ভুল করে উইম্যান ওয়াশরুমে ঢুকে পড়েছিল ইলিয়ট। ভুল ভাঙ্গে ভেতর থেকে প্রিসিলার তীব্র চিৎকার শুনে! দৌড়ে বের হয়ে আসলেও শেষ রক্ষে বুঝি আর হলো না! ‘কষে চড় লাগাবো একটা’- মনঃস্থির করে রেগে-মেগে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসলেও হালকা নীলরঙা হালকা-পাতলা গড়নের ছেলেটির কাছাকাছি আসতেই প্রিসিলার বুকটা ধক করে উঠল! চোখাচোখি হলো দুজনের, প্রিসিলার রাগ অনেক আগেই বাষ্প হয়ে উড়ে গেছে, নিঃশ্বাস ভারী হয়ে আসছে তার! ইলিয়ট-ই এগিয়ে গেল, হেসে বলল- ‘হাই’! তারপর…

কি ভাবছেন? কোন বাংলা মুভির হলিউডি রিমেকের রিভিউ লিখতে বসেছি? আদতে তা কিন্তু মোটেও নয়! বলছিলাম ২০০৩ সালে হার্ভার্ডের এক ওয়াশরুমের সামনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্যোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান এবং সিইও মার্ক ইলিয়ট জুকারবার্গ আর প্রিসিলা চ্যানের প্রথম দেখা আর প্রেমে পড়ার সত্য গল্পের কথা! টানা ৯ বছর প্রেম করার পর ২০১২ সালের ১৯ মে দুজন বিয়ে করেন। গত ১৪ই মে ছিলো জুকারবার্গের ৩৩ তম জন্মদিন। ১৯৮৪ সালে নিউইয়র্কের হোয়াইট প্লেইন এলাকায় ডেন্টিস্ট বাবা এডওয়ার্ড ও সাইকোলজিস্ট মা ক্যারেন জুকারবার্গের ঘরে জন্ম নেন মার্ক। চার ভাইবোনের মাঝে তিনিই বড়। বাকি তিন বোনের নাম র‌্যান্ডি, ডোনা আর অ্যারিয়েল জুকারবার্গ। চলুন জেনে নেয়া যাক বিশ্বের কনিষ্টতম* এই সেলফ-মেইড বিলিওনারের জীবনের নানা জানা-অজানা দিক এবং ফেসবুকের আজকের এই অবস্থানে আসার পেছনের বন্ধুর পথের কিছু গল্প।

বাবা-মা আর দুই ছোট বোন র‌্যান্ডি আর অ্যারিয়েলের সাথে মার্ক

বহুমুখী প্রতিভাধরঃ
মার্ক শৈশবেই আর্ডসেলি হাই স্কুলে গ্রীক এবং ল্যাটিন ভাষায় দক্ষ হয়ে ওঠেন। এরপর ফিলিপস এক্সটার একাডেমীতে পড়তে গিয়ে বিজ্ঞান এবং ক্লাসিক্যাল শিক্ষায় (ভাষা, সাহিত্য, ইতিহাস এবং দর্শনের মিশ্রিত রূপ) সুনাম কুড়ান। কবিতা আবৃত্তির জন্য পুরো একাডেমীতে তার নামডাক ছিল। তলোয়ার (ফেন্সিং) খেলায় পারদর্শী ছিলেন, ছিলেন স্কুলের ফেন্সিং টিমের অধিনায়ক। ফরাসি আর হিব্রুতেও দক্ষতা ছিল তার। কম্পিউটারের প্রতি ঝোঁক পিচ্চিকাল থেকেই ছিল। মাধ্যমিকে পড়ার সময় জীবনের প্রথম প্রোগ্রাম লিখেন তিনি।

