হরর গল্প : আত্মামুক্তি (পর্ব-১)

পরীক্ষা কেমন হবে তার চেয়ে পরীক্ষা গুলো কবে শেষ হবে সে চিন্তা বেশি করে পেয়ে বসেছে রাহুলকে। এদিকে আবার সুমনটাও আজ বাড়ি যাচ্ছে। এতোক্ষণে বোধহয় বেরিয়ে পড়েছে। তার মানে আরো সপ্তাহ খানেক একা কাটাতে হবে। এইসব ভাবতে ভাবতে কবে যে ফ্ল্যাট এর সামনে অটো এসে থেমেছে বুঝতেই পারেনি রাহুল।

রাহুল আর সুমন, ছোটবেলাকার বন্ধু। কলেজ শেষ করে উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমিয়েছে শহরে। দিনগুলো ভালই কেটে যাচ্ছে তাদের।

রুমে গিয়ে দেখে সুমন নিজ বিছানাটা বসে আছে। -“তুই এখনো বেরুসনি? তোর তো এতক্ষণে বেরিয়ে পরার কথা “

-” যেতে তো চেয়েছিলাম, কিন্তু তা আর পারলাম কোথায়? “

-” এভাবে কেন বলছিস বলতো?  তোর কি শরী্র খারাপ?  যাসনি ভাল করেছিস। দুই বন্ধু মিলে একসাথে যাব। “

সুমন সে কথায় কর্ণপাত না করে তার ব্যাগ থেকে একটি প্যাকেট বের করলো।

-” রাহুল এতে একটি শাড়ি আছে। প্রথম টিউশনের টাকা দিয়ে মায়ের জন্য কিনছিলাম। মাকে এটা একটু দিয়ে দিস আমার লক্ষী ভাইটি “।

-” এই তোর কি হয়েছে বলতো?  সে কখন থেকে আবোল-তাবোল বকেই চলেছিস। তোর জিনিস তুই নিজ হাতে দিবি এটাই স্বাভাবিক। তা না করে তুই আমায় কেন দিতে বলছিস রে? “

কলিং বেলের শব্দে দুই বন্ধুর কথোপকথনে ছেদ পড়লো।দরজা খুলে দেখে পাশের ফ্ল্যাট এর রবি।সে যা বললো তা শুনে রাহুলের পা থেকে মাটি সরে যাওয়ার যোগাড়। সুমন যে বাসে ছিল একটু আগে সেটির অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে। বাসে যারা ছিল তাদের কেউই আর বেঁচে নেই। তাহলে এতক্ষণ রাহুলের সাথে কে ছিল?

রুমে এসে রাহুল দেখতে পায় দেওয়ালে বড় অক্ষরে লেখা ” শেষ ইচ্ছে টুকু পূরণ করে আমার আত্মা কে মুক্ত করে দিস।”