তেমুর

তিনি ১২৭১ সালে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। মঙ্গোল শাসিত ইউয়ান রাজবংশ প্রায় পুরো শতাব্দী চীনকে শাসন করে । যদিও মঙ্গোলরা কিছু চৈনিক সংস্কৃতি গ্রহণ করেছিল কিন্তু সেগুলো তাদের পূর্ব পুরুষ থেকে ভিন্ন কিছু ছিল না । চার আমলের সমাজতান্ত্রিক যাজক শাসনের পর মঙ্গোলরা রাজ্যশাসনে আসে । এর মাঝে রাজ্যশাসন করেছে পশ্চিম এশিয় মুসলমানেরা ,উত্তর এবং দক্ষিনের চীনারা । মঙ্গোলরা তাদের সংস্কৃতিকে ভুলে যেতে চাইতো না । বরং তারা চীনাদের সাথে একটা পার্থক্য বজায় রাখতো এবং বিভিন্ন ধরনের আইন প্রনয়ন করতো । এই সকল আইনের কারনে চীনারা হতাশ হয়ে পড়ে এবং মঙ্গোল শাসন ব্যাবস্থা অজনপ্রিয় হয়ে পড়ে । ইউয়ান শাসকেরা অযোগ্য এবং অনুপুযুক্ত হিসাবে বিবেচিত হয় ।

মাত্র ১৩ বছর বয়সে তেঘন তৈমুর সিংহাসনে আরোহন করেন । তিনি যৌনতা এবং বুদ্ধিস্ট স্পিরিচুয়ালিজমে আকৃষ্ট ছিলেন । তার প্রজারা যখন প্লেগ এবং খাবারের অভাবে মারা যাচ্ছিল তখন তৈমুর অনেকগুলো পতিতালয় তৈরি করেছিলেন । যখন চীনে বিপ্লব শুরু হলো তখন তৈমুর এবং তার মন্ত্রী মিলে এক অদ্ভুত সিদ্ধান্ত নিলেন । যাদের নামের শেষে য্যাং ,ওয়াং লিউ , লি এবং হাও থাকবে তাদেরকে গনহারে মেরে ফেলবেন । যদি পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হতো তাহলে শতকরা ৯০ ভাগ জনসংখ্যা মারা পড়তো । ১৩৬৮ সালে বিপ্লবি চাইনিজ আর্মি প্রায় পুরো দেশ দখল করে ফেলে এবং তৈমুর মঙ্গোলিয়া পালিয়ে যান । ১৩৭০ সালে তিনি সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন ।

২। হং উ

চাইনিজ আর্মির বিপ্লবি নেতা হু জিয়াং হ্যাং যিনি পরবর্তীতে হং উ নাম ধারন করে সিংহাসনে আরোহন করেন এবং মিং রাজবংশের সুচনা করেন । ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি খুবই পাগলাটে ,নিষ্ঠুর এবং রুড় স্বভাবের মানুষ ছিলেন । হং উ প্রথম জীবনে ছিলেন একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু । মাত্র ১৬ বছর বয়সে মা বাবাকে হারিয়ে তিনি সন্ন্যাস গ্রহণ করেন । ১৩৫২ সালে তিনি চাইনিজ আর্মিতে যোগদান করেন এবং খুব তাড়াতাড়ি পদোন্নতি পেয়ে চাইনিজ আর্মির শীর্ষ পর্যায়ের নেতা হন । ১৩৬৮ সালে তিনি তৎকালীন দাইদু , বর্তমান বেইজিং দখল করেন ।

ক্ষমতায় এসে হং উ মঙ্গোলীয় প্রথা সংস্কৃতি দূরীকরণে উঠে পড়ে লাগেন । ১৩৬৯ সালে তার নির্দেশে চীনে অনেকগুলো পাবলিক স্কুল গড়ে উঠে যেখানে ছাত্রদের চীনা লিপি পড়ানো হতো । তিনি কর পদ্ধতিকে পুনর্গঠন করেন যা তার মৃত্যুর পূর্বে ১৩৯৮ সাল পর্যন্ত বহাল ছিল ।

এতকিছুর পরেও সম্রাট  হং উ তার কিছু নিষ্ঠুর এবং পাগলাটে আচরণের জন্য সমালোচিত হয়েছেন । যে কেউ তার সমালোচনা করতো তাকে উন্মুক্ত করে আদালতে হাজির করা হতো এবং মাথা ন্যাড়া করে দেয়া হতো । সম্রাট হং উ তার আমলাদের অবিশ্বাস করতেন এবং তাঁকে উৎখাতের যে কোন ষড়যন্ত্র নিষ্ঠুরভাবে মোকাবেলা করতেন । একবার এক আমলার ষড়যন্ত্র তাঁর কাছে ফাঁস হয়ে যায় । তিনি ওই ব্যাক্তির মাথা কর্তন করেন এবং তার পরিবারের সকলকে হত্যা করেন ।

