২০২১ সালে অনলাইনে আয় করার ১৫ টি উপায়

করোনার সময় সারা বিশ্বে প্রচুর মানুষ চাকরি হারিয়েছেন, বা বেতন কমে গিয়েছে। অনেকের ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। সারাবিশ্বের সাথে বাংলাদেশের মানুষও ২০২১ সালে অনলাইনে আয়ের উপায় নিয়ে ভাবছেন। তাদেরকে জানাতেই বাংলাহাবের এ আর্টিক্যাল।

প্রযুক্তির বহুল উন্নয়নের ফলে আমাদের জীবনযাত্রায় এসেছে বিশাল পরিবর্তন। সৃষ্টি হয়েছে অনেক বেশি সুযোগ। প্রযুক্তির অন্যতম সংযোজন হলো ইন্টারনেট, যার প্রভাব আমাদের জীবনে অপরিসীম। ইন্টারনেটের কারণে অনেক জটিল বিষয়াদি পরিণত হয়েছে আগের চেয়ে আরও অনেক গুণ সহজে। তৈরি হয়েছে ঘরে বসে অনলাইনে আয়ের অনেক অনেক সুযোগ।

[lwptoc numeration=”decimal”]

আমরা এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে নানাভাবে ঘরে বসে আয় করতে পারছি। এজন্য রয়েছে অনেকগুলো অনলাইন প্লাটফর্ম।অনলাইনে আয়ের এক্ষেত্রগুলোকে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস বা ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট বলা হয়। তবে এক্ষেত্রে আপনি কোন প্লাটফর্মটি ব্যবহার করছে সে ব্যাপারে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। কারণ ঘরে বসে ইন্টারনেট বা অনলাইনে আয় যেমন সহজ, তেমনি রয়েছে প্রতারিত হওয়ারও সম্ভাবনা।

অনলাইনে আয় করতে আপনার প্রয়োজন মেধা, শ্রম আর সময়ের। এই তিনটি জিনিসকে ঠিকঠাকভাবে কাজে লাগাতে পারলে অনলাইন হতে আয় করা সহজ। এক্ষেত্রে বলে নেওয়া ভালো—অনলাইনে আয় করার সহজ উপায় রয়েছে ঠিকই, তবে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়ার সুযোগ নেই। এমন কিছু করতে গেলে প্রতারণার আশ্রয় নিতে হবে আপনাকে। আর এমন কিছু করা একেবারেই অনুচিত। তাই পরামর্শ থাকবে প্রতারণামূলক কাজের ক্ষেত্র থেকে নিজেকে অবশ্যই সরিয়ে রাখবেন।

আরো পড়ুন- ৬৯ টি অসাধারণ উপায়ে অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারেন

আপনি পেশায় একজন শিক্ষার্থী? কিংবা গৃহিণী? বা চাকুরীজীবী? হয়তো ভাবছেন অনলাইনে আয় আপনার জন্য নয়। আপনি জেনে অবাক হবেন ছাত্র ও গৃহিণীসহ সবার জন্যই আছে অনলাইনে আয়ের নানা উপায়। 

অনেকে ভাবেন চাকরি করে ফ্রিল্যান্সিং করা কঠিন। হ্যাঁ কিছুটা কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। ইচ্ছা ও চেষ্টা থাকলে চাকরিজীবিদের জন্যও আছে অনলাইনে আয়ের উপায়। আপনি যে পেশারই হয়ে থাকুন না কেন, চাইলে কাজের ফাঁকে কিছু সময় বের করে নিয়ে অনলাইনে আয় করতে পারেন। অবসরে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা ব্যয় করলে মাসে মোটামুটি ভালো অংকের অর্থ আয় করার সুযোগ রয়েছে। এতে করে আপনার পড়াশুনা, ঘরের কাজ বা চাকরির কোনো ক্ষতি হবে না। এমনিতে দিনের বেশ বড়ো একটা সময় আমরা ফেসবুক, টুইটর, গেমিংসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাভজনক কিছু না করে ব্যয় করে থাকি। তাই চাইলে খানিকটা সময় কাজে লাগিয়ে আমরা ঘরে বসেই আয় করতে পারি।

