ভিন্ন ধরণের ১০ সমাধিক্ষেত্র ও তাদের পেছনের চমকপ্রদ ইতিহাস

image-wikipedia
image-wikipedia

এই লেখাটি পড়ার সময় না থাকলে, শুনতে পারেন এর অডিও ভার্সন। ক্লিক করুন নিচের প্লে-বাটনে।

প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন দেশে মৃতদের সমাধিস্থ করার জন্য কিছু বিশেষ রীতিনীতির প্রচলিত রয়েছে। জাগতিক মায়া ত্যাগ করে যাওয়া মানুষগুলোকে বিশেষভাবে সমাধিস্থ করার চেষ্টা মানুষ বহুকাল আগে থেকেই করছে। অনেকেই বেছে নিয়েছে মৃতদেহ সৎকারের জন্য রহস্যময় স্থান এবং পদ্ধতি। তাই আজ চলুন দেখে নেই পৃথিবীর দশটি  রহস্যময় এবং চমকপ্রদ সমাধিক্ষেত্র।

১। প্লেইন অব জারস, লাওস

লাওসের ইন্দোচীন পর্বতসীমায় অবস্থিত বিশাল এই সমাধিক্ষেত্র। বিশাল এক সমতল ভূমি জুড়ে রয়েছে বিশাল আকৃতির পাথরের তৈরী কৌটো বা জার। বিশাল এই সমাধিক্ষেত্র আবিষ্কারের পর থেকের প্রত্নতত্ত্ববিদগণের কাছে এক রহস্যময় স্থান। প্রায় তিন হাজার বছর পূর্বে এই দৈত্যাকৃতি পাথরের জার বানানো হয়েছিল। ধারণা করা হয় এগুলো ব্রোঞ্জ যুগের নিদর্শন।

২০১৬ সালের এক গবেষণার পর প্রত্নতত্ত্ববিদ এবং ইতিহাসবিদগণের মতে এই জার গুলো ব্যবহার করা হতো মৃতদেহ সৎকার অথবা সৎকারের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য। ধারণা করা হয় যে বিশাল আকৃতির এই জারে প্রথমে মৃতদেহ রাখা হতো এবং তা কঙ্কালে পরিণত হলে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হতো। যদিও এটা শুধু ধারণা মাত্র। কিন্তু এই নিয়ে কোন সন্দেহ নেই যে এই জার গুলো বানানো হয়েছিল মৃতদেহ সমাধিস্থ করার জন্য।

২। ওয়াস-এইন আমেরিকান সেমিটারি আ্যন্ড মেমোরিয়াল

এটি ফ্রান্সের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় সামরিক সমাধিক্ষেত্র। এই সমাধিক্ষেত্রটি প্লট A-E, এই পাঁচটি প্লটে বিভক্ত। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ৬০০০ জনের ও বেশি আমেরিকান সৈনিক মৃত্যুবরণ করেছিলেন। তাদেরকেই এখানে সমাধিস্থ করা হয়েছে।

এই সমাধিক্ষেত্রের প্লট A থেকে D তে সর্বসাধারণের প্রবেশের অনুমতি রয়েছে। কিন্তু রহস্যঘন স্থান হচ্ছে প্লট E। এই প্লটে কারো যাওয়ার অনুমতি নেই। এমনকি কোন ম্যাপ অথবা এই মেমোরিয়ালের ওয়েবসাইটেও এই প্লটের কোন উল্লেখ নেই। ধারণা করা হয় যে, দ্বিতীয়  বিশ্বযুদ্ধে যেসব বিশ্বাসঘাতক অথবা গুপ্তচর ধরা পরেছে তাদের প্লট  E তে সমাধিস্থ করা হয়েছে। তাদের মৃত্যদন্ড কার্যকরের পর তাদের সেখানে সমাধিস্থ করা হয়। মূল সমাধিক্ষেত্রের উলটো দিকে মুখ করে তাদের কবর দেয়া হয়েছে। এই অংশে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকাও উত্তোলন করা হয় না। এই অংশটির নাম আ্যন্টি-মেমোরিয়াল অর্থাৎ যাদের স্মৃতি কখনো মনে রাখা হবে না।

৩। সাটন হু সমাধিক্ষেত্র

এই সমাধিক্ষেত্রটি ইস্ট ইংল্যান্ডের উডব্রিজের কাছাকাছি অবস্থিত। আপাতদৃষ্টিতে দেখতে এটি অতি সাধারণ মনে হলেও এটি ব্রিটেনের সপ্তম শতাব্দীর রাজকীয় সমাধিস্থল। বহুদিন এই সমাধিস্থলটি লোকচক্ষুর আড়ালে ছিল। ১৮টি কবরের মধ্যে ১৬টি কবর লুট হয়েছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে প্রথম এবং আঠারোতম কবরটি অক্ষত রয়ে গিয়েছিল। প্রত্নতত্ত্ববিদগণ যখন অক্ষত সমাধিসৌধগুলো পরীক্ষা করেন, তারা জানতেন না যে কতবড় বিস্ময় তাদের জন্য অপেক্ষা করছে। সমাধিক্ষেত্র থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল রুপোর বাসন, গয়না, অজস্র স্বর্ণমুদ্রা এবং একটি লোহার হেলমেট। এই হেলমেটটি বর্তমানে সাটন হু এর অফিসিয়াল প্রতীক।

সাটন হু আজপর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে সমৃদ্ধ সমাধিস্থল। ধারণা করা হয় যে এইটি রাজা রেডওয়াল্ডের সমাধিসৌধ। শুধু তাই নয় এই সমস্তকিছু একটি ৩০ মিটার লম্বা একটি নৌকায় করে মাটির নিচে পুঁতে রাখা হয়েছিল। আশ্চর্য বটে!

৪। লা সেমিট্রি দেস চিয়েনস

এই সমাধিক্ষেত্রটি ফ্রান্সের প্যারিস শহরের দক্ষিণপশ্চিম দিকে অবস্থিত। এটির বিশেষত্ব হচ্ছে যে, এই সমাধিস্থলটি শুধুমাত্র মানুষের আদরের পোষা প্রাণীদের জন্য! “লা সেমিট্রি দেস চিয়েনস” কথাটির অর্থ হচ্ছে কুকুরদের জন্য কবরখানা। কিন্তু বর্তমানে কুকুর, ঘোড়া এমনকি পোষা বানরদের এ সমাধিস্থ করা হচ্ছে।এই সমাধিক্ষেত্রটি তৈরী করা হয়েছিল সে সকল প্রিয় পোষা বা সামরিক কুকুরদের স্মরণে যারা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত হয়েছিল। তারা সকলে ছিল বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুদ্ধ পারদর্শী কুকুর।

এই কবরখানায় রয়েছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে নিহত কুকুর “ব্যারি” এর সমাধিসৌধ। ব্যারি সফলভাবে চল্লিশজন আহত মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছিল এবং একচল্লিশতম প্রাণ যে ছিল একটি ছোট্ট শিশু, তাকে বাঁচাতে গিয়ে সে নিজে মারা যায়। লা সেমিট্রি দেস চিয়েন্স এ ব্যারির একটি পাথরের মূর্তি রয়েছে যাতে সে তার পিঠে একটি বাচ্চাকে বহন করছে।

৫। সাভানাহ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট

রিচার্ড এবং ক্যাথেরিন ডটস্টন বাস করতেন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া স্টেটের সাভানাহ শহরে। তারা মারা গিয়েছিলেন ১৬০১-১৭০০ সনের মাঝামাঝি কোন সময়ে। কিন্তু তাদের সমাধিসৌধ বিশেষভাবে পরিচিতি লাভ করে ১৯৮০ সনের দিকে যখন আমেরিকান সামরিক বাহিনী তাদের কবরের ওপর   যুদ্ধবিমানের রানওয়ে প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত নেয়। রিচার্ড এবং ক্যাথেরিন মারা যাওয়ার পর তাদের নিজস্ব ফার্মে তাদের কবর দেয়া হয়। এই ফার্মের জায়গাটি তারা রাজপরিবারের কাছ থেকে পেয়েছিলেন। ধীরে ধীরে তা পরিণত হয় ডটস্টন পরিবারের পারিবারিক সমাধিক্ষেত্রে। অন্তত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত তাই ছিল।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকান সামরিক বাহিনী সাভানায় যুদ্ধ ও বোমারু বিমানের এয়ারপোর্ট নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তাদের পরিকল্পনা ডটস্টনদের কবরখানার জন্য বাস্তবায়িত হচ্ছিল না। তাই তারা ডটস্টন পরিবারের নতুন প্রজন্মের সাথে চুক্তি করে। ডটস্টন পরিবার শর্ত দেয় যে, সবার কবর স্থানান্তরিত করার খরচ সামরিক বাহিনী বহন করবে কিন্তু রিচার্ড এবং ক্যাথেরিনের কবর অক্ষত রাখতে হবে।

সামরিক বাহিনীর এয়ারপোর্টের ভেতর দুটি কবর খুবই বিব্রতকর হতো। তাই তারা সিদ্ধান্ত নেয় কবর দুইটির ওপর রানওয়ে নির্মাণ করার। কিন্তু রানওয়ে নির্মাণ করা হলেও কবরের চিহ্ন দুইটি অক্ষত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তখন থেকেই সাভানাহ এয়ারপোর্টের রানওয়ে তে কবর দুইটির সুস্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে।

