ওজন কমাতে চান? এড়িয়ে চলুন এই সাতটি খাবার।

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আমাদের কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত ৷ আসুন,দেখে নেওয়া যাক,সেই খাবারগুলো কি কি ৷

১ঃ বাজারজাত জুস
বাজারজাত করা জুসে এক গ্লাস জুসে একের অধিক ফল ব্যবহার করা হয়ে থাকে ৷ সুতরাং আপনি যখন এই ধরনের পানীয় গ্রহণ করবেন, তার অর্থ হলো এই-আপনি একের অধিক ফল খাচ্ছেন ৷ তাছাড়া এধরনের পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকে ৷ এ ধরনের পানীয় আমাদের পেট ভরাতে অসমর্থ, শুধু তৃষ্ণা মেটায়।এমনকি কি কিছু টেট্রাপ্যাক জুস যারা ১০০% ফ্রুট জুস এবং চিনিমুক্ত বলে নিজেদের দাবি করে থাকে, তাতে প্রচুর পরিমাণে চিনি মেশানো থাকে যেটা শরীরে ক্যালরির পরিমাণ বাড়ায় এবং শরীরের জন্য ক্ষতিকর ৷

২ঃ লবণ
সালাদ,ফল কিংবা দইতে লবণের ছিঁটেফোঁটা ব্যবহার এড়িয়ে চলা উচিত। অতিরিক্ত লবণ শুধুমাত্র আপনার উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকি বাড়াবে না,এটি অবশ্যই আপনার শরীরে পানির পরিমাণ বৃদ্ধি করবে এবং আপনাকে মেদবহুল করে তুলবে ৷ আপনি যদি বেশি লবণ খাওয়াতে অভ্যস্ত হয়ে থাকেন তাহলে বাইরে থেকে আপনাকে রোগা দেখালেও প্রকৃত ঘটনা হলো আপনার ভিতরে কিন্তু প্রচুর মেদ সঞ্চিত হচ্ছে, যেটার সম্পর্কে আপনার ধারণা একেবারেই নেই।

৩ঃ দুধ চা
আপনার দিনের প্রথম ভাগকে খুবই উপভোগ্য করে তুলতে পারে ” এক কাপ চা ” এবং যখন আপনি আপনার কর্মস্থলে থাকবেন,তখন এই চা আপনাকে কাজ করার উৎসাহ অনেকখানি বাড়িয়ে দেয় ৷ চা অবশ্যই একটি ওজন হ্রাসকারী হাতিয়ার ৷ এটি শরীরের অতিরিক্ত মেদ দূর করতে সহায়তা করে৷ কিন্তু যখন চায়ে দুধ এবং চিনি মেশানো হয়,তখন এ দুটি উপাদান চায়ের এই ওজন কমানোর সক্ষমতাকে বাতিল করে দেয় এবং খুব দ্রুত শরীরে ক্যালরির পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে।

৪ঃ ফ্রোজেন ফুডস
সন্ধ্যায় চা নাস্তার সময় আমরা প্রায়ই সময় প্রচুর পরিমাণে সবজির সাথে ইন্সট্যান্ট নুডলস বা চাওমিন তৈরি করে থাকি ৷ বিকালের নাস্তার ক্ষেত্রে ইন্সট্যান্ট নুডলসকে বেছে নেওয়ার পিছনে অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে-খুব দ্রুত এটি রান্না করে ফেলা যায় ৷ এছাড়া বিভিন্ন ধরণের ফ্রোজেন ফুডস এবং এই নুডলসে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম এবং ক্ষতিকর উপাদান থাকে যেটা ওজন বাড়ায়।

৫ঃ সালাদ ড্রেসিং
যারা স্বাস্থ্যসচেতন,তাদের জন্য সালাদ খুবই উপকারী বন্ধু ৷ কিন্তু যখন আপনি সালাদের স্বাদ বাড়াতে বিভিন্নরকম মুখরোচক উপাদান ব্যবহার করবেন,যেমন-মেয়োনেজ,বিভিন্নরকম সস ইত্যাদি,তখন এই সালাদই আপনার জন্য শত্রু হয়ে দাঁড়াবে ৷ তবে লেবুর রস অথবা টক দই সালাদে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে ৷ তবে সালাদে জলপাইয়ের তেল এবং পনির ব্যবহার করা থেকেও দূরে থাকতে হবে ৷

৬ঃ কৃত্রিম চিনি
ওজন কমানোর জন্য বর্তমানে বাজারে বিভিন্নরকম সুগার ফ্রি ট্যাবলেট বা চিনি পাওয়া যাচ্ছে ৷ ধরে নেওয়া হয়, প্রতি গ্রাম চিনি=৪ক্যালরি ৷ এই ক্যালরি যেন শরীরে প্রবেশ করতে না পারে,তার জন্য ক্রেতাদের কৃত্রিম চিনি বা মিষ্টি ব্যবহার করতে প্রলুব্ধ করা হয় ৷ কিন্তু এই কৃত্রিম চিনি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন-ক্যান্সার,স্মৃতিবিভ্রম রোগ হতে পারে ৷ এছাড়া বর্তমানে গবেষণায় দেখা গেছে, এ ধরনের চিনি আপনাকে রোগা করার চেয়ে বরং আরো বেশি মোটা করে তোলে ৷

৭ঃ অ্যালকোহল
অ্যালকোহল শরীরের জন্য ক্ষতিকর এবং যে কোন ধরনের নেশা জাতীয় পানীয় যেমন-বীয়ার পেটের মেদ বৃদ্ধি করে ,এই বিষয়টির সাথে আমরা সবাই মোটামুটি অবগত ৷ বিষয়টি জানার পর আপনি হয়তোবা যে কোন ধরনের নেশা জাতীয় পানীয় পান করা ছেড়ে দিয়েছেন বা দিবেন ৷ এরপরও এক গ্লাস ওয়াইন পান করা খুব একটা পাপ নয়-এটা যদি ভেবে থাকেন তবে তা আপনাকে ওজন কমানোর লক্ষ্য থেকে দূরে সরিয়ে ফেলবে ৷ বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন,একজন সংযত ওয়াইন পানকারী প্রতি মাসে ২০০০ অতিরিক্ত ক্যালরি শরীরে গ্রহণ করে এবং যে কোন ধরনের অ্যালকোহল শরীরের ফ্যাট বার্নিং প্রসেসের গতি কমিয়ে ফেলে ৷ ডায়েট গুরু রবার্ট এটকিন এর মতে,মদ হলো প্রথম জিনিস যা খাবার ও অন্যান্য পানীয়তে যাওয়ার আগে আপনার শরীরকে পোড়ায় এবং শারীরিক বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ সিস্টেম থেকে অপসারণ করে ফেলে ৷

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট