বুক রিভিউঃ মায়াডোরে গাঁথিত চারখানা বই…

শঙ্খরঙা জল
তানিয়া সুলতানা

কলমি, হেলচা লতা ভর্তি দিঘি। দিঘির ধার ঘেষে ছাউনি দেওয়া ঘর। ছবির মতো সুন্দর কিন্তু বড্ড সাদামাটা ঘরে জন্ম হলো কুমুর। জন্মের পরেই মা মারা গেল। বাচ্চা মেয়েটার আল্লাহর হিসেব নিকেষ বোঝার বয়স হবার আগেই প্রবল ঝড় কেড়ে নিলো জগৎ সংসারে তার একমাত্র আশ্রয়, বাবাকে। তারপর চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এই অভাগীর ঠাঁই হলো মামার সংসারে…

ওদিকে সৈয়দ বাড়ির রাজকীয় কুটির মাত করে চলতো, সৈয়দ জসীমের দুই ঘরের দুই সন্তান, হারুন আর শিরিন। গতানুগতিক সৎ মায়ের মত নন সৈয়দ জসীমের দ্বিতীয় স্ত্রী রাবেয়া। নিজের সন্তানের মতো করে, বলতে গেলে নিজের সন্তানের চেয়েও বেশি মমতা দিয়ে বড় করলেন হারুনকে। রাবেয়ার সংসারে হারুন ছাড়াও মেয়ে আর মেয়েজামাই জুবায়েরের বসবাস…

ওদিকে হারুনের জন্য মেয়ে খুঁজতে খুঁজতে গেদু ঘটক গিয়ে পৌঁছল, কুমুর মামা-মামীর দুয়ারে… সারাক্ষণ মুখ ঝামটে বেড়ানো মামী হঠাৎ করেই কেমন বদলে গেলেন। মামার সাথে ফিসফিসে গলায় কী নিয়ে যেন আলাপ করেন তিনি। কুমুর বিয়ে নিয়ে কোন রহস্যের জাল বুনছেন তারা? এতো লুকোছাপার কারণ কী? 
সেসব রহস্য ভেদ করে জনমদুখিনী কুমুর দুঃখ কি ঘুচবে? বাপ মা হারা মেয়েটাকে ভালোবাসায় শিক্ত করার জন্য কেউ কি আছে?

“মানুষ শব্দে অভ্যস্ত, নীরবতায় নয়। অথচ নৈশব্দেও কত কথা থাকতে পারে, তা যদি লোকে উপলব্ধি করতো!” কী চমৎকার ভাবনা! নৈশব্দের প্রেমগুলো কী অর্থবহ হয়…

হারুন যখন ভাবে, “না হোক কুমুর সাথে সাধারণ আর দশটা সংসারের মত সংসার করা, নাইবা হলো জোছনার আলোয় নোলক পরা ওর মায়ামাখা হাসি… “ কেমন যেন গা শিরশির করে উঠলো। কিংবা, “একটি স্থির নীড়ের মায়া পাগলও বোঝে।” – এই ধরনের লাইনগুলো বড্ড বিষণ্ণ করে তোলে।

এই উপন্যাসের বিশেষত্ব এর কাহিনি দিয়ে বোঝা যাবে না। এর বিশেষত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে – লেখনীতে। জীবনধর্মী গল্পের বিশেষত্বই হলো লেখনী। কাহিনি বিচার করে কেউ যদি শঙ্খরঙা জলকে বাংলা সিনেমার সাথে তুলনা করতে চায়, তবে তাকে আমি মূর্খ বলবো। মানছি, এখনকার পাঠক কেবল থ্রিল চায়। কিন্তু আপনি নিশ্চয়ই জীবনধর্মীতে থ্রিল আশা করতে পারেন না?

