বি:দ্র: বিভিন্ন সাইটে এবং ফেসবুকে অরিন্দম বড়ুয়া সৈকতের নাম দিয়ে প্রকাশিত ভাইরাল হওয়া সুইসাইড নোটটির কোন বাস্তবতা আমরা খুঁজে পাইনি তাই সেটি এই পোস্ট থেকে ডিলিট করে দেয়া হয়েছে। এজন্য আমরা আমাদের পাঠক যারা সংশোধনী দিয়েছেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে এবারের এইচ এস সি পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যয়ের কথা সবাই ইতোমধ্যে জেনে গেছেন। কিন্তু যেটা পুরো দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে সেটা হচ্ছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অরিন্দম বড়ুয়া সৈকতের এইচ এস সি পরীক্ষায় অপ্রত্যাশিত ফলের জন্য আত্মহত্যা। মৃত্যুর আগে ফেসবুকে সে বেশ কয়েকটি পোস্ট দিয়েছিল, যাতে ছিল তার মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ার ইঙ্গিত।
জুলাই ২৪ তারিখে সকালে সে লিখেছিল-
“এতো জিপিএ ৫-পাশের ভীড়ে,
আমার স্ট্যাটাস গুলো কী কারো চোখে পড়ে?
পড়বে না। পরার কথাও না।
যেদিন আমার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়বে এই নীল সাদার দুনিয়ায়,যেদিন আমার মৃত্যুর খবর পত্রিকায় ছাপবে…ঠিক সেইদিন হয়তো “miss you” #RIP হ্যাশট্যাগে ভড়ে উঠবে ফেইসবুক ওয়াল।
আমার সাথেই চলে যাবে আমার না বলা কথা গুলো!
এইটাই তো দুনিয়া। এইটাই তো একজন মানুষের মৃত্যু পরবর্তী অন্তস্টিক্রিয়া!
এটাই তো হেরে যাওয়া এক সৈনিকের প্রাপ্তি!”
একই দিন তার আরেকটি স্ট্যাটাস-
“will miss everyone.
ভালোবাসি সবাইকে”
জুলাই ২৩, দুপুর তিনটা
হেরে গেলাম!
জুলাই ২৩ সকাল ১০.৪৭
“দুই বছর কেটে গেলো। কোন চুতমাড়ানি খবর নিলো না! কেমন আছি,কী অবস্থায় আছি। ভাল আছি নাকি কোন অসুবিধায় আছি। কোন খবর নিলো না!! 🙂
আজ রেজাল্ট দিবে! তাই,ফোন করে রেজাল্ট জিজ্ঞেস করে! অশ্লীল অট্টহাসি শোনায়!!
Bloddy Bastards!
এর আগে সে লিখেছে-
“মৃত্যু কী শ্রেয় নয়?”
এই আমরাই থ্রি ইডিয়টস মুভি দেখে হাত তালি দিতে পারি, কিন্তু বাস্তব জীবনে অন্যদের ব্যর্থতা, দুর্বলতা নিয়ে সমালোচনা করতে পিছপা হই না। এই আমরাই ফেসবুকে নিজেদের আপন জনের তিলে তিলে কষ্ট পাওয়া দেখে লাইক কমেন্ট দিয়ে ভাসিয়ে দিই; কিন্তু বাস্তবে তার পাশে দাঁড়াই না।
সৈকতের আত্মহত্যা তাই আমাদের এই রেজাল্ট, সামাজিক সম্মানলোভী আর ফেসবুকমুখী সমাজের মুখে থুথু বাদে আর কিছুই নয়।
সৈকতের ফেসবুক আইডি “রিমেম্বারিং” হয়ে গেছে। আমরা ভুলে যাবো। আবার আরেকজন এভাবে চলে যাবে, আমরা লাইক, শেয়ার, কমেন্টে ভাসিয়ে দেব।