ঘরে বসে অনলাইনে সহজে আয় করার উপায়

ঘরে বসে অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে রয়েছে বেশকিছু ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট ও রিসোর্স, যেগুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনি আয় করতে পারেন। চলুন অনলাইনে আয় করার সহজ উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক :

১। গ্রাফিক ডিজাইন

ঘরে বসে অনলাইনে আয়ের অন্যতম মাধ্যম হলো গ্রাফিক ডিজাইন, যা খুবই জনপ্রিয়। অনলাইন মার্কেট প্লেসগুলোতে এ কাজে দক্ষ ব্যক্তিরা তাদের করা বিভিন্ন ডিজাইন দিয়ে রাখেন। ক্রেতাদের পছন্দ হলে পরে নিজেদের পছন্দের ডিজাইনটি তারা কিনে নেন সেখান থেকে। এভাবেই গ্রাফিক ডিজাইন করে আয় করা যায়। এই ধরনের একটি ডিজাইন অনেকবার বিক্রি হয়, অর্থাৎ—একটি ভালো ডিজাইন থেকে একটা লম্বা সময় ধরে আয় আসতে থাকে। গ্রাফিকসের কাজ বিক্রি করার জন্য এ ধরনের অনেকগুলো ওয়েবসাইট রয়েছে। এর মাধ্যমে আয় করতে হলে আপনাকে গ্রাফিকস ডিজাইন শিখতে হবে।এজন্য ইউটিউব, বই ও বিভিন্ন ওয়েবসাইটে/ব্লগে গ্রাফিক ডিজাইন বাংলা টিউটোরিয়াল পাবেন।   প্রাথমিকভাবে এডোবি ফটোশপ ও এডোবি ইলাস্ট্রেটর দিয়েই শুরু করতে পারেন।

আরো পড়ুন- দক্ষ লোগো ডিজাইনার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করতে চান? পড়ুন এই লেখাটি

২। ডেটা এন্ট্রির মাধ্যমে অর্থ আয়

ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমেও আয়ের সুযোগ রয়েছে। যদিও এক্ষেত্রে আয়ের পরিমাণটা খুবই কম হয়ে থাকে। যদিও অটোমেশনের কারণে এ ধরনের কাজ আজকাল তেমন একটা পাওয়া যায় না বললেই চলে। কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সুবিধা থাকার পাশাপাশি দ্রুতগতির টাইপিং দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিরাই এ ধরনের কাজের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। বেশির ভাগ ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে এ ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে। তবে যারা কোনো কাজে দক্ষ, তারা সহজেই কাজ পান। সেই সাথে পারেন দ্রুততার সাথে নিজেদের আয়ের পরিমাণটাও বাড়াতে।তাই দক্ষতা ও ইচ্ছা থাকলে অবশ্যই ডাটা এন্ট্রি কাজ শিখুন।

A Complete Guidance on Data Entry Jobs - Talent Economy

৩। পিটিসি সাইট থেকে ইনকাম

পিটিসি সাইট কি? এমন কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে, যেগুলোতে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলেই আপনাকে টাকা দেওয়া হবে। এ ধরনের সাইটগুলোকে বলা হয় পিটিসি সাইট। কাজ শুরুর আগে সাইটগুলোতে অবশ্য নিবন্ধন করে নিতে হয়। তবে মনে রাখতে হবে পিটিসি সাইটগুলো বেশির ভাগই ভুয়া হয়ে থাকে। তাই কাজের আগে নিশ্চিত হতে হবে সেটি প্রকৃত ও বিশ্বস্ত পিটিসি সাইট কিনা।