উপন্যাসের পঙক্তিগুলো খুব দারুণ।

“ঝুম ঝুমান্তি বৃষ্টি হয়
বৃষ্টি কেমন কথা কয়!
ও বৃষ্টি জল বাহারি
দেশ বুঝি তোর মেঘ পাহাড়ি?”

কিংবা-

যে জল বিন্দুতে শুরু ছিল
তার বিন্দুতেই শেষ
যে জলে কেউ সবটা হারালো
সেই শঙ্খরঙা জল।।”

তবে এখানে আমার একটু দ্বিমত আছে। কুমুর জীবনে শঙ্খরঙা জল অপয়া হলেও, এই কষ্টজলে বারবার হোঁচট খেয়ে জর্জরিত হলেও, আমি একে অপয়া বলতে রাজি নই। জীবন যদি কঠিন হয়, প্রকৃতিকে দোষারোপ করে কী হবে?

একটা ব্যাপার আমি কিছুতেই বুঝে উঠতে পারি না। দশ বছর বয়সে যেই লেখিকা গ্রাম, তথা জন্মভূমি ছেড়েছে, সে কেমন করে আবহমান বাংলার আটপৌরে জীবনের গ্রামীণ আবেগপূর্ণ অনুভূতিগুলো- ভালোবাসার বিশালতা, মমতার পাহাড়, দায়িত্ববোধের তাড়না, অপেক্ষার প্রহর, স্বর্গীয়া স্পর্শের ব্যাপারগুলো এত নিখুঁত ভাবে তুলে ধরছেন? তার লেখায় তো এগুলো থাকার প্রশ্নই আসে না। বরং তিনি অনায়াসে ভীনদেশিদের জীবনযাপন নিয়ে লিখতে পারতেন? তবে? তবে এদেশ আর এদেশের মানুষদের প্রখর আবেগের ছড়াছড়ি কেন তার লেখায়?
কিছু মানুষ, অনেক দূরে থেকেও, কাঠখোট্টা নগরীর ব্যস্ত জীবনে বড় হয়েও ভালোবাসার ভালোবাসা গুলো খুঁজে নিতে জানেন। ইনি তাদের মধ্যে অন্যতম। দেশের বাইরে থাকলেই যে নিজের দেশের সংস্কৃতি ভুলে অন্য দেশের সংস্কৃতিচর্চা করতে হবে, তা কিন্তু নয়। আসলে এটা অন্তরে ধারণ করতে হয়। আমরা আবহমান সেই সংস্কৃতির কাছাকাছি থেকেও যেটা অনুভব করতে পারি না, তিনি দূর থেকে অনুভব করেন। তাই তার লেখায় এসব এত নিখুঁত ভাবে ফুটে ওঠে।

এই বইটা পড়ার জন্য, খুব করে বইটা অনুভব করার জন্য যে পরিবেশটা প্রয়োজন, তা হল- বৃষ্টি পরবর্তি মেঘলা আবহাওয়া, খানিক পর পর এক ঝলক ঠান্ডা বাতাস, জানালার পাশে বা, ছাদে বসে খুব দারুণভাবে উপভোগ করা যাবে… অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও আমি এটা পুরোপুরিভাবে করতে পেরেছি।

