বিগত দুই যুগের সবচেয়ে ক্লাসিক আন্দোলন

[কন্ট্রিবিউটেড কন্টেন্ট]   বাংলাদেশের মত দেশে এখন পর্যন্ত কোন যৌক্তিক দাবী আন্দোলন ছাড়া আদায় হয়নি। আর এটা থেকেই পরিষ্কার ধারণা নেয়া যায় যে,দেশের জনপ্রতিনিধি এবং নীতিনির্ধারকরা কতটা পিছিয়ে। কারন নীতি নির্ধারক কিংবা জনপ্রতিনিধি দের মূল কাজই হচ্ছে, জনগনের যৌক্তিক দাবী এবং দেশের বৈষম্য দূর করার পদক্ষেপ নেয়া।

কিন্তু তারা তা না করে সভা,সমাবেশ আর টকশো তে পরে থাকে। বলা বাহুল্য তাদের সমাবেশে অংশগ্রহণকারী ৮০ শতাংশ লোক হলো অশিক্ষিত, কিংবা ভাড়া করে আনা লোক। এর মূল কারন হচ্ছে জনপ্রতিনিধি দের অজনপ্রিয়তা। তারা যৌক্তিক দাবী মেনে নেয়না বলেই শিক্ষিত জনগন তাদের সমাবেশে জমায়েত হয় না।

বর্তমানে সারা দেশের ৬৪জেলায় কোটা সংস্কারের আন্দোলন চলছে একমাস ধরে। সম্ভবত স্বাধীনতার পর এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং মানসম্মত আন্দোলন। এই সংস্কার আন্দোলনের ১০০শতাংশ লোক উচ্চশিক্ষিত বা উচ্চশিক্ষারত। এটাই প্রথম বাংলাদেশে কোন আন্দোলন হচ্ছে এত দীর্ঘসময় ধরে অথচ কোন ভাংচুর হচ্ছে না। এই থেকেই বুঝা যায় শিক্ষিতরা আন্দোলন করলে কোন ভাংচুর কখনোই হয় না। ইউরোপ, আমেরিকায় কেন কোন আন্দোলন হলে ভাংচুরের খবর আসেনা এটাই তার কারণ।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশের ৯০শতাংশ জনগনের সমর্থন থাকার পরও সরকার এই বিষয়টি নিয়ে ভাবছেনা। সরকার নিজেকে আরো বেশী গ্রহনযোগ্য করতে চাইলে অবশ্যই এই মানসম্মত আন্দোলন কে মেনে নেবে। অন্যথায় অজনপ্রিয়ই রয়ে যাবে সরকার।

EDITOR’S NOTE: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে গত ১১ এপ্রিল, ২০১৮ সব ধরণের সরকারি চাকরিতে সব ধরণের কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। তবে প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত মানুষের চাকরিপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে পৃথক ব্যবস্থা থাকবে।