আর কয়েকঘন্টা পরই বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে। সবাই দেখি স্মৃতি রোমন্থনে ব্যস্ত। বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া লড়াইয়ে সুখস্মৃতি বলতে মনে পড়ে ২০০৫ সালে কার্ডিফের সেই ঐতিহাসিক ম্যাচের কথা। সেবারেও খেলা হয়েছিল ইংল্যান্ডে, এবারেও তাই। সেবার ইংল্যান্ডের দর্শক বাংলাদেশকেই সাপোর্ট করেছিলো, এবারেও কি তাই ঘটবে?
উদ্বোধনী দিনে ইংল্যান্ডের হোমগ্রাউন্ডে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের মুখোমুখি ম্যাচে ঘটেছিল অভাবনীয় এক ঘটনা। তামিম-মুশফিকের বাউন্ডারি-ওভারবাউন্ডারিতে যে উল্লাসে মুখরিত হয়েছিল গ্যালারি, তা দেখে যে কেউ ভেবে নেবে, খেলা মোটেও ইংল্যান্ডে হচ্ছে না, হচ্ছে বাংলাদেশেরই কোনও এক ভেন্যুতে।
দেশে কিংবা বিদেশে সব জায়গাতেই যে বাংলাদেশের সাপোর্টারদের ক্রিকেট উন্মাদনায় গ্যালারি মুখরিত হয়, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে? ক্রিকেট যে বাঙালিদের প্রাণের খেলা!
এসব ভেবেই গত দুইবছর আগেও আমার মাঠে গিয়ে খেলা দেখার অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ে গেল। গ্যারান্টি দিচ্ছি, পড়ে মজা পাবেন।
ক্যাপশনটা হতে পারতো, রোজা রেখে চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রামে খেলা দেখতে এসে স্টেডিয়ামের পাশের টংএর দোকানে বৃষ্টিবন্দি।
আক্ষেপপূর্ণ ক্যাপশন দেখে লেখাটা কেউ পড়তে আগ্রহী হত, কেউবা এড়িয়ে যেত। আমিও লেখাটা লিখতাম দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে। কিংবা হয়তো কষ্টের আতিসাহ্যে ক্রিকেট নিয়ে আমার দুঃসহ স্মৃতির দিনটা সম্পর্কে লিখতামই না।
প্রথম থেকেই শুরু করি। আগের রাতটা ছিল লাইলাতুল কদর। ঘুমানোর সুযোগ পাইনি। ভোররাতে সেহরি খেয়েই রওনা হলাম স্টেশনে। ভোর পাঁচটায় চট্টলার ট্রেইন।
লম্বা সময় জার্নি করে আমরা ছয় ফ্রেন্ড স্টেডিয়ামে ছুটলাম। মামা বলেছিল টিকিট নিয়ে আমার কোন চিন্তাই করতে হবে না। দুপুর একটায় মামার পরিচিত একজন আমাকে চারটা টিকিট দিয়ে যাবে। আর বাকি দুইটার ব্যবস্থা করবে আব্দুর রাজ্জাকের ভাইয়া।
একটার মিনিটখানেক বাকি থাকতে স্টেডিয়ামে পৌঁছলাম। পতাকারঙের হ্যাট কিনে মাথায় পরে ফটো সেশন করলাম কিছুক্ষণ।
ক্রিকেটারদের বাস এল। উঁকিঝুঁকি মারতে শুরু করলাম, যদি মাশরাফিদের দেখা পাওয়া যায়!
