২০ টি বাক্য এবং কিছু গল্প

# ইন্টারনেটের কল্যাণে তাদের পরিচয়। অতঃপর সুন্দর একটি বন্ধু্ত্ব, ভাল কিছু সময় । সময় ঠিকই আছে , শুধু নেই তারা দুজন। #

# ক্যান্টিনের সেই আড্ডা , গীটারের আওয়াজ । একদল তরুণ বন্ধুদের দেখে মনে পড়ে যায় সেই রঙ্গিন ৪ টি বছর । #

# পথচলার ৪ বছর । পুরো অস্তিত্ব তার দখলে । আজ তার জন্মদিন । কেক হাতে দাঁড়িয়েছি । শুধু হাসছে সে । ছবিতো আর কথা বলতে পারেনা । #

# যে মানুষটি বৃষ্টি ভালবাসতে শিখিয়েছে আজ তার ভাবলে দুচোখ বেয়ে বৃষ্টি নামে । সত্যি অকল্পনীয় ছিল । #

# স্কুলের সেই ছোট্ট গেইট , ছুটির ঘণ্টা । সব আজো কতো রঙ্গিন । শুধুমাত্র স্মৃতির পাতায় । স্মৃতি নামক বইটি কখনো পুরনো হয়না । #

# স্কুল যাওয়ার সময় মেয়েটি বাবার আঙ্গুল কিছুতেই ছাড়তোনা । আজ তারই মতো আরেকটি পরি বলছে ‘ দাদু তোমার চশমা ।#

# অনেক সারটিফিকেট , অনেক ডিগ্রী থাকার সত্ত্বেও চাকরিটা কাছে আসছেনা । ঝকঝকে নোট কাছে নেই , কি করে সে কাছে আসবে । #

# বাংলা আমার মাতৃভাষা , তাতে কি । আমি তোমাদের মতো কি অশিক্ষিত , শুধু বাংলা বলব । হিন্দি , ইংলিশ ছাড়া তো বদহজম হওয়ার উপক্রম হয় । #

# আদি, তোর মায়ের জ্বরের ওষুধ গুলো নিয়ে আয় তো । দাঁড়াও বাবা । আগে ফেসবুক এ স্ট্যাটাস দিয়ে আশীর্বাদ চেয়েনি তারপর আনছি । #

# “ ট্রাফিক আইন মেনে চলুন “ এই বিষয়ে আজ বক্তৃতা আছে । ড্রাইভার , ট্রাফিক পুলিশ কে বল গাড়িটা সামনে যেতে দিতে । জ্যাম হোক । আমার কি । #

# মেয়েদের সন্ধার পর বেরুতে নেই । মা , তাহলে তোমার ছেলেদের ঘরে আটকে রাখ । তাহলে তো আমি বাইরে সুরক্ষিত থাকব । তাই না মা ? #

# কবে যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন একটি দেশ পাব । এই বিষয়ে আলোচনা চলছে । অত কষ্ট করে কেউ ডাস্টবিনে বাদামের খোসা না ফেলে আশেপাশেই ফেলছে । #

# দেখতো মা , সে সন্ধ্যা ৬.০০ টা থেকে লোড শেডিনং । রাত ১১.০০ টা বাজতে চললো । “ ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনাটা শিখতেই পারছিনা । পরিক্ষাই লিখতে হবে তো । #

# মেয়ের জন্য ভাল প্রস্তাব । বিলেত ফেরত ডাক্তার । সবাই খুশি । মেয়ের আজ এম-এ রেজাল্ট বেরিয়েছে। সেটা আর এমন কি । #

# স্মৃতির দরজায় তালা লাগিয়ে দিব । আর খুলে দেখবনা । একি , চাবিটাতো হারিয়ে গেছে । একটু হাওয়াতে দরজাটা আবার খুলে গেল । #