৩। ওয়াং ম্যাং

চীনের প্রথম সমাজতান্ত্রিক সম্রাট যিনি ৯ অব্দে জিং রাজবংশের সুচনা করেন । তিনি একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী ,সমাজ সংস্কারক ছিলেন এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন । তিনি যখন ক্ষমতায় আসেন তখন চীনের বেশিরভাগ মানুষ দুর্ভিক্ষে পতিত হয়েছিল । তিনি চীনের ধনী ব্যাবসায়ীদেরকে নির্দেশ দিলেন তাদের অতিরিক্ত সম্পদগুলো জনসাধারণের মাঝে বণ্টন করে দেয়ার জন্য । তিনি দাস কেনা বেচা বন্ধ করেন । স্বভাবতই চীনের ব্যবসায়ী এবং উচু শ্রেণীর মানুষেরা তার কাজে আগ্রহী হয়নি     । বরং তাদের মাঝে অসন্তোষ বাড়ছিল । এক্সময় সেটা গৃহযুদ্ধে রূপ নেয় ।২৩ অব্দে ওয়াং বুঝতে পারেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেছে । বিদ্রোহীরা রাজধানীর দিকে অগ্রসর হতে থাকে । ৭ অক্টোবর তারা ওয়াং এর প্রাসাদ দখল করে নেয় । তাকে আটক করা হয় এবং পরবর্তীতে  মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ।

৪। জুয়ান জং

তাং রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা । চীনকে শাসন করেন ৪৩ বছর । তাঁর শাসনামলের কিছু সময় খারাপ গেলেও জুয়ান জং এর শাসনামলকে চীনের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচনা করা হয় । ৭১২ সালে জুয়ান জং সিংহাসনে বসেন । তিনি ৭৫৫ সাল পর্যন্ত চীনকে শাসন করেন । জুয়ান জং আমলা তন্ত্রের বিলোপ ঘটান এবং যোদ্ধাদেরকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে নিয়ে আসেন । পরের বছর গুলোতে জুয়ান জং সরকারী কাজে মনোযোগ হারিয়ে ফেলেন । তিনি অধিকাংশ সময় ইয়াং গুফেই এর সাথে অভিসারে যেতেন । গুফেই ছিলেন তাঁরই পুত্রবধূ । তরুণী গুফেই সম্রাটের ক্ষমতার সুযোগ নিয়েছিলেন । প্রায়ই তিনি নিজের আত্মীয় স্বজনদের সম্রাটের ক্ষমতা ব্যবহার করে সাহায্য করতেন । এক সময় ইয়াং গুফেই প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেলেন । তার দত্তক পুত্র আন লুসান হয়ে গেলেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ।

৭৫৫ সালে আন লুসান এবং ইয়াং গুজং মিলে তাং সরকারের বিরুদ্ধে একটি বিদ্রোহের সূচনা করেন । শহর অবরুদ্ধ করতে শুরু করলে জুয়ান জং এবং ইয়াং গুফেই পালিয়ে যান । একটা নির্জন গ্রামে তারা সেনাবাহিনীর হাতে আটক হন । ইয়াং গুফেই এর বিরুদ্ধে আন লুসান কে বিদ্রোহে উৎসাহিত করার অভিযোগ আনা হয় । তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় । প্রিয়তমার মৃত্যুতে সম্রাট জুয়ান জং হতাশ হয়ে পড়েন । এর পরে কি হয়েছিল সেটা আর ইতিহাসে বলা নেই ।