গেল না।
কিন্তু চিৎকার করে চিয়ার আপ করতে ভুললাম না।
দেড়টা বেজে গেছে। মামার পাঠানো লোকের খবর নাই। ফোন করলাম। বলল, আসতেছে।
দুইটা বাজল।
আড়াইটা।
পৌনে তিনটা।
পনেরো মিনিটের মাথায় খেলা শুরু হয়ে যাবে। মরিয়া হয়ে ফোন করলাম। করতেই থাকলাম। একবার বলল, একঘন্টা। এরপর আধাঘণ্টা, পনেরো মিনিট, দশ মিনিট। লোকটার বেঁধে দেওয়া সব গুলি সময়ই শেষ হল। কিন্তু তার দেখা নাই।
ইতিমধ্যে খেলা শুরু হয়ে গেছে। উইকেট দুইটা পড়ে গেছে। যেই আমি বল বাই বল খেলা দেখি, কখনো বাংলাদেশের ম্যাচ মিস করি না, সেই আমাকে স্টেডিয়ামে সরাসরি খেলা দেখতে এসে রাস্তার পাশে বসে বসে ক্রিকবাজে খেলার আপডেট দেখতে হচ্ছে! এই ছিল কপালে? ডাক ছেড়ে কাঁদতে ইচ্ছে করছে।
ওইদিকে ফ্রেন্ডদের মুখ দেখাতে পারছি না। আব্দুর রাজ্জাকের দুইটা টিকিট হাতে এসে গেছে। কিন্তু ওরা আমাদের চারজনের দিকে চেয়ে খেলা দেখতে ঢুকছে না। আমার ভরসায় ওরা সেই চাঁদপুর থেকে খেলা দেখতে এসেছে। আর আমি! থমথমে মুখে রাস্তার মাঝখানের ডিভাইডারে বসে রইলাম।
অবশেষে সেই লোক এল। তার কথা শুনে আক্ষরিক অর্থেই আমাদের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। বলে কিনা, ব্ল্যাকে কেউ চারশ পাঁচশ টাকায় টিকিট বিক্রি করে কিনা, সেটার খোঁজ খবর নিবে সে! তারমানেটা কী? সে আমাদের জন্য টিকিট কিনেই নাই? নাকি কিনেও মামাকে না জানিয়ে বেশিদামে টিকিট বিক্রি করে দিয়েছে? জানি না। হতাশায় মনটা একদম দমে গেল। যেভাবেই হোক, টিকিট ম্যানেজ করেই ফিরবে সে – এই বলে ছেলেটা চলে গেল।
কী করব, ভেবে পাচ্ছিলাম না। ঝুম করে বৃষ্টি নামল। আব্দুর রাজ্জাক একটা দোকানের ছাউনিতে ঢুকে আমার দিকে ফিরে বলল, “দোস্ত! এদিকে আয়! খেলাটা টিভিতে দেখ অন্তত!”
দৌড়ে এলাম খেলা দেখতে। হুড়মুড় করে একগাদা ছেলেমেয়েকে ঢুকতে দেখে দোকানি টিভি বন্ধ করে দিল। আমিতো পুরাই অবাক! এটা দেখারই বাকি ছিল?
বৃষ্টি তখন টিপির টিপির করে পড়ছে। ছেলেটা ফোন করে বলল, স্টেডিয়ামের দিকে এগোতে। গেলাম সবাই। বলল, আমাদের কাছে যে টিকিট দুইটা আছে, সেগুলি দিতে। সে নাকি এগুলো দিয়ে আমাদের সবাইকে ঢুকানোর ব্যবস্থা করতে পারবে। গাধার মত দিয়ে দিলাম টিকিট। আধাঘণ্টা টিপটিপ বৃষ্টিতে ভিজে অপেক্ষা করছি। হতাশায় ডুবে আছে মন। খালি ভাবছি, একটা বার, অন্তত একটাবার যদি মাশরাফিকে সামনে থেকে দেখতে পারতাম! ওর সাথে একটু কথা বলার সুযোগ যদি পেতাম! স্বগতোক্তি করলাম, “কী করলে মাশরাফির দেখা পাব?”
কেউ কোন জবাব দিল না।
একটু পর ছেলেটা ফোন করে বলল, টিকিট পাওয়া গেছে। একটা ১০০০ করে।
মাথায় রক্ত চড়ে গেল। এইবার ঝাড়লাম ইচ্ছামত। বললাম, তার টিকিট দরকার নাই আমাদের। আমাদের টিকিট দুইটা যেন দিয়ে যায়। ঝাড়িতে কাজ হল। দিয়ে গেল টিকিট। প্ল্যান করলাম, আমি আর আব্দুর রাজ্জাক ঢুকব টিকিট দুইটা দিয়ে। তারপর বাকিদের ঢোকানোর ব্যবস্থা করব। ,
ছেড়া টিকিট দিয়ে আরো দুইজনকে ঢোকানো যায় কিনা, সেটার ফন্দি আঁটছি। হঠাত পিছনে ফিতে দেখি, বাকি চারজন দাঁড়িয়ে! আমাকে চোখ বড়বড় করে তাকাতে দেখে ওরা বলল, পুলিশকে ১০০ টাকা করে ঘুষ দিয়ে দেয়াল টপকে ঢুকেছে। দুর্নীতি! শেষ পর্যন্ত আমরাও? 🙁
এটা ভেবে সান্ত্বনা পেলাম যে আমাদের সাথেও তো কম জোচ্চুরি হয়নি! দীর্ঘসময় টেনশনে থাকার পর অবশেষে মুখে হাসি ফুটল।
কিন্তু ঝামেলা তখনো শেষ হয়নি। আমরা তো আর জানিনা যে স্টেডিয়ামে ঢোকার জন্য আরো একটা গেইট পার হতে হবে। আমি আর রাজু আমাদের টিকিট দিয়ে আরামসে ঢুকে গেলাম। মাঠে তখন পানি নিষ্কাশনের কাজ চলছে। ইস্টার্ন গ্যালারি ২ এর নিচের দিকে কিছু সিট খালি ছিল। রাজু আমাকে ওখানে বসিয়ে দিয়ে বাকিদের ভিতরে ঢোকাবার ব্যবস্থা করতে গেল।
হামমমমমম! বিশাল একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে চারপাশে তাকালাম। বৃষ্টির পরেও স্টেডিয়াম ভর্তি মানুষ! তার উপরে মাথার উপরে ছাউনি নাই। দেশের মানুষ যে কী পরিমান ক্রিকেট পাগল, আগেই জানতাম। এবার নিজের চোখে দেখলাম। মাঠের পানি নিষ্কাশনের কাজ প্রায় শেষের দিকে। নাসির আর সৌম্য মাঠে নেমে প্র্যাক্টিস করাও শুরু করে দিয়েছে। আমাদের গ্যালারির দর্শক চিৎকার করে চিয়ার আপ করল ওদের।
আজান হয়ে গেছে। কিন্তু গ্যাঞ্জামে থাকায় স্টেডিয়ামের আউটার থেকে কিছু কিনে আনা হয়নি। খুঁজে পেতে পানিও পাওয়া গেল না। পাশের ভদ্রমহিলা দয়া করে পানি দিলেন আমাদের। রোজা ভাংলাম। খাবার টাবার না পেলেও গায়ে মাখলাম না। প্রচন্ড এক্সাইটেড হয়ে আছি। সত্যিই স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখছি আমি!!!
