রবি ঠাকুরের জীবনের কিছু অদেখা ছবি…

সাল ১৮৬১,৭ মে । কোলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুর পরিবারে জন্ম হয়েছিল এক সাহিত্য সম্রাটের যার সাথে প্রতিটি বাঙালীর আত্মার সম্পর্ক । হ্যাঁ , তিনি আর কেউ নন আমাদের সবার কবিগুরু “ রবি ঠাকুর”। তার জন্মবার্ষিকীতে অন্তরের অন্তরস্থল থেকে রইলো শ্রদ্ধা । রবি ঠাকুরের বিরল কিছু ছবি নিয়ে আজকের আয়োজন।

রবীন্দ্রনাথ জোড়াসাঁকোর যে বাসভবনে জন্মগ্রহন করেন অর্থাৎ যে বাসভবনটিতে মহর্ষি সপরিবারে থাকতেন, সেটিকে ডাকা হতো ভদ্রাসন বাটী নামে ।

 

রবি ঠাকুরের কথা বলতেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠে সাদা চুল দাঁড়ি ভর্তি একটু মুখ । কৈশোরে তিনি কেমন দেখতে ছিলেন ? এই প্রশ্নটি নিশ্চয় অনেকের মনেই উঁকি দিয়েছে । প্রশ্নের উত্তর একটু নিচে চোখ বুলালেই পাওয়া যাবে । এটি কবি গুরুর যুবা বয়সের একটি ছবি ।

 দুই সন্তানের সাথে রবি ঠাকুর


১৯৩০ সালে জার্মানির বার্লিনে আইনস্টানের গৃহে তোলা দুষ্প্রাপ্য একটি ছবি ।ছবিতে বাঁ দিকে চেয়ারে বসে আইনস্টান , তার স্ত্রী এলসা ও কবি গুরু । ছবিতে বাঁ দিক থেকে প্রথম ব্যক্তির পরিচয় অজানা , আইনস্টানের সৎ কন্যা মার্গট, প্রসান্ত চন্দ্র মহলানবিশ, কবিগুরুর পুত্রবধূ প্রতিমা দেবী ও প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবিশের স্ত্রী রাণী মহলানবিশ ।

মাহাত্মা গান্ধীর সাথে রবি ঠাকুর ।

১৯২৪ সালে রবি ঠাকুর যখন ৩য় বার জাপান আসেন সঙ্গে ছিলেন তার সচিব এলেম হার্স্ট এবং চিত্রশিল্পী নন্দলাল বসু । জাপানের অন্যতম স্থপতি ভিস্কাউন্ট সিবুসাওয়া এইইচি তার সম্মানে এক নৈশ ভোজ আয়োজন করেন এবং তাকে কাবুকি নাটক দেখার জন্য ও আমন্ত্রন জানান। কাবুকি জাপানের ঐতিহ্যবাহি মঞ্চ নাটক । এটিই ছিল রবি ঠাকুরের জীবনের প্রথম কাবুকি দেখার অভিজ্ঞতা ।

বিজ্ঞাপনে রবি ঠাকুর

রবি ঠাকুর ছবি আঁকা শুরু করেন ১৯২৪ সালে, তখন তার বয়স প্রায় ৬৩ বছর ।তার লেখার খাতায় আঁকিবুঁকি করা থেকেই ছবি আঁকার শুরু ।রবি ঠাকুর তার ছবি আঁকাকে গুরুত্তের সঙ্গে নেন যখন আর্জেনটিনার অন্যতম লেখিকা ভিক্টোরিয়া অকাম্পে তার কবিতার খাতা ঘাঁটাঘাঁটি করার সময় তার আঁকা পূরবী ছবিটি দেখেন এবং তার ভুয়ুসি প্রশংসা করেন । এই লেখিকাই ১৯৩০সালে প্যারিসে কবিগুরুর প্রথম প্রদর্শনীর আয়োজন করেন । কবি গুরু ছবি আঁকার ক্ষেত্রে গারো বাদামি ও কালো রং বেশি ব্যবহার করতেন । খুব কম সময় তিনি লাল ও সবুজ রং ব্যবহার করতেন । কথিত আছে তিনি বর্ণান্ধ ছিলেন ।

ছবিটি কবিগুরুর জীবনাবসানের কিছুদিন আগে তোলা যখন তিনি ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায়ের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন ।

রোদচশমায় রবি ঠাকুর।

১৯১৩ সালে কবি গুরুর নোবেল প্রাইজ ছিল সমস্ত বাঙালীর জন্য গর্বের । এই প্রাইজ বাংলা সাহিত্যকে পৌঁছে দিয়েছেঅন্যরকম উচ্চতায়।

শান্তিনিকেতনে ( বোলপুর ) গুরুদেবের গ্যালারি । আসা করি সকল রবীন্দ্র প্রেমীদের ভালো লাগবে ।