৬। কাফযেহ কেভ

কাফযেহ কেভ ইসরায়েলে অবস্থিত। এই গুহাতে একসাথে ১৫ টি কঙ্কাল পাওয়া গেছে। কঙ্কাল গুলো ১,০০০০০ বছর আগের। শুধু কঙ্কাল নয়, হরিণ, ভাল্লুক, ঘোড়ার হাড়, ঝিনুক এবং এবং গিরিমাটির চাকা পাওয়া গেছে। ধারণা করা হয় এগুলো মৃতদেহ সৎকারের প্রাক্কালিন অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়েছিল।

কিন্তু কথা হচ্ছে, তারা সৎকারকার্যে যা কিছু ব্যবহার করেছিল, বা যে ধরণের সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করেছিল, তা করা হয়েছে মানুষের কথা বলতে শেখার আগে। অর্থাৎ মানুষ যখন মুখের ভাষা ব্যবহার করা শেখেনি, তখন থেকেই তারা শুধু মাত্র সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করে যোগাযোগ করতো। এবং তারা এইসকল চিহ্নের নিদর্শন রেখে গেছে কাফযেহ কেভ এর সমাধিক্ষেত্রে। এটিই আজ পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে প্রাচীন সমাধিক্ষেত্র যেখানে মৃতদেহ সৎকারের আগে আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হয়েছে।

৭। ওকুনইন সমাধিক্ষেত্র

ওকুনইন সমাধিক্ষেত্র জাপানের মাউন্ট কয়া তে অবস্থিত। এটি জাপানের বহু প্রাচীন এবং সর্ববৃহৎ সমাধিক্ষেত্র। বিভিন্ন কারণে এটি মানুষের কাছে একটি রহস্যময় ও আকর্ষণীয় স্থান। এর প্রথম কারণ হচ্ছে সমাধিসৌধ গুলোর আকৃতি।

সাধারণত সমাধিক্ষেত্রে কবরগুলো থাকে সারিবদ্ধভাবে, একইরকম দেখতে। কিন্তু ওকুনইনে বিভিন্ন কবরের আকৃতি বিভিন্নরকম। কবরের আকৃতি নির্ভর করে মৃতের পেশার উপর। স্পেসশিপ, গাড়ি, কাপ এমনকি পোকার আকারের কবর রয়েছে। যার কবর দেখতে পোকারর মতো তিনি ছিলেন একটি কীটনাশক প্রস্তুতকারী কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা।

তাছাড়া এখানে রয়েছে জিযো বোধিসত্ত্বভা এর পাথরের মূর্তি। তার গায়ে পানি ছিটিয়ে সকলে মৃতের আত্মার শান্তি কামনা করে। আরো রয়েছে একটি ছোট্ট খাঁচার ভেতর “মিরুকু স্টোন” নামক পাথর। যা উত্তোলন করে মানুষ নিজেদের পরীক্ষা করে। বলা হয় যে, যার হৃদয় যত নির্মল, তার কাছে এই পাথর তত হালকা।

এই সমাধিক্ষেত্রকে ঘিরে সবচেয়ে বড় কিংবদন্তী হচ্ছে, এখানে শায়িত আছেন কোবো দাইশি, যিনি হলেন ষষ্ঠ শতাব্দীর শিনগো বুদ্ধিবাদের প্রতিষ্ঠাতা। শায়িত আছে বলতে তার সমাধিবেদীর কথা বলা হয়নি। বলা হয় যে তিনি এখানে এক গুহায় ঘুমিয়ে আছেন এবং জেগে উঠবেন তখন, যখন স্বয়ং গৌতম বুদ্ধ ভবিষ্যতে আবার ফিরে আসবেন। মানুষজন তাকে শ্রদ্ধা করে তার গুহার সামনে খাবার রেখে আসে।

বিভিন্ন কারণে এই সমাধিক্ষেত্রটি জাপানিজদের কাছে অতি পবিত্র এবং সারা পৃথিবীর কাছে একটি রহস্যময় এবং চমকপ্রদ স্থান।

