সারায়েভো এসাসিনেসন- ১ম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছিল যে হত্যাকান্ড থেকে

অস্ট্রিয়ার যুবরাজ ফ্রাঞ্জ ফার্দিনান্দ এবং তার স্ত্রী সোপি

১। যে সপ্তাহে ফ্রাঞ্জ ফার্দিনান্দ আর সোফি সারায়েভো ভ্রমণে আসেন, সেই সপ্তাহে শহরের হলগুলিতে দুইটি নির্বাক চলচিত্র দেখানো হয় যেগুলোর নামে হামলার প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত ছিল। দ্য ইমেরিয়াল কিনো তে দেখানো হয় The World Without Men’ আর দ্য অ্যাপোলো কিনো তে দেখানো হয় The Shot at Midnight’।

 

২। সার্ভিয়ার মিলিটারী ইন্টিলিজেন্সকে এই হত্যাকান্ডের অভিযান পরিচালনার জন্য অর্থ দেয় তৎকালীন বেলগ্রেডের রাশিয়ান মিলিটারী বাহিনীর প্রধান Wiktor Artamono

blank

৩। হত্যাকান্ডের পর ঘটনাস্থলে ১৯৩০ সালে প্রথমবারের মত স্মৃতিস্মারক স্থাপন করা হয়। ঘাতক Princip যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল সে স্থানটায় দেয়ালের সাথে খাড়া করে কালো মার্বেল পাথরের একটা প্লেট বসানো হয়, যেটার উপর সিলিরিক ভাষায় সোনার হরফে লিখা হয় ‘Princip proclaimed freedom on St. Vitus’ Day June 28, 1914’। পরে ১৯৪১ সালে নাৎসি আর্মি যুগোস্লাভিয়া আক্রমণের সময় ফলকটি সরিয়ে ফেলে এবং স্বৈরশাসক হিটলারকে তার ৫২তম জন্মদিনে উপহার হিসাবে প্রদান করে।

blank

৪। হত্যাকান্ডে জড়িত ঘাতক Gavrilo Princip এবং Nedeljko Čabrinović দুজনই ধরা পড়ার হাত থেকে বাঁচতে পটাশিয়াম সানায়াইড খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত তাদের হাতে থাকা পটাশিয়াম সায়ানাইড মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল। মারা যাবার বদলে দুজনেরই তীব্র পেটব্যথা শুরু হয়!

blank

৫। ফ্রাঞ্জ ফার্দিনান্দ আর সোপির গাড়ী – গ্রাফ এন্ড শিফট, ১৯১১ মডেলের একটি ডাবল ফিটন। এটির মালিক ছিল বসনিয়ার একজন মিলিটারী অফিসার Count Franz von Harrach, যে কিনা আবার Volunteer Automobile Corps– এর সদস্যও ছিল।blank

৬। ঘাতকদের প্রথম হত্যাচেষ্টার পর বসনিয়ার মিলিটারী গভর্নর লেফট্যানেন্ট জেনারেল Oskar Potiorek যুবরাজের নিরাপত্তার খাতিরে অতিরিক্ত সৈন্য ডাকার বিরোধীতা করেছিলেন, কারণ পরিকল্পনামত আগের দুই দিন তারা বৃষ্টিতে ভিজেছিল এবং তাদের পরার মত কোন কাপড় ছিল না!

blank

৭। সারায়েভো হত্যাকান্ডের মাস্টারমাইন্ড লেফট্যানেন্ট কর্ণেল Dragutin Dimitrijević কে তার বিশালাকৃতির দেহাবয়বের কারণে আড়ালে ‘ষাঁড়’ (The Bull) ডাকা হত!

blank

৮। ফ্রাঞ্জ ফার্দিনান্দের ড্রাইভার ভুল করে ফ্রাঞ্জ জোসেপ গলিতে ঢুকে পড়েছিল, কারণ যাত্রাপথ যে পরিবর্তীত হয়েছে এটা তাকে কেউ বলে নি!

blank

৯। ফ্রাঞ্জ ফার্দিনান্দ হাবসবার্গ রাজ পরিবারের প্রথম ব্যক্তি নয় যাকে গুপ্তঘাতকেরা হত্যা করে। এর আগে ১৮৮৯ সালে সম্রাট ফ্রাঞ্জ জোসেপের এর স্ত্রী সম্রাজ্ঞী এলিজাবেথও এক ইতালীয় আততায়ীর হাতে নিহত হন। সম্রাট নিজেও দুইবার মরতে মরতে বেঁচে যান!

blank

১০। ঘাতকদের সাথে ছিল .৩৮ এসিপি রাউন্ড ক্ষমতার ৪টি ব্রাউনিং এফএন-১৯১০ মডেলের অটোমেটিক পিস্তল, সার্বিয়ান রয়েল আর্সেনালে তৈরি ৬টি হ্যান্ড গ্রেনেড এবং সায়ানাইড পিল।

blank