শৈশবের মার্ক জুকারবার্গ

শিক্ষকের চেয়েও বেশি জানেনঃ
ছেলের কম্পিউটার প্রীতির কথা মাথায় রেখে বাবা এডওয়ার্ড জুকারবার্গ মার্কের জন্য একজন গৃহ-শিক্ষকের ব্যবস্থা করে দেন। কিন্তু কয়েক মাসের মাথায় সেই শিক্ষক ইস্তফা দিতে বাধ্য হন! কারণ তার ছাত্র ইতিমধ্যেই কম্পিউটারে তার চেয়ে বেশি জ্ঞান রাখে! মাত্র বারো বছর বয়সে তিনি আটারি বেসিক ব্যবহার করে “Zucknet” নামে একটি বার্তা প্রোগ্রাম তৈরি করেন বাবার অফিসের কাজে ব্যবহারের জন্য। হাইস্কুলে পড়ার সময় ইন্টিলিজেন্ট মিডিয়া গ্রুপের হয়ে তিনি একটি মিউজিক প্লেয়ার তৈরি করেন যা সেসময় খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। Microsoft, AOL সহ অনেক কোম্পনি তখন থেকেই তাকে নজরে রাখতে শুরু করে!

হার্ভার্ড, ফেসম্যাশ এবং দ্যা ফেসবুকঃ
২০০২ সালে জুকারবার্গ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। কিছুদিনের মাঝেই মেশিন ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে তার আদিখ্যেতার কথা পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে। এই সময় তিনি Course Match নামে একটি প্রোগ্রাম লিখেন যার সাহায্যে ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের কোর্স অনুযায়ী ক্লাস বেছে নিতে পারত। ২০০৩ সালের ২৮শে অক্টোবর তিনি ‘facemash.com’ নামে একটি সাইট তৈরি করেন। এই ফেসম্যাশ আদতে খুব ভালো কিছু ছিল না। হোমপেজে পাশাপাশি দুজনের ছবি থাকত। ভিজিটররা দুজনের মাঝে কে ‘হট’ আর কে ‘নট’ তা ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন করতে পারত! হার্ভার্ডের সার্ভার হ্যাক করে সব ছাত্র-ছাত্রীর ছবি তিনি এই ফেসম্যাশে ছেড়ে দিলেন! পুরো ক্যাম্পাসে হৈ হৈ রব পড়ে গেল। মাত্র ৪ ঘন্টায় ভোট পড়ল ২২ হাজার! অবশ্য এরপরেই ছাত্র-ছাত্রীদের চাপে পড়ে ফেসম্যাশ বন্ধ করে দিতে হয়। কিন্তু ফেসবুকের আইডিয়াটা তিনি এখান থেকেই পেয়ে যান।

ফেসম্যাশের হোমপেজটা দেখতে অনেকটা এইরকম ছিল

২০০৪ সালের ৪ই ফেব্রুয়ারী মার্ক তার ডর্মিটরি রুমে বাকি তিন কো-ফাউন্ডার এডওয়ার্ডো সেভারিন, ডাস্টিন মস্কোভিত্‌স এবং ক্রিস হিউজের সাথে ফেসবুক লঞ্চ করেন thefacebook.com ডোমেইনে। প্রথম দিকে ব্যবহারকারীরা শুধু নতুন নতুন বন্ধু অ্যাড করা এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলী আপডেট করতে পারত। তখন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেই এটা সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু পরে সেটা বোস্টন শহরের অন্যান্য কলেজ, আইভি লীগ এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। দ্যা ফেসবুক চালুর প্রথম ২৪ ঘন্টায় রেজিস্টেশনকারীর সংখ্যা ছিল ১২০০-র বেশি! জুকারবার্গ তখনই বুঝতে পেরেছিলন সামনে তাদের কি অমিত সম্ভাবনার দুয়ার খুলতে যাচ্ছে!