blank

৪। কনটেন্ট রাইটিং করে আয়

যারা লেখালেখিতে ভালো এবং একে অধিক ভাষায় বেশ সাবলীলভাবেই লিখতে পারেন, তাদেরকে কাজের জন্য একেবারেই বসে থাকতে হয় না বলা চলে। বর্তমানে এমন অনেক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে কাজ করে বা লিখে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। আপনার লেখা আর্টিক্যালটির মানের ওপর ভিত্তি করে আয় করতে পারেন অর্থ। এক্ষেত্রে আপনি যে ব্যক্তির কাছ থেকে কাজ নেবেন তিনি কিছু নির্দিষ্ট নীতি মেনে লেখার জন্য বলতে পারেন। নির্দিষ্ট বিষয় ধরে নিজের দক্ষতা বাড়াতে পারলেই আয়ের ধারাও বেড়ে যাবে। বাংলাদেশেও এরকম কিছু বাংলা ওয়েবসাইট আছে যাতে লিখে আপনি আয় করতে পারবেন।

এছাড়া লেখালেখি করে আয় করার ওয়েবসাইট ও পেমেন্ট বিকাশে পাওয়া যায় এরকম আছে- বাংলাহাব (www.banglahub.com.bd)। 

blank

৫। ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়?

ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাটের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো এখন আর কেবলমাত্র বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার জন্যই ব্যবহৃত হচ্ছে না। এগুলো কাজে লাগিয়ে আপনি আয়ও করতে পারবেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ডের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পরিকল্পকদের প্রচুর অর্থ দেওয়া হয় শুধুমাত্র তাদের ব্র্যান্ডের প্রচার করার জন্য। অনলাইনে গ্রাহকদের আকর্ষণ করা অথবা পণ্যের প্রচার ও প্রসারে অবশ্য সৃজনশীলতার মতো গুণ থাকা দরকার। বিভিন্ন পোস্ট তৈরি অথবা ভিডিয়োর মাধ্যমে ফেসবুক বা অন্যান্য মাধ্যমগুলোতে প্রকাশ করার মধ্য দিয়ে সেগুলোর ব্যবহারকারীদের কাছে নিজের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে পারলে ভালো অর্থ আয় করার সুযোগ তৈরি হয়। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যান-ফলোয়ার তৈরি করা এবং তাদের ধরে রাখতে প্রচুর ধৈর্য ও আকর্ষণীয় কনটেন্ট দিয়ে কাজ করা সবচেয়ে জরুরী।

The hidden costs of social media use in elections: A Ghana case study

৬। ওয়েব ডিজাইন

অনলাইনের কাজের ক্ষেত্রে বর্তমানে ওয়েব ডিজাইনের চাহিদা অনেক। কোনো কোনো সময় এক একটি প্রকল্প বা প্রজেক্ট হতেই ২০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত সহজেই আয় করা যায়। অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার রয়েছে অনেক সুযোগ।

সকল ব্যবসায়ীই যে প্রযুক্তিপ্রেমী এমনটা নয়। নিজেদের ওয়েবসাইট তৈরিতে তাদের দরকার পড়ে ওয়েব ডিজাইনারের। যারা ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে চান, নিজেদের একটা ওয়েবসাইট খুলে সেখান থেকেই ছোটো ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন খুব সহজেই। ওয়েবসাইট তৈরিতে এখন কোডিং আর ওয়েব ডিজাইন দুটিই গুরুত্বপূর্ণ। কেবল ওয়াবসাইট তৈরিতে নয়, এর পাশাপাশি ওয়েবসাইট ব্যবস্থাপনা ও হালনাগাদের কাজেও ওয়েব একজন ডিজাইনারের দরকার পড়ে। তাই ওয়েব ডিজাইনারকে বসে থাকতে হয় না। একজন ওয়েব ডিজাইনারের আয় তার ক্লায়েন্ট ও কাজের ওপর ভিত্তি করে বাড়তে থাকে।