blankভাঙা জোছনা
তানিয়া সুলতানা

শিমুলডাঙা গাঁয়ে দুটো পাখি ছিল, সুখপাখি আর দুখপাখি। তাদের নিয়েই উপন্যাস ‘ভাঙা জোছনা।’ জোছনা কেন ভাঙবে? ভাঙা জোছনা বলতে কী বোঝায়? সে একেক জনের একেক অনুভূতি।
আমি শুধু জানি, একজন অতি সাধারণ জহিরের কথা। যার প্রিয়তম মানুষটিকে ছুঁয়ে জোছনা পূর্ণতা পেয়েছিল। শেষঅব্দি তার কেন মনে হল, জীবনের অনেক অনুভূতিই পূর্ণতাকে স্পর্শ করে অপূর্ণ থেকে যায়। ভরা জোছনা এক সময় রুপান্তরিত হয় ভাঙা জোছনায়, সে কেই বা জানে।
জানা নেই মনা পাগলার রোজকার ‘চইলা যাব’ একদিন কেন সত্যি হয়ে গেল। কেন সে চন্দ্ররাতে অপার দুঃখ নিয়ে দৌড়ে চলল কোন এক হাহাকারে, হারিয়ে যাবে বলে।
জানা নেই এই এক জনমে, কেন কিছু মানুষ ভুল ঠিকানায় বসত করবে জীবন ভর। যেই প্রশ্ন লালন করেই কাটিয়ে দেয় উদাসী বৈরাগ্য জীবন, সুজন মতি। এভাবেই কতশত অনুভূতি এক চান্নি পসর রাতে যেয়ে মেলে চন্দ্রআলোয়। যাকে ওরা নাম দিয়েছে, ‘ভাঙা জোছনা।’

কদিন ধরে থ্রিলারে ডুবেছিলাম। ভাবলাম এবারে খুন খারাবি ছেড়ে অন্য কিছুতে যাওয়া উচিৎ। চট করে মায়াময়ী লেখিকা তানিয়া সুলতানার ভাঙা জোছনার কথা মাথায় এল। যার লেখার প্রতিটা বাক্যে থাকে মায়ার বুনট।
নাহ, মায়া’র কথা আর কিচ্ছু বলব না। ওটা বাদ দিয়ে বাকি কিছু লিখি। ঠিক করেছিলাম, এই জীবনে হুমায়ূন আহমেদ ছাড়া আর কারো জীবনধর্মী বই পড়ব না। কিন্তু তানিয়াপুনের এই লেখনির সাথে পরিচয় হবার পর সেই প্রতিজ্ঞা ভাংতে বাধ্য হলাম।
একটা বইয়ের প্রতিটা শব্দ, বাক্য, চ্যাপ্টারে এতটা মমতা জড়ানো থাকতে পারে, ভাঙ্গা জোছনা না পড়লে কেউ জানবে না। বইটা শেষ করে টলটলে চোখ নিয়ে নির্জীব হয়ে বসে আছি। বুকচিড়ে একটা হাহাকার বের হল। তার কিছু অংশ বুকের ভেতরেই গুমড়ে মরছে। অথচ এই হাহাকারটা আবার অনুভব করার জন্যই হয়ত এই বইটা আবার পড়তে ইচ্ছে করবে।

লেখিকা চেয়েছিলেন বইটা পড়ে যেন লেখিকার অনুভূতিটুকু পাঠক অনুভব করে। আমি সেটুকু করেছি। মনা পাগলার বুক ফাঁটা আহাজারি ছুঁয়ে যাচ্ছে আমাকে। শেষ মুহূর্তে লিলির অনুভূতিটুকু নিজে অনুভব করছি। খুব কষ্ট হচ্ছে। খুব…

টুকটাক ভুল ছিল। প্রুফ ভালোমত দেখা হয়নি। কিন্তু বইয়ের এই মায়ার সমুদ্রের মধ্যে ডুবে গেলে এগুলি খুব একটা সমস্যা করবে না।
ধুর ছাই! বলছিলাম মায়ার কথা বলব না আর। এসেই যায় কী করে যেন! বইটাই এমন। অসাধারণ বললে যথাযথ ব্যাখ্যা করা হবে না বইটার।

