৫টি ফ্যাটি ফুড, যা আপনার ওজন কমাবে

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খাদ্য জিনিসটার গুরুত্ব যে কতখানি সে ব্যাপারে আসলে প্রশ্ন তোলাটাই বোকামী। আমরা কি খাবার জন্য বাঁচি নাকি বাঁচার জন্য খাই, সেটাও প্রশ্নসাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু খাবারের সাথে দৈহিক ওজন বৃদ্ধিও আমাদের ভাবায় বটে। তবে বাড়তি ওজনের সাথে তাল মিলিয়ে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের যে ছোঁয়া আমাদের দেশে ইদানিং লেগেছে তা সত্যিই সুসংবাদ। আসুন জেনে নেই এমন কয়েকটি ফ্যাটি খাবারের নাম, যা আপনার ওজন কমাবে। তবে এগুলো খাবার আগে অবশ্যই একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেয়া জরুরী। আসুন শুরু করা যাকঃ

১. অলিভ অয়েলঃ অলিভ অয়েলের উপকারিতার শেষ নেই। ওবেসিটি  জার্নালে প্রকাশিত এক স্টাডিতে দেখা গেছে, রান্নায় ব্যবহৃত অলিভ অয়েলের অ্যাডিপোনেকটিন শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে ও  বিএমআই কমায়। ফলে ওজন কমে। তাছাড়া অলিভ অয়েলে ক্যান্সার বিরোধী পলিফেনল ও হার্টের জন্য উপকারী মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে।

২. নারিকেলঃ নারিকেলে প্রচুর স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যার উৎস হচ্ছে লাউরিক অ্যাসিড নামের এক ধরনের ইউনিক লিপিড। যেটা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে ও শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। ফলে ওজন কমে।

৩. ডার্ক চকলেটঃ ডার্ক চকলেটে প্রচুর কোকোয়া বাটার থাকে, যেটা স্টিয়ারিক এসিডের উৎস। স্টিয়ারিক অ্যাসিড খাবার হজম দেরীতে করতে সহায়তা করে। ফলে পেটে খাবার থাকে ও ক্ষিদে কম লাগে। কিন্তু ডার্ক চকলেট দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে বাটার ফ্যাট আলাদা হয়ে যায়, ফলে খুব দ্রুত হজম হয়ে পাকস্থলী ফাঁকা করে দেয়। সুতরাং ওজন কমাতে ডার্ক চকলেট খাওয়া যেতে পারে।

৪. কাজুবাদামঃ বাদাম খেলে ওজন বাড়ে, এমন একটি ভ্রান্ত ধারনা যারা এখনও পোষণ করেন তাদের জন্য প্রথম নামটিই হয়ত ভয়ের কারন হতে পারে। জি জনাব, কাজু বাদাম ওজন কমায়। শুধু তাই নয়, পুষ্টিবিজ্ঞানে প্রতিটি কাজুবাদামের দানাকে ওজন কমানোর এক একটি পিল বলা হয়। দ্য জার্নাল অফ অফ দ্য ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অফ স্পোর্টস নিউট্রিশনএ প্রকাশিত একটি পেপারে বলা হয়েছে কাজুবাদামে প্রচুর পরিমাণে এল-আর্জিনিন নামক এমাইনো এসিড থাকে, যা আসলে আপনার চর্বি কমাতে খুব কাজের।

৫. দইঃ ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের কম্বিনেশন যদি আপনার ডায়েটে থাকে, তবে নিউট্রিশন  জার্নাল বলছে, আপনার ওজন দ্বিগুণ গতিতে কমবে। আর দই হচ্ছে সেই খাদ্য যাতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ডি আর ক্যালসিয়াম রয়েছে। তবে মিস্টি দই-এর ক্ষেত্রে সুগার বেড়ে যাবার একটু ঝুঁকি আছে। সতর্কতা আবশ্যক।

লেখকঃ মোঃ তানভীর ইসলাম

পুষ্টিবিদ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ,

email: tetratul@gmail.com