৫। জিয়ান ওয়েন

জিয়ান ওয়েন ছিলেন মিং রাজবংশের ২য় সম্রাট । হং উ এর মৃত্যুর পর ১৩৯৮ সালে তিনি শাসন ক্ষমতায় আসেন । তাঁর চাচা ঝু ডি ব্যাপারটি মেনে নিতে পারেননি । ঝু ডি ছিলেন একজন সফল সেনা নায়ক । চীন থেকে মঙ্গোলদের বিতারনে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল । ঝু ডি একটি বিদ্রোহী বাহিনী গঠন করে চীনের উত্তরাংশ দখল করে ফেলেন । প্রায় ৩ বছর জিয়ান ওয়েনের সাথে যুদ্ধ করার পর তিনি ১৪০২ সালে নাঞ্জিং শহরটি দখল করেন । বিদ্রোহের সময় জিয়ান ওয়েনের প্রাসাদটি ধ্বংস হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে কেউ জিয়ান ওয়েনের দেখা পাননি । ঝু ডি দাবী করেন তার ভাতিজা আগুনে পুড়ে মারা গেছেন ।এই ঘটনার চার দিন পর ঝু ডি নিজেকে চীনের সম্রাট হিসাবে দাবী করেন । যদিও অনেকেই বিশ্বাস করতো জিয়ান জু আগুনে পুড়ে মারা যাননি । বরং চীন থেকে পালিয়ে গেছেন । ঝু ডি তার পূর্বপুরুষদের ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করেন এবং হং উ র রাজত্বে তার অবদান তুলে ধরে নতুন ইতিহাস রচনার চেষ্টা করেন । তবে সম্রাট জিয়ান জুর আকস্মিক অন্তর্ধান ইতিহাসের পাতায় এখনো রহস্য হয়েই বেঁচে আছে ।

৬। ঝেং ডি

তাঁর অন্য নাম ছিল উ ঝং । সম্রাট উ ঝং ছিলেন যৌনতায় আসক্ত । তিনি বহু নারীকে অপহরণ এবং ধর্ষণ করেছেন ।কথিত আছে ,সম্রাট উ ঝং একবার যুদ্ধ শেষ করে ফেরার পথে এতো নারীকে ধর্ষণ করেছিলেন যে তার হিসাব নেই । অনেক ইতিহাসবিদ বলেন যে সেই সময়ে তার আতংক এতোটাই চরমে উঠেছিল যে কোন পরিবার তাদের মেয়েকে যে কোন ছেলে দেখেই বিয়ে দিয়ে দিতো । উ ঝং এতটাই নারী আসক্ত ছিলেন যে তার প্রাসাদে আর মেয়েদের জায়গা হচ্ছিল না । তিনি লিওপারড প্যালেস নামে নতুন একটা প্রাসাদ নির্মাণ করেন । দিনের বেশির ভাগ সময় সেখানেই কাটাতেন তিনি । এমনও গুজব শোনা যায় ,সম্রাট উ ঝং তার নিজের দাস ওয়াং উই এর সাথেও যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন । ১৫২০ সালের এক শরতে , নৌকা থেকে পড়ে গিয়ে সম্রাট উ ঝন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তিনি আর সুস্থ হন নি । এবং এই অবস্থাতেই লিওপারড প্যালেসে মৃত্যুবরণ করেন ।

৭। জিয়া জিং

সম্রাট জিয়া জিং ১৫২১ থেকে ১৫৬৭ সাল পর্যন্ত চীন কে শাসন করেন । তার সময়ে চীন বেশ ভালো উন্নতি করে ।জিয়া জিং তার উপপত্নী দ্বারা খুন হতে বসেছিলেন । নভেম্বর ২৭। জিয়া জিং তার এক উপপত্নীর ঘরে ঘুমচ্ছিলেন । এমন সময় তার ১৮ জন সেবাদাসী সেখানে প্রবেশ করে এবং গলায় ফিতা বেঁধে হত্যার চেষ্টা করে । সেই সময়ে ভাগ্য জোরে সম্রাট বেঁচে যান ,কারন ফিতার জোর যথেষ্ট ছিল না । মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরে আসার পর জিয়া জিং প্রাসাদ ত্যাগ করেন এবং লিওপারড প্যালেসের কাছে নিজের ব্যাক্তিগত প্রাসাদে চলে যান । জীবনের বাকি ২৫ বছর তিনি কাজ কর্ম থেকে দূরে থাকেন । তিনি এক প্রকারের “”যাদুকরী “ পানিয় পান করতেন যেটা বডি ফ্লুইড থেকে তৈরি হয় ।