blankনীল পাহাড়
ওবায়েদ হক

আশির দশকের কাহিনি। কাহিনিটা মানিক মিত্র নামের একজন ডাক্তারকে নিয়ে। যার কেউ নেই এই পৃথিবীতে। কারণ সে অনাথ। খোলাখুলিভাবে বললে জারজ। এই মানিক মিত্রকেই নিয়ে এগিয়ে গেছে উপন্যাসিকার কাহিনি।
তার নির্ঝঞ্ঝাট জীবনে পরিবর্তন আসে যখন ডাক্তার সোবহান তাকে বদলি করে দেয় বান্দরবানে। এখান থেকেই গল্পের শুরু।
সিনিয়র ডাক্তার সোবহান সাহেবের সাথে ধন্ধের ফসল হিসেবে তাকে বদলি করে দেওয়া হয় বান্দরবনের বলিপাড়ায়। যেখানে বদলি মানেই বলি ছড়ানো। সেখানে তার সাথে এবং তার আশেপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়েই এগিয়েছে বইয়ের কাহিনি।

পাহাড় আমার খুব প্রিয়। সাথে পাহাড়ি মানুষগুলো। কিন্তু পাহাড়কে ভালোভাবে দেখা হয়নি। মানে গভীর ভাবে। দেখা হয়নি , চেনা হয়নি বলেই হয়তো পাহাড় আমাকে অমোঘভাবে টানে।

নিজের চোখে দেখা ওই পাহাড়ের গল্পটা তাই খুব করে মন ছুঁয়ে গেছে। জলেশ্বরীর মাধ্যমে ওবায়েদ হকের শক্তিশালী লেখনির সাথে পরিচিত হলেও এটাই ওনার সবচেয়ে সেরা বই। অনাথ ডাক্তার মানিকের সাথে আমিও যেন আরেকবার দৌড়ে এসেছি পাহাড়ের কোলে। আসলে বইয়ে পাহাড়ের যেসব বর্ণনা ওবায়েদ হক দিয়েছেন, তার অনেকটাই নিজের চোখে দেখা বলে বইটা পড়ার পুরোটা সময় যেন আমি সত্যি সত্যিই মানিক মিত্রের সাথে ছিলাম। তাছাড়া প্রাণবন্ত বর্ণনায় তা সত্যিই বাস্তব হয়ে ধরা দিয়েছে আমার কাছে। খুব ভাল লেগেছে।

জীবনধর্মী রচনাতেও যে টুইস্ট দেওয়া যায়, এটা ওবায়েদ হকের লেখা না পড়লে বোঝা যাবে না। শেষটা খুব বেশি চমকপ্রদ। পাহাড়টা কেন নীল, সে রহস্য উদঘাটন করে চমকে উঠতে বাধ্য।

এই বইয়ের কিছু কিছু লাইন আমাকে প্রচন্ডভাবে নাড়া দিয়েছিল। বই পড়ে ক্রমাগত কান্নাকাটির অভ্যাসটা ছোটবেলাতেই ফেলে এসেছিলাম। কিন্তু, “মা এসেছিল একদিন কালো শ্লেটে। ‘ম’-এর সাথে ‘আ’-কার দিয়ে মা হয়েছিল।”– মানিক মিত্র যখন এই কথাটা বলে তখন বহুকাল পর চোখটা ঝাপসা হয়ে পড়েছিল।
“খাওয়ার সময় আমার ডাল আমি তোকেই দিব, তুই তোর মা দিস।”
“আমার কালি সব মায়ের নামেই ঢেলে দিতাম। ক্লাসে লেখার জন্য কালি থাকতো না। পণ্ডিত বাবু দাঁড় করিয়ে রাখতো। জানতাম না পেছনের বেঞ্চে এক জোড়া চোখ আমার জন্য জল ফেলত…”
এই লাইনগুলি পড়ার সময় আমি সত্যিই অঝোরে কেঁদেছি। বই পড়া বন্ধ করে কিছুক্ষণ থম মেরে বসে থাকতে হয়েছে।

