যে ৪ টি ব্যবসা করে অন্যদের চেয়ে দ্রুত কোটিপতি হতে পারবেন

বিলিয়নিয়ার বা শতকোটি ডলারের মালিক হওয়া মোটেই সহজ কাজ নয়। কারো কারো কাছে এটি ধরা দেয় অল্প বয়সেই। অনেকে আবার সারাজীবন কঠোর পরিশ্রম করেও বিলিয়নেয়ার হওয়া তো দূরের কথা উল্টো ঋণে জর্জরিত হয়ে জীবন কাটায়। বিশ্লেষকরা বলছেন, কয়েকটি ব্যবসায় আপনি যদি সঠিকভাবে কাজ করতে পারেন তাহলে আপনার বিলিয়নেয়ার হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। নিচে এই চারটি ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করা হলঃ

সমগ্র বিশ্বে ২০৪৩ জন বিলিয়নিয়ারের মধ্যে ২৬৭ জন বিলিয়নিয়ার হয়েছেন ফিন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট এর ব্যবসা করে।

১। ফিন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্টঃ এই সেক্টর থেকে আপনার বিলিয়নিয়ার হওয়ার চান্স ১৫%। সমগ্র বিশ্বে ২০৪৩ জন বিলিয়নিয়ারের মধ্যে ২৬৭ জন বিলিয়নিয়ার হয়েছেন এই খাত থেকে অর্থাৎ ফিন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট এর ব্যবসা করে হয়েছেন। তারা দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেন অর্থাৎ স্টক লর্ড কিনে বা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে বিলিয়নিয়ার হয়েছেন। বুঝে-শুনে ট্রেড করতে পারলেই ভাগ্য আপনার হাতে। বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি ওয়ারেন বাফেট (মোট সম্পত্তির পরিমান $৮৪.৫ বিলিয়ন)। তার মূল ইনকাম সোর্সই হচ্ছে ফিন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট সেক্টর।

blank
বিশ্বের চতুর্থ ধনী ব্যক্তি আমানসিও ওর্তেগা ফ্যাশন হাউজ ও রিটেইলরের ব্যবসা করে বিলিয়নিয়ার হয়েছেন।

২। ফ্যাশন ও খুচরা পণ্যঃ  এই সেক্টর থেকে আপনার বিলিয়নিয়ার হওয়ার চান্স ১২%। বিশ্বের ২২১ জন বিলিয়নিয়ার ফ্যাশন ও খুচরা পণ্যের ব্যবসা করে বিলিয়নেয়ার হয়েছেন। তারা নিজেদের ফ্যাশন হাউজের মাধ্যমে কোম্পানির ব্র্যান্ডিং করে কিংবা রিটেইলের ব্যবসা করে বিলিয়নিয়ার হয়েছেন। বিশ্বের চতুর্থ ধনী ব্যক্তি আমানসিও ওর্তেগা (মোট সম্পত্তির পরিমান $ ৭৪.১ বিলিয়ন)। স্পেনে তার নিজস্ব ফ্যাশন হাউজ ও রিটেইলরের ব্যবসা আছে।

blank
চীনারা সমগ্র বিশ্বে এই রিয়েল এস্টেট ব্যবসা পরিচালনা করছে

৩। রিয়েল এস্টেটঃ রিয়েল এস্টেট বিজেনেস মূলত গৃহায়ন ব্যবসা। মানুষের ৫টি মোলিক চাহিদার মধ্যে বাসস্থান একটি। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে তাল মিলিয়ে বাড়ছে বাসস্থানের চাহিদা। আর সেই সাথে বাড়ছে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা। রিয়েল এস্টেট ব্যবসা অতীতে যেমন রমরমা ছিল এখনও তা-ই রয়েছে। রিয়েল এস্টেট ব্যবসা করে সমগ্র বিশ্বে ১৬৩ জন বিলিয়নিয়ার হয়েছেন এবং এই সেক্টর থেকে বিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ থাকে ৯%। চীনারা সমগ্র বিশ্বে এই রিয়েল এস্টেট ব্যবসা পরিচালনা করছে। চীনের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ওয়াং জিয়ানলিন (মোট সম্পত্তির পরিমান ২৫.৮ বিলিয়ন) বিলিয়নিয়ার হয়েছেন মূলত রিয়েল এস্টের ব্যবসা করে।

blank
তরুণদের জন্য তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবসা হচ্ছে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ব্যবসা

৪। তথ্য প্রযুক্তিঃ এই খাত থেকে সমগ্র বিশ্বে ১৫৯ জন বিলিয়নিয়ার হয়েছেন। প্রযুক্তি খাত থেকে বিলিয়নিয়ার হওয়ার চান্স ৯%। অল্প বয়সে বিলিয়নিয়ার হওয়া সম্ভব একমাত্র এই খাত থেকে। বর্তমান যুগকে তথ্য ও প্রযুক্তির যুগ বলা হয়। কেনা-বেচা থেকে শুরু করে লেন-দেন কি না হয় ইন্টারনেটের মাধ্যমে! মেধা থাকলে স্বপ্ল পুঁজি নিয়ে শুরু করেও আইটি সেক্টরে অনেক বিশাল কিছু করা যায়। তরুণদের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি হচ্ছে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ব্যবসা। বিশ্বের এক নাম্বার ধনী ব্যক্তি জেফ বেজোস (সম্পত্তির পরিমান $১১৫.৬ বিলিয়ন),তিনি মূলত আইটি সেক্টর থেকে বিলিয়নিয়ার হয়েছেন। বিশ্বের দুই নম্বর ধনী ব্যক্তি বিল গেটসও (সম্পত্তির পরিমান $৯১.৫ বিলিয়ন) বিলিয়নিয়ার হয়েছেন এই খাত থেকে। সবচেয়ে অল্প বয়সে বিলিয়নিয়ার হওয়া মার্ক জুকারবার্গও (মোট সম্পত্তির পরিমান $৭১.১ বিলিয়ন) বিলিয়নিয়ার হয়েছেন এই আইটি খাত থেকে।