বাংলাহাব ব্লকবাস্টার- হলিউডের ১০ রোমান্টিক মুভি

রোমান্টিক ছবি দেখতে ইচ্ছে করছে কিন্তু কি দেখবেন তা মাথায় আসছে না? অবসর সময়ে বসে দেখে ফেলতে পারেন চমৎকার কয়েকটি হলিউডের রোমান্টিক ছবি।
 
১: ইউ হ্যাভ গট মেইল (You’ve got mail)
 
টম হ্যাংকস এবং মেগ রায়ান অভিনীত এই ছবিটি আপনার মনকে প্রশান্তিতে ভরে তুলবে। দুইজন দুই প্রান্তের মানুষ কিভাবে এক বিন্দুতে এসে মিলে যায়, এই ছবিটিতে তাই দেখতে পাবেন। সবচেয়ে মজার কথা হচ্ছে, ছবিতে নায়ক নায়িকার পরিচয় হয় ইন্টারনেট চ্যাট রুমে। ১৯৯৮ সালের এই  ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। ইন্টারনেট তখন একটু একটু জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। নির্মল এই রোমান্টিক ছবিটি নিশ্চয়ই আপনার মনে জায়গা করে নেবে।
 
 
২: প্রিটি উম্যান (Pretty woman) 
 
জুলিয়া রবার্টস এবং রিচার্ড গেয়ারের এই মুভিটিকে সর্বকালের সেরা রোমান্টিক মুভি বলা হয়ে থাকে। গ্যারি মার্শাল পরিচালিত এই ছবিটিতে একেবারে অন্যরকম একটি ভালোবাসার গল্প দেখানো হয়েছে। ঠিক যেন আধুনিক যুগের রূপকথা। অন্ধকারে আটকে পরা প্রাণোচ্ছল একটি মেয়ে ভিভিয়ান কে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বিশাল ধনবান ব্যবসায়ী এডওয়ার্ড লুইস। এই ছবিটে অভিনয় করে অস্কার পেয়েছিলেন জুলিয়া রবার্টস।
 
৩: ব্রেকফাস্ট আ্যট টিফানিজ ( Breakfast at Tiffany’s)
 
 
অড্রে হেপবার্নের এই চলচ্চিত্রটি আজ ও সবার মাঝে প্রচন্ড জনপ্রিয়। এই ছবিতে অভিনয় করেই তিনি নিজেকে ফ্যাশন আইকন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। অড্রে হেপবার্নের অভিনয় নিয়ে নতুন করে কিছুই বলার নেই। নিউইয়র্ক শহরের উচ্চবিত্তদের জীবনের পটভূমিতে নির্মিত এই ছবিতে দেখতে পাবেন একটি মেয়ে এবং তার জীবনের সত্যিকার ভালোবাসা খুঁজে পাওয়ার গল্প। এই ছবিটির মুন রিভার গানটি আ্যকাডেমী আ্যওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছিলো।
 
৪: লা লা ল্যান্ড ( La La Land )
 
এমা স্টোন এবং রায়ান গসলিং অভিনীত এই অসাধারণ ছবিটির কথা এখন সবার মুখে মুখে। স্ট্রাগলিং মিউজিশিয়ান এবং অভিনেত্রী কিভাবে পরস্পরের জীবনে নিজেদের জায়গা করে নেয় তা দেখতে পাবেন এই মুভিতে। অসাধারণ সব গান, দুর্দান্ত পরিচালনার জন্য এক মূহুর্তও নিজের চোখ ফেরাতে পারবেন না। শেষ দৃশ্যতো হৃদয় ছুঁয়ে যায়। মিউজিক্যাল মুভিগুলোর মধ্যে এটি একটি মাস্টারপিস।
 
৫: এ ওয়াক টু রিমেম্বার (A walk to remember)
 
বিশাল ধনীর ছেলে বখাটে ল্যান্ডন কার্টার আর তাদের ছোট্ট শহরের রেভারেন্টের আদরের মেয়ে জেমি। ঘটনাচক্রে ল্যান্ডন জেমির সংস্পর্শে আসে এবং গভীরভাবে ভালোবেসে ফেলে তাকে। জেমিও ল্যান্ডনকে ভালোবেসে ফেলে। কিন্তু ভাগ্যে লেখা ছিলো অন্য কিছু। নিকোলাস স্পার্কসের লেখা এই অসাধারণ উপন্যাসের আদলে তৈরী এই ছবিতে অভিনয় করেছেন শেন ওয়েস্ট এবং একাধারে সঙ্গীতশিল্পী এবং অভিনেত্রী ম্যান্ডি মুর।  ছবিটি পরিচালনা করেছেন আ্যডাম শ্যাঙ্কম্যান।
 
৬: দ্যা ওয়ে উই ওয়্যার (The way we were)
 
হলিউডের বিখ্যাত রোমান্টিক মুভিগুলোর মধ্যে এটি একটি।  ছবিটিতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন রবার্ট রেডফোর্ট এবং বারবারা স্ট্রাইসেন্ড। ভালোবাসার উপর ভিত্তি করেই সমস্ত সম্পর্ক দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু সম্পর্ক শেষ হয়ে গেলেই কি ভালোবাসা শেষ হয়ে যায়? এই প্রশ্নের উত্তর এই ছবিতে পেয়ে যাবেন। মন ছুঁয়ে যাবে বারবারা স্ট্রাইসেন্ডের গাওয়া “দ্যা ওয়ে উই ওয়্যার” গানটি। এই গানটি এখনো একটি সেরা রোমান্টিক গান হিসেবে পরিচিত। এই গানটির জন্য বারবারা স্ট্রাইসেন্ড আ্যকাডেমী আ্যওয়ার্ড পেয়েছিলেন।
 
৭: ফিফটি ফার্স্ট ডেটস (Fifty First Dates)
 
একটি মিষ্টি মেয়ে লুসি, তার জীবন একটি দিনে আটকে আছে। মেয়েটি ভুগছে মেমরি লসে, রাতে ঘুমিয়ে পরলে এর আগের দিনের কোন স্মৃতিই তার থাকে না। তার জীবনে আসে হেনরী রথ নামের একজন পশু চিকিৎসক। হেনরী ভালোবেসে ফেলে লুসিকে। ছবিটা দেখতে দেখতে একসময় আপনার মনে হবে, এত তীব্র ভাবেও কাওকে ভালোবাসা যায়! ছবিটিতে অভিনয় করেছেন ড্রু ব্যারিমোর এবং আ্যডাম স্যান্ডলার।
 
৮: ঘোস্ট (Ghost)
 
ব্যাংকার স্যাম হুইট ভালোবাসে মলিকে। এক রাতে ডিনার সেরে আসার বাড়ি ফিরে আসার পথে খুন হয় স্যাম। কিন্তু অপঘাতে মৃত্যুর জন্য পৃথিবীতে আটকে যায় স্যাম। নিজের মৃত্যুরহস্য উদ্ধার করে, বিপদের হাত থেকে বাঁচায় মলিকে। মৃত্যুর পরেও সে সমানভাবে ভালোবেসে যায় মলিকে। মুভিতে স্যামের চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্যাট্রিক সোয়েজি এবং মলির চরিত্রে অভিনয় করেছেন ডেমি মুর। ছবিটি দুইটি ক্যাটাগরিতে আ্যকাডেমি আ্যওয়ার্ড এবং গোল্ডেন গ্লোব সহ অন্যান্য পুরষ্কার পেয়েছে।
 
৯: আ্যন আ্যফেয়ার টু রিমেম্বার ( An affair to remember) 
 
প্রাণোচ্ছল যুবক নিকি ফেরান্টের সাথে চিত্রশিল্পী টেরি এর দেখা হয় জাহাজে। প্রথমে ভালোলাগা, পরে ভালোবাসা। দুজনে সিদ্ধান্ত নেয়, ছয়মাস পর দেখা করবে নিউইয়র্কের এ্যাম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং এর অবজারভেশন ডেস্কে। কিন্তু ভাগ্যে লেখা ছিলো অন্য কিছু। হলিউডের অন্যতম ক্লাসিক এই রোমান্টিক ছবিতে অভিনয় করেছেন ক্যারি গ্রান্ট এবং দেবোরাহ কের। ছবিটি মুক্তি পেয়েছিলো ১৯৫৭ সালে।
 
১০: সিটি অব এঞ্জেলস (City of angels)
 
সেথ একজন এঞ্জেল। অর্থাৎ সেথ একজন ঈশ্বরের দূত যার কাজ হচ্ছে মৃত্যুর পর আত্মাদের অন্য জগতে যেতে সাহায্য করা। অন্য আরো অনেকে এঞ্জেলের মতো সে শহরে অদৃশ্য হয়ে ঘুরে বেড়ায়। তারপর তার দেখা হয় ম্যাগি রাইস এর সাথে যে একজন কার্ডিওলজিস্ট। সেথ তাকে ভালোবেসে ফেলে এবং সিদ্ধান্ত নেয় অমরত্ব বিসর্জন করে মানুষ হওয়ার। বাকি কাহিনী জানতে চাইলে দেখে ফেলতে পারেন এই চমৎকার ছবিটি। সেথ এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন নিকোলাস কেজ এবং ম্যাগি রাইসের  এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মেগ রায়ান।