blankতেইল্যা চোরা
ওবায়েদ হক

“নারীর অশ্রু আর চুলার ছাই কাইল্যা চোরার কাছে একই বস্তু।”
ষাটের দশকের আবহমান বাংলার পটভূমিতে লেখা ছোট্ট উপন্যাস। মানে উপন্যাসিকা। 
বিখ্যাত চোর- কাইল্যা চোরার যোগ্য উত্তরসূরি- তেইল্যা চোরার মত সমাজের প্রাণ বাঁচানো লোকের কথকতা এই বইয়ে। এই গল্প সেইসব অবাধ্য বাঙালির যাদের কাজকর্ম দেশের স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলো নিন্দনীয়, আর ছোট চোখে দেখার মতো। কিন্তু সমাজের সেই উদ্ধত, ভদ্রবেশী মুখোসধারী লোকের চক্ষুশূল এই মানুষগুলোই দেশমাতার দুর্দশায় হয়ে উঠলো আস্থার জায়গা। এই গল্প তাদের, যারা সবার আগে নির্ভয়ে যুদ্ধে গিয়ে বন্দুকের সামনে ঝাপিয়ে পড়েছে।

সমাজে ভালোমানুষ সেজে থাকা লোকগুলোয় কত কত রূপ থাকতে পারে, সাধারণ গ্রাম্য বাঙালির চিন্তাভাবনার গতিপ্রকৃতির ধারা বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে এসেছে নোভেলার পাতায় পাতায়।

ছোট্ট বই, কাহিনি বলে বইয়ের মজা নষ্ট করতে চাই না।

চরিত্রায়ন খুব খুব ভালো লেগেছে। ফজরের চোর থাকা অবস্থায় দয়ালু মন, দেশের জন্য আত্মদান করার সৎসাহস খুব ভালো ফুটিয়েছেন লেখক। কাঠখোট্টা আমেনার চরিত্রের বজ্রকঠিন দৃঢ়তা, চোরের মেয়ে, চোরের স্ত্রী হওয়া স্বত্ত্বেও তার সততা, লাঞ্চনা সহ্য করার ধৈর্য্য, আট দশটা বাঙালি গ্রাম্য নারির তুলনায় আলাদা স্বভাব – মেয়েটাকে অতুলনীয় করে তুলেছে। নাদির গুন্ডা তো বাস্তব চরিত্রই, নির্দ্বিধায় ভালো লাগার মতো। পাগলা প্রফেসর, রোশনি, নশু মাঝি, সুজন, এমনকি দজ্জালটাইপ হুরমতি চরিত্রটাও ভালো লেগেছে।

সামাজিক গল্পে কী করে থ্রিল আনতে হয়, এটা সম্ভবত এখনকার লেখিয়েদের মধ্যে ওবায়েদ হক হাতে কলমে দেখিয়ে দিচ্ছেন।

সাদামাটা গল্পটা যে কখন যুদ্ধের গল্প হয়ে গেল, টেরই পাইনি। পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল, জেলখানার ভিতরে যেন আমিই ছিলাম! যুদ্ধের সেই ভয়াবহ দৃশ্য আমার চোখের সামনেই ঘটছে। যে হুরমতি সবসময় কর্কশ কণ্ঠে চোর চোর করে গালিগালাজ করত, সে যখন বলল, “আরে ব্যাটা তুই কান্দিস না, তুই মুক্তিযোদ্ধার পোলা!”– তখন আমেনার সাথে সাথে আমারও চোখ ভিজে গেছে। বেশ ভাল লেগেছে। চমৎকার লেখনি। মন ছুঁয়ে গেছে।

ওবায়েদ হকের জীবনবোধ অসাধারণ। লাইনগুলো জীবনের কোন না কোন অংশে মিলে যায়। “প্রিয়জনের চেহারা বেশিদিন মনে রাখা যায় না, মন ভুলিয়ে দেয়, যাতে চোখ বার বার তাদের দেখে। সেজন্যই তারা প্রিয়জন।” কী ভয়ঙ্কর সত্য কথা! এরকম আরোও অনেকগুলো লাইন আছে। সবগুলো লিখে বইয়ের আকর্ষণ নষ্ট করা ঠিক হবে না।