৮। উ জিটিয়ান

চীনের ২ হাজার বছরের ইতিহাসে একমাত্র সম্রাজ্ঞী যিনি চীনকে শাসন করেছেন নিজের নামের পাশে কোন উপাধি না নিয়েই । তা শাসনামলে চীন স্থিতিশীল ছিল । যদিও তিনি অনেক নিষ্ঠুর একজন সম্রাজ্ঞী ছিলেন কিন্তু কিছু ভালো কাজের জন্য ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে । উ জিটিয়ান ছিলেন কূটবুদ্ধিসম্পন্ন মহিলা । তিনি ৬৫৫ সালে নিজের ৭ দিন বয়সী ছেলেকে খুন করেন এবং সেই খুনের দায় চাপান তৎকালীন সম্রাট গাও জং এর স্ত্রীর উপর । ঊ জিটিয়ান সারাদেশে “” সাজেশন বক্স “’ এর প্রচলন করেন যেখানে জন সাধারন সকল বিষয়েই মতামত প্রদান করতে পারতো । তার একটা গোপন পুলিশ বাহিনী ছিল যেটা দিয়ে তিনি শত্রুদের দমন করতেন । ৭০৫ সালে তিনি সিংহাসন থেকে তার এক পুত্রের মাধ্যমে অপসারিত হন ।

৯। তাইচ্যাং

মিং রাজবংশের সর্বশেষ রাজা  যিনি মাত্র ১ মাসের কিছু বেশি সময় শাসন করেছেন । ১৬২০ সালের ২৮ অগাস্ট তিনি  খমতায়াসেন । এর কিছুদিন পরেই তাইচ্যাং অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হন । তিনি চলা ফেরার শক্তি হারিয়ে ফেলেন । তিনি ঘুমোতে পারতেন না। তাইচ্যাং আরোগ্য লাভ করতে অস্থির হয়ে উঠলেন । লি কেসাও নামে এক লোক তাকে বিশেষ “”লাল পিল “” গ্রহনের পরামর্শ দেন । ব্যাকুল সম্রাট না বুঝেই সেটা গ্রহণ করেন । অবাক হলেও সত্যি যে তিনি খুব দ্রুতই আরোগ্য লাভ করতে থাকেন । তার ঘুমের সমস্যা দূর হলো । বিকেল বেলা তিনি আবার অসুস্থ হয়ে গেলেন এবং আবার একটি পিল গ্রহন করেন । এইবার পিল কাজ করলো না । তাইচ্যাং সকালের মধ্যেই মারা গেলেন ।

মজার ব্যাপার হলো যিনি তাকে পিল গ্রহণ করতে বলেছিলেন সেই লি কেসাও কোন ডাক্তার কবিরাজ ছিলেন না । তার কোন চিকিৎসা বিষয়ক জ্ঞানও ছিল না । তথাপি সেই পিলের কারনেই সম্রাট মারা গেছেন এমন কোন প্রমাণও পাওয়া যায় না । তবে অনেকেই লি কেসাও কে রাজার মৃত্যুর জন্য দায়ী করে থাকেন ।

১০। জুয়ান টং

চীনের সর্বশেষ সম্রাট। তাঁর আসল নাম হেনরী পুয়ি । মাত্র ৩ বছর বয়সে তিনি সিংহাসনের উত্তরাধিকার লাভ করেন । ১৯১১ সালে গণতান্ত্রিক বিপ্লবের পর চীন সমাজতান্ত্রিক দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে এবং রাজতন্ত্রের বিলোপ ঘটে। ফলে পুয়ি তার ক্ষমতা হারানক।১৯২৪ সালে তাকে জোর পূর্বক তিয়ানজিনে পুনর্বাসন করা হয় । তিয়ানজিনের দুটো অংশ ছিলস। পুয়ি জাপানের অংশে অবস্থান করতেন। এবং ১৯৩২ পর্যন্ত তিনি সেখানেই অবস্থান করেন । ১৯৩২ সালে জাপান মাঞ্ছুরিয়ার নিয়ন্ত্রণ পায় । সেখানে তারা পুয়িকে সম্রাট হওয়ার আমন্ত্রন জানায় ।

২য় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর সোভিয়েত ইউনিওন তাকে আটক করে এবং ৫ বছরের জন্য কারাগারে পাঠায় । তাঁকে যুদ্ধাপরাধী হিসাবে চিহ্নিত করে আটক রাখা হয় । ১৯৫০ সালে সোভিয়েত ইউনিউন তাকে চীনের কাছে ফেরত দেয়। প্রায় ১ দশক তিনি কারাগারে অবস্থান করেন । কারাগার থেকে বের হওয়ার পর হেনরী পুয়ি একজন মালি হিসাবে জীবিকা নির্বাহ করতে থাকেন । ১৯৬৭ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান ।

লেখক সম্পর্কেঃ আরাফাত আব্দুল্লাহ । লেখালেখির সাথে যুক্ত আছি । কিছু অনুবাদের কাজ করেছি । প্রিয় কাজ সমসাময়িক বিষয়ের উপর লেখালেখি করা ।