আরো পড়ুন৩৭ টি চমৎকার/সেরা ওয়েবসাইট যা আপনাকে শেখাবে একটি নতুন স্কিল

5 Web Design Trends That Have Real Staying Power - Open Designs India

৭। ব্লগিং থেকে আয়

এমন অনেকেই রয়েছে যারা শখের বশে অনেক বিষয় নিয়েই লেখালেখি করে থাকেন। কিন্তু শখের এই বিষয়টিকে যদি কেবলমাত্র শখের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না রেখে পেশাগত কাজে লাগাতে পারেন, তবে অনলাইনে আয় করতে পারবেন।ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়? এর উত্তর নির্ভর করছে- আপনি কত ভাল লিখেন ও প্রযুক্তি নিয়ে সর্বশেষ তথ্য জানেন ও তার প্রয়োগ করতে পারেন তার উপর।

ব্লগিং করেও আয় করার সুযোগ রয়েছে। ব্লগ থেকে দুটি উপায়ে আয় করা যায়। এর মধ্যে একটি হচ্ছে নিজের ব্যক্তিগত ব্লগ সাইট তৈরি করার মাধ্যমে। ওয়ার্ডপ্রেস বা টাম্বলার প্ল্যাটফর্মে বিনা মূল্যে সাইট খুলে ব্লগিংয়ের মাধ্যমে শুরু করতে পারেন। আবার চাইলে ডোমেইন হোস্টিং কিনেও ব্লগিং করতে পারেন। তবে নিজে ব্লগ চালু করতে গেলে কিছু বিনিয়োগ করার দরকার হবে ডোমেইন, হোস্টিং কিনতে। এক্ষেত্রে পরামর্শ থাকবে নিজের ব্লগ শুরু করাটাই ভালো। এতে করে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোনো পরিবর্তন আনার সুযোগ থাকে। বিজ্ঞাপন, ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিক্যাল, পণ্যের পর্যালোচনা প্রভৃতি নানা উপায়ে ব্লগ থেকে আয় করতে পারবেন। তবে ব্লগ লিখে আয় করতে চাইলে রাতারাতি আয় আসবে না। এজন্য প্রয়োজন প্রচুর সময় আর ধৈর্য। অন্যদিকে অনেকের ব্লগ থেকে আয় করতে গেলে কয়েক বছর পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। ব্লগে নিয়মিত কনটেন্ট আপডেটসহ তা সক্রিয় রাখতে কাজ করে যেতে হয়।

Blogging For Dummies Cheat Sheet - dummies

৮। You tube থেকে টাকা আয়

যারা ব্লগ লেখালেখির মাধ্যমে আয় করতে স্বচ্ছন্দবোধ করেন না, তারা ক্যামেরার সাহায্য নিয়ে ভিডিও তৈরি করে ইউটিউব থেকে আয় করতে পারেন। এজন্য অবশ্য সৃজনশীল আইডিয়া থাকতে হবে। সেই সাথে জানতে হবে ভালো সম্পাদনা। নিজের ইউটিউব চ্যানেল খুলে তাতে ভিডিও আপলোড করে সেখান থেকে আয় করতে পারেন।

আপনার চ্যানেল কোন ক্যাটাগরির এবং চ্যানেলটিতে কোন ধরনের ভিডিও রাখবেন, তা আগেভাগেই ঠিক করে নিন। যে বিষয়ে মানুষের আগ্রহ বেশি, সেই বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিন। আগ্রহের বিষয়ে ভিডিও না রাখলে মানুষ তা দেখবে না। আর ভিডিও না দেখলে আপনার চ্যানেল থেকে আয় আসবে না। বিষয়টি অনেকটাই ব্লগের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। তবে এক্ষেত্রে কনটেন্ট হচ্ছে বিভিন্ন বিষয়ে আপনার তৈরি করা ভিডিও। চ্যানেলের সাবসক্রাইবার ও ভিডিও দেখার সময় বাড়লে আয়ের সম্ভাবনা বাড়বে। প্রতি হাজার ভিউয়ের হিসাবে গুগল থেকে পাবেন অর্থ।

How to Earn Money from YouTube Channel

৯। ফ্রিল্যান্সিং

ঘরে বসে অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার বিষয়টি সবচেয়ে জনপ্রিয়। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে ফ্রিল্যান্স কাজের সুযোগ দেয় কয়েকটি ওয়েবসাইট। সেখানে অ্যাকাউন্ট খুলে দক্ষতা অনুযায়ী কাজের জন্য আবেদন করতে হয়। কাজদাতা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী যোগাযোগ করে ফ্রিল্যান্সারকে কাজ দেয়।

