পৃথিবীতে হাজারো রকমের খাবার রয়েছে। এর মধ্যে কিছু আছে পুষ্টিকর, কিছু আছে স্বাস্থ্যের জন্য থেকে ক্ষতিকর। তাই সবদিক বিবেচনা করে আজ এমন ৫টি খাবারের কথা আপনাদের জানাবো যা সকল বয়সী সব মানুষের জন্য স্বাস্থ্যকর।
১: ডার্ক চকলেট
চকলেট মানেই ডায়বেটিসের ও ওজন বৃদ্ধির প্রভাবক, এমনটা কিন্তু নয়। চকলেটের বিভিন্ন ধরণ রয়েছে এবং এদের মাঝে ডার্ক চকলেট বেশ স্বাস্থ্যকর। এতে দুধের পরিমাণ কম থাকে এবং কোকোয়ার পরিমাণ বেশি থাকে। তাছাড়া এতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার এবং কপার। কিন্তু অন্যান্য চকলেটের মতো ডার্ক চকলেটেও ক্যালরির পরিমাণ বেশি রয়েছে। তাই খাওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন যেন বেশি পরিমাণে না খেয়ে ফেলেন।
ডার্ক চকলেটের কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতা:
– ডার্ক চকলেটে কোকোয়ার পরিমাণ বেশি থাকে। কোকোয়াতে রয়েছে ফ্ল্যাভিনয়েড কম্পাউন্ডস যাতে আ্যন্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে যা হৃদরোগ থেকে বাঁচতে সাহায্য করে।
– এটি শরীরের ক্ষতিকারক LDL কোলেস্টেরল কমায়।
– ডার্ক চকলেটে রয়েছে সেরোটোনিন যা আ্যন্টিডিপ্রেসেন্ট হিসেবে কাজ করে।
২: পালং শাক
পালং শাক যে শরীরের জন্য কত উপকারী, সে সমন্ধে হয়তো আপনার কোন ধারণাই নেই! পালং শাকে রয়েছে ভিটামিন A, C, K, B2, আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম। পালং শাক আপনার চুল, ত্বক এবং হাড়ের জন্য অসম্ভব উপকারী!
পালং শাকের কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারীতা:
– পালং শাক ফাইবারে ভরপুর, যা আপনার পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখবে।
– উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য এটি খুবই উপকারী। পালংশাকে উপস্থিত পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
– ডায়বেটিস রোগীদের রক্তের চিনি কমাতে এবং ইনসুলিন লেভেল বাড়াতে সহায়তা করে।
মিষ্টি আলু:
এই সবজীটিকে আমরা খানিকটা অবহেলার চোখে দেখি। কিন্তু সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার পেছনে মিষ্টি আলু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। মিষ্টি আলুর মতো সস্তা অথচ পুষ্টিতে ভরপুর সবজী খুব কমই আছে।
মিষ্টি আলুর কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারীতা:
– মিষ্টি আলুতে রয়েছে বেশ ভালো পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ই যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
– মিষ্টি আলুতে খুব বেশি পরিমাণে রয়েছে ডায়েট্রি ফাইবার যা আপনার পরিপাকশক্তিকে আরো শক্তিশালী করে।
– এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন মিনারেল যা রক্তের শ্বেত রক্তকণিকা গঠনে সাহায্য করে।
রসুন:
এই বাংলাদেশে এমন কোন বাড়ি নেই, যেখানে রসুন পাওয়া যাবে না! বহুবছর ধরে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য রসুন ব্যবহৃত হয়ে আসছে। রসুনের রয়েছে আ্যন্টি ব্যাকটেরিয়াল, আ্যন্টি ফাংগাল এবং আ্যন্টি ভাইরাল ক্ষমতা।
রসুনের কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারীতা:
– প্রতিদিন রসুন খেলে তা কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
– হার্ট আ্যটাকের ঝুঁকি কমায়।
– এটি রক্তের স্যুগার কমায়, ইনসুলিন লেভেল বাড়ায়, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
কাঠবাদাম :
অন্যান্য বাদামের চেয়ে কাঠবাদামের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। এতে প্রচুর পরিমানে মিনারেলস, আ্যন্টি অক্সিডেন্ট এবং প্রোটিন রয়েছে। আরো রয়েছে মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড যা দেহের ক্ষতিকারক LDL কোলেস্টেরল কমায় এবং উপকারী HDL বাড়ায়।
কাঠবাদামের কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারীতা:
– কাঠবাদামে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ এবং কপার, যা শরীরের এনার্জি ধরে রাখতে সাহায্য করে।
– এতে উপস্থিত ফলিক এসিড আর্টারীতে ফ্যাটি প্লাক জমতে বাঁধা দেয়।
– কাঠাবাদামের ভিটামিন ই এবং ম্যাগনেসিয়াম হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
এই সবকয়টি খাবারই আমাদের হাতের কাছে মোটামুটি সাধ্যের মধ্যেই আমরা পেতে পারি। এদের দ্বারা আমাদের শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে পারি।