বিতর্কে দ্য ফেসবুকঃ
“দ্য ফেসবুক” যাত্রা শুরু করার ঠিক ছয়দিনের মাথায় জুকারবার্গের তিন সিনিয়র ক্যামেরুন, টেলরডিভিয়া তার বিরুদ্ধে আইডিয়া চুরির অভিযোগ আনেন। তাদের দাবি ছিল জুকারবার্গ তাদের সাথে তাদের একটি প্রজেক্ট HarvardConnection.Com-এ কাজ করছিল। পরে এই সাইটের আইডিয়া থেকেই জুকার্বাগ ‘দ্য ফেসবুক’ চালু করেন। ‘দি হার্ভার্ড ক্রিমসন’ নামের পত্রিকায় তারা এই অভিযোগ জানান। এদিকে ফেসবুকের ব্যবহারকারী হু হু করে বাড়তে থাকে। লঞ্চের চার মাস পর জুনে দ্য ফেসবুকর রেজিস্টার্ড মেম্বারের সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়িয়ে যায়। ফেসবুকের সম্ভাবনা দেখে এই মাসেই অনলাইন পেমেন্টের সাইট পেপাল ৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ করে ফেসবুকে। সেপ্টেম্বর মাসে জুকারবার্গের হার্ভার্ড কানেকশনের সেই তিন বন্ধু মামলা করে বসেন ‘দ্য ফেসবুকে’র নামে। পরে ২০১২ সালে এসে সেই মামলার নিস্পত্তি হয় ৩০০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিনিময়ে।

এক প্রেজেন্টেশনে নিজের মিশনের কথা জানাচ্ছেন মার্ক

দৃঢ়কল্প জুকারবার্গঃ
পেপালের বিনিয়োগের পর জুকারবার্গ ফেসবুক নিয়ে সিরিয়াসলি ভাবতে শুরু করেন। সিদ্ধান্ত নেন হার্ভার্ড ছেড়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় শিফট হবেন। ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালিতে বিশ্বখ্যাত সব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় অবস্থিত। যেই ভাবা সেই কাজ। ২০০৪ এর শেষ দিকে হার্ভার্ড ছেড়ে সিলিকন ভ্যালিতে পাড়ি জমান জুকারবার্গ।
মার্কিন স্কুল-কলেজগুলোতে তখন ফেসবুক ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে। ভিজিটরদের চাহিদা পূরণ আর প্রতিদিন সাইটে নতুন কোন চমক আনতে দিনে গড়ে ১৬ ঘন্টা করে কাজ করতে হত জুকারবার্গকে। ধীরে ধীরে দ্য ফেসবুকের নিয়মিত ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ মিলিয়ন ছাড়ায়। বিভিন্ন এড কোম্পানীর কাজ থেকে বিজ্ঞাপনও আসতে শুরু করে খুব। জনপ্রিয়তা দেখে এই সময় ইয়াহু এবং এমটিভি নেটওয়ার্ক উভয়ই ফেসবুক কিনে নিতে চেয়েছিল ১ বিলিয়ন ডলারে, কিন্তু জুকার্বাগ সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।

দ্য ফেসবুক থেকে ফেসবুকঃ
২০০৫ এর অগাস্টে জুকারবার্গ সাইটের ডোমেইন thefacebook.com থেকে facebook.com-এ সরিয়ে আনেন। বছর শেষে ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫৫ লাখ ছাড়ায়। ২০০৬ সালে সর্বসাধারণের জন্য ফেসবুক উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। ১৩ বছর বয়সের বেশি হলেই যে কেউ ফেসবুকে একাউন্ট খুলতে পারবে। কৌশলগত কারণে মাইক্রোসফট তখন ফেসবুকের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে। বছর শেষে ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১ কোটি ২০ লাখে। ২০০৭-এ ও ব্যবহারকারী বৃদ্ধির হার ছিল গাণিতিক।
ফেসবুকের সত্যিকারের উত্থানটা শুরু হয় ২০০৮ থেকে, আমেরিকার বাইরের দেশগুলোতে আস্তে আস্তে যখন ফেসবুকের ব্যবহার শুরু হতে থাকে। প্রথমে কানাডা আর ইংল্যান্ড এরপরে ফ্রান্স আর স্পেনে ফেসবুক চালু হয়। এপ্রিলে ফেসবুকে প্রথমবারের মত চ্যাট অপসন আসে। অন্যান্য দেশগুলোতেও দ্রুত ফেসবুক ছড়াতে থাকে। জুনে ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০০ মিলিয়ন ছাড়ায় এবং বছর শেষে তা হয় ১৫০ মিলিয়ন। ২০০৯ এর শেষ নাগাদ ফেসবুকের সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩৫ কোটি ছোঁয়। এই বছরই ইতিহাসের সবচেয়ে কম বয়স্ক সেলফ-মেড বিলিওনার হিসেবে রেকর্ডটি নিজের করে নেন জুকারবার্গ।

The Social Network মুভির ডিভিডি কাভার

পার্সন অব দ্য ইয়ারঃ
২০১০ সালে বিশ্বব্যাপী ফেসবুকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৫ কোটিতে এবং ফেসবুকের কল্যাণে জুকারবার্গের ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ হয় ৬.৯ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টাইম ম্যাগাজিন এই বছর তাকে ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ হিসেবে মনোনীত করে। এই বছরই মার্কিন পরিচালক ডেভিড ফিঞ্চার তাকে নিয়ে মুভি ‘The Social Network’ তৈরি করেন। তবে চলচিত্রটি দেখে হতাশ হন মার্ক। ছবিতে তাকে দেখানো হয়েছে একজন অসামাজিক তরুণ হিসেবে যে কিনা তার প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে নারীসঙ্গ আর আমোদ-ফুর্তিতে মেতে থাকে। ফলে এক সময় তার প্রেমিকা তাকে ছেড়ে চলে যায় এবং এই হতাশা থেকেই নাকি ফেসবুকের সৃষ্টি! কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। ব্যক্তিগতভাবে জুকারবার্গ খুবই পরিছন্ন একজন মানুষ এবং প্রিসিলার সাথে কখনোই ছাড়াছাড়ি হয়নি তার।

বিয়ের অনুষ্ঠানে মার্ক ও প্রিসিলা

বিয়ে এবং ১০০ কোটির পরিবারঃ
দীর্ঘ ৯ বছরের প্রণয়ের অবসান ঘটিয়ে ২০১২ সালের ১৯ মে জুকারবার্গ জীবিত থেকে বিবাহিতদের কাতারে চলে যান! মজার ব্যাপার হচ্ছে, বিয়ের দিন আমন্ত্রিত অতিথিদের কেউই জানত না যে সেদিন জুকারবার্গের বিয়ে! সবাইকে বলা ছিল প্রিসিলার গ্র্যাজুয়েশন সেলিব্রেট করার জন্য ছোটখাটো একটা পার্টি রাখা হয়েছে। তাই নির্দিষ্ট দিকে প্রিসিলাকে কনের বেশে দেখে সবাই তাজ্জব বনে যান! অক্টোবরে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ বিলিয়ন ছোঁয়। আর বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ১৭০ কোটি মানুষের ফেসবুক একাউন্ট আছে।

জুকারবার্গের ছোট্ট পৃথিবী

ক্রম এগিয়ে চলার গল্পঃ
পৃথিবীর শীর্ষ ধনীদের তালিকায় বর্তমানে মার্ক জুকারবার্গের অবস্থান পঞ্চম। বিখ্যাত ফোর্বস সাময়িকীর মে মাসের রিপোর্ট অনুযায়ী তার বর্তমান নেট সম্পত্তির আর্থিক মূল্য ৬২.৭ বিলিয়ন ডলার। ২০১৩ সালে মার্কিন জরিপ প্রতিষ্ঠান গ্ল্যাসডোর বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত সব প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা তাদের সিইও কে কিভাবে দেখে তার উপরে একটা জরিপ পরিচালনা করে। সে জরিপের ফলাফল অনুযায়ী শতকরা ৯৯ ভাগ পজেটিভ রেসপন্স নিয়ে জুকারবার্গ বিশ্বের ১ নাম্বার সিইও নির্বাচিত হন। ২১০০ সালের মাঝে পৃথিবী থেকে সকল জীবনঘাতী রোগ নির্মূল করার জন্য গবেষণার সাহার্য্যার্থে জুকারবার্গ সম্প্রীতি ৩ বিলিয়ন ডলার অনুদান দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফেসবুককে আরো জীবনঘনিষ্ট করার জন্য তিনি এবং তার টিম নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের লক্ষ্য ২০২০ সালের মাঝে পৃথিবীর ৫০০ কোটি মানুষকে ফেসবুক নেটওয়ার্কে যুক্ত করা।