কয়েকটি ওয়েবাসাইটে কাজের দক্ষতার বিবরণ জানাতে হয়, যাতে ক্রেতা সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। এসব সাইটের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়া যায় মূলত ফাইভার ডটকম, আপওয়ার্ক ডটকম, ফ্রিল্যান্সার ডটকম ও ওয়ার্কএনহায়ার ডটকম নামক সাইটগুলোয়। ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত আয়ের সুযোগ রয়েছে এসব সাইট থেকে।

আসুন জেনে নিই, বাংলাদেশি কিছু ফ্রিল্যান্সিং সাইটের নাম বিল্যান্সার. কাজ-কী ,The 2 hours job

তবে এক্ষেত্রে আমাদেরকে মনে রাখতে হবে, কাজ শেষ করার পর কাজদাতার অনুমোদন পেলেই তবেই অর্থ ছাড় দেবেন তিনি। উল্লেখ্য আপনার কাজের মানের ওপর ভিত্তি করে আপনাকে দিয়ে যে কাজ করিয়ে নিচ্ছেন, তিনি রেটিং দিতে পারেন। আর গ্রাহকের যতক্ষণ পর্যন্ত কাজ পছন্দ না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত একজন ফ্রিল্যান্সারে কাজ করে দিতে হয়। কাজ শেষে মিলবে অর্থ। এই অর্থ বিভিন্ন অনলাইন পেমেন্ট মাধ্যম ব্যবহার করে আনা যায়।

How to Turn Your Freelancing Hobby Into a Career

১০। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

এই পদ্ধতিতে আয় করতে চাইলেও প্রয়োজন হবে নিজের ওয়েবপেজ বা ব্লগ। আর আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগটি যখন চালু হবে, তখন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লিংক এতে যুক্ত করে নিতে পারবেন। আপনার সাইট থেকে যখন ওই প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা কোনো ভিউয়ার কিনবেন, তখনই আপনার পকেটে টাকা আসতে শুরু করবে।

Earn Passive Income through Affiliate Marketing Program

১১। নিজের ওয়েবসাইট তৈরি

এখন নিজের ওয়েবসাইট তৈরির জন্য ডোমেইন নির্বাচন, টেমপ্লেট ও ওয়েবসাইট তৈরির নকশা প্রভৃতি উপাদান অনলাইনেই পাওয়া যায়। এখন হয়তো আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে, ওয়েবসাইট থেকে কিভাব টাকা আয় হবে। যখন পাঠক বা ভিউয়ারকে ওয়েবসাইটের বিভিন্ন কনটেন্ট সেবা দেওয়ার সকল প্রস্তুতি সুসম্পন্ন হবে, তখন গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন। গুগলের বিজ্ঞাপন যখন সাইটে দেখানো শুরু হবে এবং তাতে ক্লিক পড়বে, তখন আয় আসতে শুরু করবে। ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বা দর্শক বাড়ার সাথে সাথে বাড়বে আয়ের পরিমাণ।

 

১২। ভার্চ্যুয়াল এসিস্ট্যান্ট হিসেবে আয়

ভার্চ্যুয়াল সহকারীদের কাজের ক্ষেত্র আগের চেয়ে এখন অনেক বেড়েছে। ঘণ্টা প্রতি বেড়েছে আয়ের পরিমাণও। রয়েছে বাড়িতে বসেই করপোরেট অফিসের নানা কাজ অনলাইনে করে দেওয়ার সুবিধা।

ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে কর্মী বা নিজের ব্যবসা নিজেই চালানো যায়। বিভিন্ন দক্ষতার ভিত্তিতে ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ দেওয়া হয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে। এর মধ্যে রয়েছে ফোন কল, ই-মেইল যোগাযোগ, ইন্টারনাল রিসার্চ, ডেটা এন্ট্রি, এডিটিং, রাইটিং, ব্লগ, গ্রাফিকস, টেক সাপোর্ট, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবস্থাপনার মতো কাজ। ২৪/৭ ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যাচ, ফ্রিল্যান্সার ডটকম, পিপল পার আওয়ার, আপওয়ার্কের মতো সাইটগুলোতে ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট বা সহকারী হিসাবে কাজ পাওয়া যায়।

Virtual Assistant - IlonaMeier.com

১৩। অনলাইন টিউটর

আপনি যদি কোনো বিষয়ে পারদর্শি হয়ে থাকেন, তবে অনলাইনে সেই বিষয়ে শিক্ষা দিতে পারেন। অনলাইন টিউটরদের চাহিদা বর্তমানে প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সব বয়সী শিক্ষার্থীদেরকেই আপনি অনলাইন টিউটরের মাধ্যমে শিক্ষা দিতে পারবেন। এখানে রয়েছে অন্য দেশের শিক্ষার্থীদের পড়ানোর সুযোগ। অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অনলাইন টিউশনির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। সেখানে সুবিধামতো সময়ে পড়াতে পারেন। এসব সাইটে নিজের দক্ষতার পরীক্ষা দিতে হয়। একবার নির্বাচিত হয়ে গেলে ওয়েবিনার পরিচালক হিসাবে আপনি অনলাইন সেশন পরিচালনা করতে পারেন। দক্ষতা বাড়লে এখান থেকে সুযোগ আছে মোটা অংকের অর্থ আয়ের।

Hiring An Online Tutor: 10 Factors To Consider - eLearning Industry

১৪। অনলাইনে পেইড সার্ভে (জরিপ), সার্চ ও রিভিউ থেকে আয়

অনলাইন জরিপে অংশ নিয়েও অর্থ আয়ের সুযোগ রয়েছে এখন। এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোর জরিপে অংশ নিলে তার অংশগ্রহণকারীকে অর্থ দেয়। আবার অনলাইন সার্চ ও পণ্যের রিভিউ লিখেও আয় করার সুযোগ রয়েছে। তবে, এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত তথ্যের পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ড বা ব্যাংকিং তথ্য প্রদানেরও প্রয়োজন দেখা দিতে পারে। তাই এ ধরনের কাজ করার সময় আপনাকে সতর্কতার সাথে কাজ করতে হবে। কাজ করার সময় কোনটা প্রকৃত কাজ আর কোনটি স্ক্যাম—যাচাইবাছাই না করেই কাজ করতে যাবেন না। এজন্য কাজ শুরুর আগেই ভালোভাবে যাচাইবাছাই করে নিতে পারেন।

১৫। অনুবাদ করে আয়

বাংলা ও ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি অন্য যেকোনো ভাষা ভালোভাবে জানা থাকলে সেই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়েও এখন অর্থ আয় করা যায়। এমন বেশ কিছু ওয়েবসাইট আছে যেখানে বিভিন্ন ডকুমেন্ট অনুবাদ করে আপনি অর্থ আয় করতে পারবেন। যাদের স্প্যানিশ, ফ্রেঞ্চ, আরবি, জার্মানসহ অন্যান্য ভাষা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রয়েছে এবং এই ভাষাগুলো থেকে যেকোনো কিছু ইংরেজিতে অনুবাদ বা ইংরেজি থেকে এসব ভাষায় অনুবাদ করতে পারেন, তারা চাইলেই অনুবাফ করে ভালো ইনকাম করতে পারেন। অনেক সময় নিজে সময় করে উঠতে পারার অভাবে অনুবাদের কাজ ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে করিয়ে নেন অনেকেই। ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতেই এ ধরনের কাজ পাবেন।

অনলাইনে আয় করার কয়েকটি ওয়েব সাইট

ঘরে বসে অনলাইনে অর্থ আয়ের জন্য বর্তমানে বেশ কিছু সাইট রয়েছে। এই সাইটগুলোর মাধ্যমে প্রতি মাসে ভালো অংকের অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। এ ধরনের কাজ করার জন্য রয়েছে বেশ কিছু ওয়েবসাইট।