সতেরো ওভার বোলিং। আমাদের গ্যালারির সামনে ফিল্ডিং করতে এল সাকিব আল হাসান। আমরা সবাই চিত্কার করে ওর নাম ধরে ডাকলো। কতগুলি পোলাপান শিশির ডাকছিল। আমার ইচ্ছে করছিল, ওগুলিরে ধরে দুইটা চটকানা লাগাই! ফাইজলামির একটা সীমা থাকা উচিত।
বোলিংএর কথা আর কী বলব! দিন দিন আমাদের বোলিং ডিপার্টমেন্ট আরো বেশি দুর্দমনীয় হয়ে যাচ্ছে। হিসেব করলে দেখা যায় যে ম্যাশ বোলিং না করলেও ৫০ ওভার ইজিলি বোলিং করানো যায়। বাকিদের সাথে ও ২-১ টা ওভার করলে ৫০ ওভারের কম্পলিট প্যাকেজ হয়ে যায়। বোলিংএ প্রেশার কম পড়লে, ওকে হয়তো আরো অনেকগুলি দিন ক্যাপ্টেন হিসেবে পেতে পারব।
যাকগে, যেটা বলছিলাম, দারুণ বোলিং করছিল বোলাররা। একেকটা উইকেট পড়ছিল, আর তারস্বরে চিৎকার করছিলাম। কোত্থেকে এত এনার্জি পাচ্ছিলাম, নিজেই জানি না। এম্নিতেই আমার চিল্লাচিল্লির অভ্যাস আছে। তার উপরে এত্তগুলি মানুষ একসাথে বসে দেখছি। এক্সাইটমেন্ট কিছুতেই ধরে রাখা যাচ্ছে না। আর আমি রাখার চেষ্টাও করছি না।
আমাদের গ্যালারির বাউন্ডারির সামনে সাকিবের পর মোস্তাফিজ, সাব্বির, সোম্য আর লিটন ফিল্ডিং করেছিল। তারমধ্যে সৌম্যকে সানি তোয়ালে দিয়ে গিয়েছিল। এই কয়েকজনকে ভালোমত দেখার সুযোগ পেয়েছি। আর একটু দূরে তামিম আর রুবেলকেও মোটামুটি দেখেছি। এমনকি খেলা শেষ হবে কিছুক্ষণ আগে শামিম চৌধুরীকেও দেখেছি, বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমের দিকে যাচ্ছিল। আমরা চিতকার করে চিয়ার আপ করার পর উনি আমাদের দিকে ফিরে হাত নাড়িয়েছিলেন। কিন্তু যাকে দেখার জন্য এতদূর ছুটে এসেছি, তাকে কাছ থেকে দেখতে পেলাম না। দুই নম্বর জার্সি পরা মানুষটার মুভমেন্ট কেবল দূর থেকেই দেখলাম।
বোলিং শেষ হবার পর ফ্রেন্ডদের দিলে তাকিয়ে বললাম, “দোস্ত! কষ্ট যা করছি, সব ভুলে গেলাম এই মুহূর্তে! এরপরে যদি বৃষ্টির কারণে খেলা পরিত্যক্ত ও হয়, আমার আক্ষেপ থাকবে না!”
যদিও মনে প্রাণে দোয়া করছিলাম, বৃষ্টি যেন না হয়। আব্দুর রাজ্জাক বলছিল, “৫ ওভার পর ২৫ রান হয়ে, বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়ে গেলে আমরা জিতে যাব।”
কিন্তু বাংলাদেশ এভাবে জিতে যাক আমি চাচ্ছিলাম না। ডিএল মেথডে জেতার চেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিতাটাই হবে উপভোগ্য।
আমাদের গ্যালারির ঠিক উল্টোদিকেই স্ক্রিণবোর্ডটা ছিল। মাঠের দূরতম প্রান্তে দৃষ্টিসীমা ঘোলা হয়ে গেলে স্ক্রিনবোর্ডের রিপ্লাইতে দেখে নিচ্ছিলাম। কে যেন বলেছিল, মাঠে খেলা দেখে মজা নাই। অনেক কিছু মিস হয়ে যায়। আমি বলব, এটা একদম ভূয়া কথা! যথেষ্ট মজা পেয়েছি আমি মাঠে খেলা দেখে।
ব্যাটিং শুরু হবার পর থেকেই আমি বলছিলাম, আজকে তামিমের দেড়শতম ম্যাচ। আমার মনে হয়, আজকে ও ভাল খেলবে। কেউ কিছু বলল না। সবাইই একটু একটু করে আস্থা হারাচ্ছে ওর উপর থেকে। তবে আমার ধারনা মিথ্যে হলো না। ব্যাটিং র্যাংকিংএর বাংলাদেশের সর্বসময়ের সেরা ব্যাটসম্যানকে দারুণ ভাবে সঙ্গ দিয়ে গেল সে। গত ওয়ানডেতে সৌম্যর সাথে মিস্টার ওয়াল হিসেবে ছিল মাহমুদুল্লাহ, আর শেষ ওয়ানডেতে ছিল তামিম। ওকে এত ধৈর্য্যশীল ইনিংস খেলতে দেখিনি কখনো। প্রত্যেকটা শট অসাধারণ খেলেছে সে।
আর সৌম্য! এখন তো সবার মুখে মুখে ওর কথা। আমি আর তেমন কিছু বলব না। শুধু এটুকু বলি, আমাদের ব্যাটিংএর মাঝামাঝি সময়ে আমি বলছিলাম, “দোস্ত! সৌম্যর পেরিস্কুপটা আমি চিনিনা। আজকে যদি ওর শটটা দেখতে পেতাম!”
আমার আক্ষেপটা শুনতে পেয়েই ও হয়তো বাউন্সার বল পেয়েই পেরিস্কুপ মেরে দিয়েছিল। আর মজার ব্যাপার হল, ও তখন ব্যাট করছিল, ইস্পাহানী এন্ড থেকে। ফলে একদম ক্লিয়ার দেখতে পেয়েছি শটটা।
সৌম্যর সেঞ্চুরীটার জন্য স্টেডিয়ামে বসে আক্ষেপ করলেও, এখন আর খারাপ লাগছে না। নার্ভাস নাইন্টিসের শিকার হওয়াতো ক্রিকেটেরই অংশ।
চিৎকার করতে করতে গলার অবস্থা খারাপ। কিছুক্ষণ পর পর দর্শকদের আনন্দধ্বনি পুরো মাঠে ঘুরছে। কী এক অদ্ভুত নিয়মে গ্যালারি বাই গ্যালারিতে কোরাসটা ঘুরে বেড়াচ্ছে। নিজের চোখে না দেখলে, বা নিজে স্টেডিয়ামে না থাকলে ব্যাপারটা এক্সপ্লেনেশন করে বোঝানো সম্ভব না।
বন্ধুরা সিটের উপর দাঁড়িয়ে লাফাচ্ছে। একটা তো সিটই ভেঙ্গে ফেললো। ধমক দিয়ে নিচে নামালাম। কিন্তু চিৎকার বন্ধ নেই। আমিও চিল্লাই, ওরাও চিল্লায়। হঠাৎ স্ক্রিনবোর্ডের দিকে তাকিয়ে একদম চুপ হয়ে গেলাম। দর্শকদের দেখাচ্ছিল সেখানে। চকিতে মনে হলো, তারস্বরে চেঁচাতে থাকা, সাদা-গোলাপি হিজাব পরা মেয়েটাকে দেখাচ্ছে। আসলেই কি তাইই? নাকি চোখের ভুল? সেটা জানা হবে না কখনোই।
কখনো কল্পনাও করিনি এরকম একটা অসাধারণ ম্যাচ সরাসরি দেখার সুযোগ হবে। আমি তৃপ্ত। এই দিনটা সত্যিই আজীবন মনে থাকবে আমার। স্ক্রিনবোর্ডে পুরস্কার বিতরণী প্রোগ্রাম দেখে চিয়ার আপ করে শেষ হল আমার মাঠে বসে দেখা প্রথম ম্যাচ।