# সারাদিন রোজা রেখে গাড়ি চালিয়েছি । বাড়ি ফিরে মসজিদ যাব । রাহিম , সব যাত্রীদের থেকে ভাড়া ১০ টাকা বেশি নিবি । #

#তুমি কি ক্লাস এ নতুন – কথাটির উত্তর দিয়ে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছিলাম । আজ সে একটু চুপ থাকলেই হাজার চিন্তা মনে ভিড় জমাতে থাকে । #

# আমার কাছেতো অনেক ডিগ্রী আছে । আমি শিক্ষিত । তাই বাবার বয়সী রিক্সচালককে তুই করে বলতে আমার বিবেকে বাধেনা । #

# আমিতো পুরুষরুপী নরপশু । মেয়েটি পাঁচ বছর হোক বা পঞ্চাশ । আমার পশুত্বতো আমায় দেখাতে হবে । আমারও যে মেয়ে আছে তা মনে রাখার কি দরকার । #

# মেয়েটা আমার মাথা ব্যাথায় কি কষ্ট পাচ্ছে । ছেলের বউ টা অলস । ১০৩ ডিগ্রী জ্বর এমন কি আর । কাজ ফেলে শুয়ে থাকতে হবে নাকি । #

# পণের পরিমাণ বেশি হলে ভারী  লক্ষ্মী বৌমা । আর কম হলে ভিক্ষারির মেয়ে কেন যে বউ করে আনলাম । #

# ঈদ এ ৫-৬ টি পোশাকতো লাগবেই । কিন্তু যে মেয়েটি সারাদিন বাড়ির কাজ করে তার জন্য ১ টি কিন্তেও হাজার বার ভাবতে হয় । #

# আমার কাছে যা অধিকার মনে হতো সময়ের বিবর্তনে তোমার কাছে তা অনধিকার চর্চা , নিতান্তই বোকামি । #

# নবীন বরণে লাল শাড়ি পরা মেয়েটির দিক থেকে চোখ সরছিলনা । শুভদৃষ্টির এই ক্ষণে দাঁড়িয়ে মনে পড়ছে সেই দিনটির কথা । #

ভাগ্যিস তোমায় খুঁজে পেয়েছিলাম । কথাটি শুনতে ভাল লাগতো । আজ তার কাছ থেকেই শুনতে হয় , “জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল তুমি” । #

# একটা সময় ছিল যখন সামান্য মন খারাপে সে অস্থির হয়ে যেত । আজ মন খারাপের মুখ্য কারণটি সে ।সত্যি অবাক হওয়ার মতো । #

# রাস্তার ১০ বছরের শিশুটি দুটো টাকার জন্য সারাদিন ফুল বিক্রি করে । আর গাড়ির ভেতরের শিশুটি নতুন খেলনার বাহানা ধরে । #

# “ইভটিজিং বন্ধ করুন । ব্যানার হাতে মানববন্ধনে একদল যুবক । তাদের একজন বলছে দেখ কি সুন্দর পাখি যাচ্ছে । বাকিদের মেয়েটির দিকে তাকিয়ে অট্টহাসি ।#

# ইতিহাস বইটি খুলে চুপচাপ বসে আছে বাবু ।সে কিছুতেই বুঝতে পারছেনা গতবছর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়ল একরকম এই বছর ভিন্ন কেন । #

# মা বৃদ্ধাশ্রমে গরমে কষ্ট পাচ্ছে আর ছেলে তার ফ্ল্যাটে নতুন আরেকটি এয়ার কুলার লাগানোর পরিকল্পনা করছে । #

# পুরনো হাসপাতাল , স্যাঁতস্যাঁতে বিছানা । পেতের ব্যাথাটাও বেড়েছ । ডাক্তারবাবুর ১০ টায় আসার কথা । এখন ১২ টা । তাতেকি গরিবদের কি আর যন্ত্রণা কি আর সময় #

# মা , দেখ আমাদের লোকগান গুলো কতটা সুন্দর । মা চ্যানেল পাল্টে দিয়ে বলে এইসব গ্রামের গান শুনতে হবেনা । বিদেশী গানের চ্যানেল নাম্বার টা বলত । #