একজন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে ফাইভার ডটকম, আপওয়ার্ক ডটকম, ফ্রিল্যান্সার ডটকম, পিপল পার আওয়ার ও ওয়ার্কএনহায়ার ডটকম থেকে আপনি নিজের জন্য পছন্দের কাজটি পেয়ে যেতে পারবেন। আবার ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে কাজ পেতে ২৪/৭ ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যাচ, ফ্রিল্যান্সার ডটকম, পিপল পার আওয়ার বা আপওয়ার্কের মতো সাইটগুলো আপনার জন্য সহায়ক হবে।

এছাড়া অনুবাদের কাজগুলো পেতে পারেন ফ্রিল্যান্সিংয়ের সাইটগুলো থেকে। ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে নিজের জন্য সাইট তৈরিতে ব্যবহার করতে পারেন ওয়ার্ডপ্রেস। আয় করতে পারবেন ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিক্যাল, পণ্যের পর্যালোচনা ইত্যাদি নানা উপায়ে ব্লগ থেকে। ভিডিইয়ো ব্লগিংয়ের জন্য রয়েছে ইউটিউবের মতো সাইট। এছাড়া রয়েছে গুগল অ্যাডসেন্স।

বাংলাহাব প্রশ্ন-উত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি ওয়েবসাইট বাংলাহাব Answers থেকে পাঠকের কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর। আপনিও ভিজিট করুন ও প্রশ্ন-উত্তর দিন।

প্রশ্ন- কীভাবে অনলাইনে কন্টেন লিখে টাকা আয় করতে পারব ?

উত্তর- অনলাইনে আকর্ষণীয় কনটেন্ট লেখার মাধ্যমে আয় করা যেতে পারে। এজন্য নিজেস্ব ওয়েবসাইট থাকলে ভালো। ওয়েব সাইটে বিভিন্ন বিষয়ে আর্টিক্যাল লিখে সেগুলোর মাধ্যমে পাঠক বা ভিউয়ার বাড়িয়ে নিজের ওয়েবসাইটটি থেকে আয় করা যায়। এতে করে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে টাকা আয় করা যায়। এছাড়া বিভিন্ন সাইট রয়েছে যেখানে আপনি কনটেন্ট লেখার বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

প্রশ্ন- ফ্রিলেন্সিং করে সত্যি কি আয় করা সম্ভব?

উত্তর- হ্যাঁ, আয় করা যায়। এজন্য দরকার কিছু বিষয়ে দক্ষতা। আপনার দক্ষতা অনুযায়ী ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো থেকে কাজ নিতে পারবেন। এসব সাইটের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়া যায় মূলত ফাইভার ডটকম, আপওয়ার্ক ডটকম, ফ্রিল্যান্সার ডটকম ও ওয়ার্কএনহায়ার ডটকম নামক সাইটগুলোয়। ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত আয়ের সুযোগ রয়েছে এসব সাইট থেকে।

প্রশ্ন- ওয়েব সাইট বানিয়ে কিভাবে টাকা আয় করা যায়

উত্তর- যখন পাঠক বা ভিউয়ারকে ওয়েবসাইটের বিভিন্ন কনটেন্ট সেবা দেওয়ার সকল প্রস্তুতি সুসম্পন্ন হবে, তখন গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন। গুগলের বিজ্ঞাপন যখন সাইটে দেখানো শুরু হবে এবং তাতে ক্লিক পড়বে, তখন আয় আসতে শুরু করবে। ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বা দর্শক বাড়ার সাথে সাথে বাড়বে আয়ের পরিমাণ।

প্রশ্ন- ফাইবারে উপার্যিত টাকা পাওয়ার উপায় কি?

উত্তর- ফাইভার থেকেও টাকা উত্তোলন নিরাপদ। বাংলাদেশ থেকে সহজে টাকা উওোলনের মাধ্যম হল payoneer মাস্টার কার্ড।