স্বপ্নের পথে জুকারবার্গের দীপ্ত হেঁটে চলা

জুকারবার্গ নিয়ে আরো কিছু তথ্যঃ

  • ফেসবুকের সিইও হিসাবে জুকারবার্গের বার্ষিক বেতন ১* ডলার!
  • তিনি লাল-সবুজ বর্ণান্ধ! নীল রঙটি সবচেয়ে ভালো দেখতে পান বিধায় ফেসবুকে তাই নীলের এত আধিক্য।
  • তিনি সবসময় ছাই রঙের টি শার্ট পরে অফিসে আসেন। বিভিন্ন প্রেজেন্টেশানেও তাকে এই বেশেই দেখা যায়। কারণ হিসাবে তিনি জানান, কোনদিন কি পরবেন এই ভেবে যাতে অতিরিক্ত সময় নষ্ট না হয় তার জন্যই এই সহজ ব্যবস্থা!
  • ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত জুকারবার্গের বাড়িটির বর্তমান বাজার মূল্য ৬ মিলিয়ন ডলার। বাড়িটিতে কোন টিভি নেই!
  • জুকারবার্গ এবং প্রিসিলার পুলি (অন্য নাম হাঙ্গেরিয়ান শিপডগ) জাতের একটি পোষা কুকুর আছে। আদর করে তারা কুকুরটির নাম দিয়েছেন বিস্ট। ফেসবুকে বিস্টের অফিসিয়াল ফ্যান পেইজের লাইক সংখ্যা ২ মিলিয়ন প্লাস!
  • ২০১১ সালে জুকারর্বাগ ফেসবুকের জন্য fb.com ডোমেনটিও কিনে নেন। এর জন্য খরচ পড়ে ৮.২ মিলিয়ন ডলার যা মূল ওয়েভসাইট facebook.com এর ডোমেইনের দামের প্রায় ৪২ গুণ!
  • ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সালে জুকারবার্গ আর প্রিসিলা দম্পতির প্রথম সন্তান ম্যাক্সিমা চ্যান জুকারবার্গ জন্ম নেয়। মেয়ের জন্ম উপলক্ষে পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় সব ধনী থেকে উন্নত বিশ্বের প্রায় সব কয়টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান তাকে শুভেচ্ছা জানান।
  • জুকারবার্গ প্রতি বছরই ১টি করে ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসেন। ২০১৬ সালের চ্যালেঞ্জটি ছিল পুরো বছরে তিনি ৩৬৫ কিলোমিটার দৌঁড়াবেন এবং সেটি পূর্ণও করেছেন।
  • জুকারবার্গ আর প্রিসিলা দম্পতি জানিয়েছেন, জীবন সায়াহ্নে তারা তাদের মোট সম্পত্তির ৯৯ শতাংশই মানবতার কল্যাণে দান করে যাবেন।

মেয়ে ম্যাক্সিমার সাথে জাকারবার্গের পোষা কুকুর ‘বিস্ট’

* তার সময়ে জুকারবার্গই কনিষ্টতম সেলফ-মেইড বিলিওনার ছিলেন। কিন্তু ২০১৬ সালে আরেক হার্ভার্ড ড্রপ-আউট ইন্টারনেট ভিত্তিক অর্থ লেনদেন সাইট স্ট্রিপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জন কলিসন রেকর্ডটি নিজের করে নেন।
* ১৯৯৮ সালে অ্যাপলে ফেরার পর স্টিভ জবস-ই প্রথম সিইও হিসেবে ১ ডলার বেতন নেয়া শুরু করেন। এরপর অনেকেই তার দেখানো পথে হেঁটেছে। জুকারবার্গ এদেরই একজন।