কথিত আছে, ত্রিশঙ্কু ছিলেন সূর্যবংশীয় রাজা। তার বেশ সুখ্যাতি ছিল। একবার তার ইচ্ছা জাগলো স্বশরীরে স্বর্গে যাবেন। আর এজন্য তাকে যজ্ঞ করতে হবে। তিনি তার ইচ্ছার কথা প্রকাশ করলেন মহর্ষি বশিষ্ঠের কাছে। সেই সাথে মহর্ষি বশিষ্ঠকে অনুরোধ করেন তিনি যেন তার এই যজ্ঞে পৌরোহিত্য করেন। ত্রিশঙ্কুর অনুরোধে ক্রোধান্বিত হলেন বশিষ্ঠ, সেই সাথে পৌরহিত্যের অনুরোধ রক্ষায় অসম্মতি জানালেন। দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বশিষ্ঠের কাছ থেকে ফিরে আসতে হলো ত্রিশঙ্কুকে।

একথা শুনে বিন্ধ্যপর্বত সূর্যকে অনুরোধে করলেন সুমেরুর মতো তাকেও প্রদক্ষিণ করতে। কিন্তু সূর্য তাতে অস্বীকৃত জানান এবং বলেন, বিশ্বনিয়ন্তার আদিষ্ট

পথেই তিনি পরিভ্রমণ করেন এবং করবেন। এতে বিন্ধ্যের মনে ভীষণ ক্রোধের জন্ম হয়। ফলে তার দেহ অসম্ভবভাবে বাড়তে থাকে, যা সূর্যের পথ রোধের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শঙ্কিত হয়ে পড়লেন এতে। তারা স্মরণাপন্ন হলেন ঋষি অগস্ত্যের। দেবতাদের অনুরোধে অগস্ত্য তার শিষ্য বিন্ধ্যের কাছে গেলেন। গুরুর দর্শন পেয়ে বিন্ধ্য তাকে অবনত মস্তকে প্রণাম জানালে, অগস্ত্য তাকে বললেন, সে যতক্ষণ পর্যন্ত ফিরে না আসছে ততক্ষণ যেন বিন্ধ্য ওভাবেই মস্তক অবনত করে রাখে। এই বলে অগস্ত্য যাত্রা করলেন। কিন্তু কখনোই আর ফিরে এলেন না।
৫. লঙ্কাকাণ্ড
ফিচার ইমেজ : www.christies.com