এডলফ হিটলার সমন্ধে কিছু অজানা তথ্য এবং তার বিখ্যাত কিছু উক্তি…

হিটলার সম্পর্কে অজানা কিছু মজার তথ্যঃ

হিটলার ছিলেন রহস্যের আধার। তার সম্পর্কে তার সময়ের লোক খুব কমই জানত। বাংলাহাবের পাঠকদের জন্য তার জীবনের এমন কিছু অজানা দিক তুলে ধরা হল-

  • হিটলার ১৯৩৯ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন!
  • হিটলারের প্রথম ভালোবাসা ছিল একজন ইহুদী তরুণী। কিন্তু সাহসের অভাবে হিটলার তার মনের কথা ভালবাসার মানুষটিকে জানাতেই পারেন নি! অথচ এই ব্যক্তিই কিনা পরবর্তীতে লক্ষ লক্ষ ইহুদী হত্যার নেতৃত্ব দিয়েছেন!
  • হিটলারকে একবার তার বন্ধু আর্নেস্ট স্টেঙ্গল মুখের গোঁফ কেটে ফেলতে বলেছিলেন। হিটলারের জবাব ছিল- “এটা যদি এখনো ফ্যাশন না হয়ে থাকে তবে এখন থেকে এটা ফ্যাশন হবে, কারণ আমি এভাবে রেখেছি”।
  • ১৯৩৮ সালে আমেরিকার বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন তাকে ‘পার্সন অব দ্য ইয়ার‘ ঘোষণা করেছিল!
  • আধুনিক ইতিহাসে হিটলারই প্রথম ধূমপান-বিরোধী প্রচারণা শুরু করেন।
  • হিটলারের গ্যাস্টিকের সমস্যা ছিল মারাত্মক। মন্ত্রীসভায় তার ঘন ঘন বায়ু দূষণ নিয়ে বেশ কিছু মুখরোচক গল্প শুনতে পাওয়া যায়। কথিত আছে, প্রতিদিন তিনি প্রায় ২৮ ধরনের ওষুধ খেতেন!
  • হিটলার ক্ষমতায় থাকাকালে প্রত্যেক নব-দম্পতির বিয়েতে সরকারের পক্ষ থেকে হিটলারের লেখা আত্মকথা ‘মাইন ক্যাম্ফ‘ বইটি উপহার দেয়া হত!
  • হিটলারের অণ্ডকোষ ছিল একটি!
  • হিটলার প্রতিদিন ২ পাউন্ড চকলেট খেতেন!
  • হিটলার নিজে নিরামিষভোজী ছিলেন। এমনকি প্রাণী হত্যাকে নিষিদ্ধ করে আইনও প্রণয়ন করেছিলেন তিনি!
  • চার বছর বয়সে হিটলারকে পানিতে ডুবে মারা যাবার হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন এক পাদ্রী।
  • হিটলার কখনো গাড়ি চালানো শিখেন নি। গাড়ি চালাতে ভয় পেতেন খুব। কিন্তু ভক্সওয়াগন গাড়ির আধুনিকায়নে তিনি গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
  • প্রথম বিশ্বযুদ্ধে একজন ব্রিটিশ সেনা একজন জার্মান সেনার প্রাণ বাঁচিয়েছিল। আর সেই জার্মান সেনাটি ছিলেন এডলফ হিটলার!
  • ইহুদীদের নির্যাতন করে মারার জন্য হিটলারর নাৎসি বাহিনী দেশ জুড়ে তৈরি করেছিল কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প। তবে মজার বিষয় হচ্ছে হিটলার তার জীবনে কখনোই এসব কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প পরিদর্শনে যান নি!
  • ছোট বেলায় হিটলারের ইচ্ছা ছিল বড় হয়ে তিনি গীর্জার পাদ্রী হবেন!
  • হিটলার বিড়াল ভয় পেতেন!
  • হিটলার ছিলেন ডিজনী কার্টুনের বিশাল ভক্ত!
  • হিটলারের দাম্পত্য জীবনের স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ২৪ ঘন্টা!

blank

হিটলার এবং তার স্ত্রী ইভা ব্রাউন

হিটলারের বাছাই করা কিছু উক্তিঃ

বলা হয়ে থাকে হিটলার ছিলেন পৃথিবী বিখ্যাত বক্তা। তিনি তার ভাষণে শ্রোতাদের মন্ত্রমুগ্ধের মতো নিমগ্ন করে রাখতেন। বাংলাহাবের পাঠকের জন্য বিভিন্ন ভাষণে দেয়া হিটলারের বাছাইকৃত কিছু উক্তি তুলে ধরা হল-

  • A great liar is also a great magician. (একজন ভাল মিথ্যুক, একজন বড় জাদুকরও)
  • The greater the lie, the greater the chance that it will be believed. (মিথ্যা যত বড়, লোকে তা বিশ্বাস করার সম্ভাবনা তত বেশি)
  • Make the big lie, make it simple, keep saying it and eventually they will believe it. (যদি বড় কোন মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাও, সহজ ভাবে এটাকে বলো, বারবার বলতে থাকো, একসময় দেখবে সবাই এটা বিশ্বাস করতে শুরু করেছে)
  • If you want to shine like sun, first you have to burn like it. (যদি সূর্যের মত আলো ছড়াতে চাও আগে এর মত জ্বলতে হবে)
  • Those who want to live, let them fight, and those who do not want to fight in this world of eternal struggle do not deserve to live. (যারা বাঁচতে চায়, তারা লড়াই করে বাঁচুক। আর যারা লড়তে চায় না, তাদের বাঁচার কোন অধিকার নেই)
  • People may not always believe what you say, but they will believe what you do. (মানুষ হয়ত সবসময় তোমার মুখের কথায় বিশ্বাস করবে না, কিন্তু তোমার কাজে তারা সবসময়ই বিশ্বাস করবে)
  • Never trust a person who isn’t having at least one crisis. (যার কোন সমস্যা নেই, তাকে কখনো বিশ্বাস করবে না)
  • Life is like a mirror, if you frown at it, it frowns back; if you smile, it returns the greeting. (জীবন আয়নার মত। তুমি ভেংচি কাটলে এটাও তোমাকে ভেঙ্গাবে, তুমি হাসলে এটা তোমাকে অভিবাদন জানাবে)
  • Strength lies not in defense but in attack. (শক্তি প্রতিরোধে নয়, আক্রমণেই প্রকাশিত হয়)
  • One who wins without problem is just ‘Victory’. But one who wins with a lot of troubles, that is ‘History’. (যে কোন ঝামেলা ছাড়াই জেতে সে বিজেতা, কিন্তু যে শত ঝামেলা সামলে জেতে সে ইতিহাস রচয়িতা)
  • The victor will never be asked if he told the truth. (বিজয়ীকে কেউ কখনো জিজ্ঞাসা করেনা সে সত্য বলছে কিনা)
  • Hate is more lasting than dislike. (অপছন্দের চেয়ে ঘৃণার স্থায়িত্ব বেশি)
  • I suggest you to do war but never love! Because in war either you live or die, but in love neither you live nor you die. (আমি ভালোবাসার চেয়ে যুদ্ধকেই বেশি প্রাধান্য দেবো! কারণ যুদ্ধে হয় তুমি বাঁচবে নয় মরবে। কিন্তু ভালোবাসায় না তুমি বাঁচবে না মরবে!)