৮। অর্কনি ক্রোমার্টি

এটি স্কটল্যান্ডের অর্কনিতে অবস্থিত ব্রোঞ্জ যুগের সমাধিক্ষেত্র। একটি প্যাসেজ আকারের সমাধিক্ষেত্র যাতে লম্বা একটি প্যাসেজ ছোটছোট ঘরের আকারে ভাগ করা। প্রত্যেক ঘরে রয়েছে এক একটি কবর। পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে এই সমাধিসৌধটি ৩০০০-৪৩০০ BC তে নির্মাণ করা হয়েছিল এবং আজ থেকে ৮০০ বছর আগ পর্যন্ত এটি ব্যবহৃত হয়েছিল। সম্পূর্ণ পাথরে তৈরী এই সমাধিক্ষেত্রটি স্কটল্যান্ড, ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ডে পাওয়া গেছে। তবে স্কটল্যান্ডেরটি সবচেয়ে দীর্ঘতম। প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার পর দেখা গেছে, এই সমাধিক্ষেত্রে মানুষজন নিয়মিত আসা যাওয়া করতো। যেন, মৃতেরাও জীবিতদের মতই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাছাড়া নিদর্শন পাওয়া গেছে, তখন মানুষেরা মৃতদেহের সাথে যোগাযোগ বা কথা বলার চেষ্টা করতো।

৯। গ্রীক রেভেন্যান্ট সমাধিক্ষেত্র

সিসিলিতে একটি গ্রীক নেক্রোপলিসে ৩০০০ কংকাল পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, কিছু কঙ্কাল পাওয়া গেছে যাদের মাথা ও পা ভারী পাথর দিয়ে চাপা দেয়া ছিল। ১৯৮০ সনের দিকে, যখন এই সমাধিক্ষেটি আবিষ্কৃত হয়, তখন প্রত্নতত্ত্ববিদগণ বুঝতে পারেননি যে কেন তাদের পাথরচাপা দেয়া হয়েছিল। কিছুদিন আগে এক গবেষণায় আসল কারণ জানা গেছে।

সে সকল কঙ্কাল পাথরচাপা দেয়া ছিল, সেগুলোর শারীরিক বৃদ্ধি অস্বাভাবিক ছিল। অর্থাৎ জীবিত অবস্থায় ছিল তারা ছিল শারীরিক প্রতিবন্ধী। তখনকার মানুষ এই সকল প্রতিবন্ধকতা মেনে নিতে পারতো না। তারা ভাবতো এই সকল বিকলাঙ্গ মানুষ হচ্ছে রেভেন্যান্ট, অর্থাৎ যারা মৃতদের জগত হতে জীবিত হয়ে ফিরে এসেছে। তাই তারা সেই সকল প্রতিবন্ধীদের মৃত্যুর পর পাথর চাপা দিয়ে রাখতো যাতে তারা আর জীবিতদের মাঝে ফিরে আসতে না পারে। অনেকগুলো পাথরচাপা কঙ্কালের সাথে একটি বাচ্চার কঙ্কাল ও ছিল।

১০। স্মল রিভার সেমিটারি নাম্বার ফাইভ

এ্টা চীনের জিনিজিয়াং এর তাকলামাকান মরুভূমিতে অবস্থিত একটি সমাধিক্ষেত্র। প্রায় চার হাজার বছর আগে এতে দুইশতাধিক মৃতদেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল। কিন্তু চমকপ্রদ ঘটনা হচ্ছে, মৃতেরা কেউই চীনা নন। তারা ইউরোপিয়ান।

মরুভূমির উত্তাপ এবং শুকনো বাতাসে মৃতদেহগুলো প্রায় অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। তাদের কাপড় ছিল ইউরোপিয়ান ধাঁচে বানানো এবং তাদের চুল ছিল সোনালী এবং খয়েরী। তাছাড়া তাদের চোয়ালের গড়ন, চোখের আকার এমনকি ডিএনএ বিশ্লেষণ করেও তাদের জাতীয়তা সম্বন্ধীয় ধারণা পাওয়া গেছে। তবে বেশকিছু সাইবেরিয়ান মানুষের কঙ্কাল ও সেখানে পাওয়া গেছে।

মৃতদেহগুলো এক একটি নৌকার নিচে ছিল। নৌকার উপর মৃতদেহগুলো পুরুষ কিংবা স্ত্রী- তার নির্দেশক প্রতীক দেয়া ছিল। ধারণা করা হয় যে মৃতদেহগুলো জীবিত অবস্থায় ঐ স্থানের অধিবাসীদের যৌনকার্যে ব্যবহৃত হতো।

লেখিকা সম্পর্কেঃ তাসনিয়া আজমী। শখ বই পড়া, বই সংগ্রহ করা। লেখালেখি শুরু করেছি বেশীদিন হয়নি, কিন্তু এরই মধ্যে লেখালেখি ভালবেসে ফেলেছি। ইচ্ছে ছিল সাংবাদিকতা নিয়ে পড়ার, বিভিন্ন কারণে হয়নি। ইচ্ছে আছে ভবিষ্যতে নিজের বই নিজের বুকশেলফে তুলে রাখার। ইচ্ছে আছে লেখিকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার।