বাবা মা অনেক যত্ন নিয়ে সন্তান লালন-পালন করে থাকেন। জন্মের পূর্ব থেকেই সন্তান নিয়ে পিতা-মাতার জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। সন্তান যত ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে ততই সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে পিতা-মাতা শংকিত হন। নিরাপত্তার আশংকা এবং নিজের জীবনের প্রতিদিনকার মানসিক চাপের কারণে অনেক বাবা-মা ছেলে-মেয়েদের শারীরিকবৃদ্ধি ও বয়স বাড়ার পাশাপাশি তাদের মনোসামাজিক পরিবর্তনের বিষয়টি মনোযোগ দিতে পারেন না। কিন্তু টিনএজ বয়সে অর্থাৎ বয়োঃসন্ধিকালে এই পরিবর্তনগুলোই পিতা-মাতার সাথে সন্তানের দূরত্ব বৃদ্ধি করে। যা পরবর্তীতে বিভিন্ন অসুবিধা তৈরি করে-যেমন মাদকাসক্ত, কিশোর-অপরাধ, সামাজিক অপরাধ, বিষণ্ণতা ও আত্মহত্যামূলক প্রবণতা ইত্যাদি।
তাই পিতা-মাতা ও সন্তানের সুসম্পর্ক বজায় রাখতে বা তৈরিতে এই ২০টি উপায় সহযোগী ভূমিকা রাখবে।
১/ টিনএজ বয়সে আপনি কি কি করতেন তা আপনার সন্তানের সাথে আলোচনা করুন- আমরা বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ছোট বেলার মধুর স্মৃতিগুলো ভুলে যেতে থাকি। তাই সেই সব স্মৃতিগুলো জীবিত রাখতে আপনার সন্তানের সাথে বলুন। গল্প বলার মত করেই আপনার শৈশব-কৈশরের বিভিন্ন ঘটনা তাদেরকে রোমাঞ্চকর অনুভূতি দিবে এবং আপনার সাথে সন্তানের সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে সহাযক হবে।
২/ নিজের খারাপ লাগা, ভাল লাগা সন্তানকে বলুন এবং তার ভাল ও খারাপ লাগার এবং মনের কথা মনোযোগ সহকারে শুনুন- কাজের ব্যস্ততায় সন্তানের সাথে দৈনন্দিন বিভিন্ন অনুভূতি বলা হয়ে ওঠেনা। হয়ত সন্তানেরও পড়াশুনার চাপ, নিত্যদিনের জিনিসের দেয়া নেয়া পূরণ করতে করতেই দিন চলে যায়। কিন্তু যদি একটু সময় বের করে নিয়ে নিজের মনের অনুভূতি আপনার টিনএজ সন্তানের কাছে বলেন তাহলে তার মধ্যে সহমর্মিতা ও শোনার দক্ষতা তৈরি হবে। এই সাথে তার খারাপ লাগা ও ভাল লাগার অনুভূতি আপনাকে বলতে উৎসাহীত হবে। তার কথাগুলোও আপনাকে মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে।
৩/ ছেলে-মেয়েদের পছন্দের কাপড়, ট্রেন্ড বা স্টাইল নিয়ে সমালোচনা না করে সমর্থন করুন- সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তি, পছন্দ, স্টাইল এর পরিবর্তন বা আবর্তন ঘটে। মাঝে মাঝে আপনার টিনএজ সন্তানের পোশাক-পরিচ্ছদ বা বেশভূষা আপনার কাছে অদ্ভুত বা বিরক্তিকর মনে হতে পারে। কিন্তু তার কাছে সেইটাই সৌন্দর্য্য প্রকাশ বুঝায়। তাই তার মত করে বিষয়টি দেখার চেষ্টা করুন। একই সাথে তার পছন্দের যে জিনিসগুলো আপনার কাছে ভাল লাগে তা প্রকাশ করুন। তার নিজের কোন পছন্দ নিয়ে সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকুন। তাকেই তার মত করে সৌন্দর্য্য বুঝে নিতে সহযোগীতা করুন।
৪/ সন্তানের দোষ না খুঁজে, তাদের গুণগুলো নিয়ে কথা বলুন- উঠতি বয়সী সন্তানের অনেক রকম অভ্যাস বা আচরণ আপনার জন্য বিরক্তির কারণ হতে পারে। যেমন- অতিরিক্ত গেইম, মোবাইল, বা ইন্টারনেট ব্যবহার। তার দোষত্রুটি একদমই থাকবে না তা আশা না করে, সেটিকে যতটা সম্ভব মেনে নিন। এবং তার গুণগুলো নিয়ে কথা বলুন। যেমন সে হয়ত সাজতে বা সাজাতে পছন্দ করে। কিংবা কোন কিছু দেখলে খুব সহজেই মনে রাখতে পারে। ইত্যাদি বিভিন্ন গুণ খুঁজে বের করে নিয়ে তাকে প্রশংসা করুন। অনেক বাবা-মা মনে করেন তার সন্তানের প্রশংসা করার মত কিছু নেই। আসলে একটু কষ্ট করে সেই গুণগুলো খুঁজে বের করতে হবে। আবার অনেক বাবা-মা সন্তানের কোন দোষটিকেই ঢেকে গুণ মনে করে প্রশংসা করেন। সেটিও ভুল কারণ এতে করে সন্তান গুণ ও দোষের মধ্যে পার্থক্য করতে দ্বিধায় পড়ে যায়। তাই কোনটি আসলেই গুণ সেটি বুঝতে হবে।
৫/ সন্তানের বন্ধুদের প্রতি ইতিবাচক ধারণা রাখুন- অনেক সময়ই বলতে শুনি আমরা যে ’তোমার বন্ধুগুলো তো বদের হাড্ডি, এসব ছেলেমেয়েদের সাথে যারা চলে তারা ভাল হয় না..’ ইত্যাদি ইত্যাদি। ঠান্ডা মাথায় ভাবুন নিজের বন্ধু সম্পর্কে অন্য কেউ শুনলে কেমন প্রতিক্রিয়া করবে। আর টিনএজ সন্তানরা অনেক বেশী অনুভূতিপ্রবণ হয়। তাই তারা এটি কিছুতেই মেনে নিতে পারেনা। ফলশ্রুতিতে পিতা-মাতার বিরুদ্ধে মন বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। তাই সন্তানের বন্ধুদের প্রতি মানুষ হিসেবেই শ্রদ্ধা বজায় রাখুন। তাদের খারাপ দিকটি যেমন সমালোচনা করছেন তেমনি ভালদিকগুলোর ও প্রশংসা করুন। এবং ভাল বন্ধুদের সাথে বন্ধুত্ব করলে কি লাভ তা বয়োঃসন্ধিকালের আগে থেকেই তথ্য দিন। সবসময় নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা না করে তাকেও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহযোগীতা করুন।
৬/ সন্তানকে বন্ধু বাছাইয়ে সহযোগীতা করুন- এই সময় ছেলেমেয়েরা অনেক বেশী কৌতুহলপ্রবণ থাকে তাই বিতর্কিত বন্ধু তৈরির প্রতি মনোযোগ আসতে পারে। কি রকম বন্ধুদের সাথে আপনার সন্তান চলাফেরা করবে তা বলে না দিয়ে বরং কিভাবে সুস্থ বন্ধুত্ব মানুষকে সহযোগীতা করে, কি কি উপকার হয় সেগুলো নিয়ে আলোচনা করুন। এটি আপনার সন্তানকে ভাবতে এবং নিজের জন্য সঠিক বন্ধু বাছাইয়ে সহযোগীতা করবে।
৭/ একের অধিক সন্তানের মধ্যে বা সন্তানকে অন্য কারো সাথে তুলনা করা বন্ধ করুন- পিতা-মাতা হিসেবে যে কাজটি হরহামেশাই আমরা করে থাকি তা হচ্ছে একাধিক সন্তানের মধ্যে বা সন্তানকে অন্যদের সাথে তুলনা করা। এই তুলনা কখনই সন্তানকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করে না। বরং আরো হীনমন্যতা তৈরি করে এবং সন্তান মানসিক যন্ত্রণায় ভুগে। তাই সন্তানের নিজের সাথেই নিজের তুলনা করুন অন্যের সাথে নয়।
৮/ সন্তানের ব্যতিক্রমধর্মী চিন্তাকে হেলা না করে মূল্যায়ন করুন- টিনএজ বয়সে অনেক রকম অদ্ভুত চিন্তা তাদের মাথায় আসে বা তারা খুব আনন্দ পায় কথাগুলো বলে। যা হয়ত অন্য কোন বয়সে সে চিন্তাই করতে পারত না। এসকল চিন্তাগুলো তাকে লিখে রাখতে উৎসাহীত করুন। এবং কোনটাই হেলা মনে করে হাসাহাসি করবেন না। বরং মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং আপনার মতামত দিন। এতে সন্তান নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করবে তার আত্মবিশ্বাস ও নিজের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বৃদ্ধিপাবে।
৯/ যখন ব্যস্ত থাকবেন বা মানসিক কোন চাপের মধ্যে থাকবেন তখন সন্তানের সাথে আপনার আচরণ এর ব্যাপারে সতর্ক থাকুন- যখন আপনি নিজেই কোন বিষয় নিয়ে মানসিকভাবে অস্থির অবস্থায় আছেন তখন সন্তানকে শাসন করা থেকে বিরত থাকুন। নিজে শান্ত হওয়ার জন্য কিছু সময় নিন। এরপর সন্তানের সাথে কথা বলুন। কারণ ঐ মুহুর্তে আপনার আচরণ স্বাভাবিক না হয়ে খুব আক্রমণাত্বক হতে পারে যা সন্তানের অনুভূতিপ্রবণ মনে তীব্র আঘাত করতে পারে।
১০/ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে সন্তানকে সাথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন- বয়োঃসন্ধির কিছু আগে থেকেই তাকে সামাজিকভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়ে যেতে পারেন। অনেকসময় এই বয়সী বাচ্চারা লোক লজ্জার ভয়ে সামাজিক অনুষ্ঠান সমূহ এড়াবার চেষ্টা করে কারণ তখন তার মধ্যে শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে যা সে মেনে নিতে পারেনা। তার ভীতি এবং অস্বস্তি নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করুন। তার পাশে আপনি কিভাবে আছেন তা তাকে বুঝিয়ে বলুন।
১১/ সন্তান যে জায়গাগুলোতে যেতে পছন্দ করে সেখানে তার মত করে আনন্দ করুন- সন্তানকে নিয়ে হয়ত আপনি কোন শিশুপার্ক বা মুভি থিয়েটারে গেছেন। সেখানে আপনি নিতান্ত বাধ্য হয়ে বেড়াতে গেছেন এই রকম হলে সন্তানের মনে আনন্দ থাকবে না এবং পরবর্তীতে আপনার চাইতে বন্ধুদের সাথে ঘুরতেই বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে। তাই সন্তানের পছন্দের জায়গায় তার মত করে আনন্দ করলে আপনার সাথে সন্তানের আস্থার সম্পর্ক তৈরি হবে।
১২/ প্রতিদিন অন্তত একবার আপনার টিনএজ সন্তানকে মাথায় হাত বুলিয়ে দিন বা বুকে জড়িয়ে ধরুন- সন্তান বড় হয়ে গেলে পিতা-মাতা থেকে দূরত্ব তৈরি হয়। কিন্তু এই দূরত্ব কমাতে ও ¯েœহ ভালোবাসা জোরদার রাখতে তাকে হাত দিয়ে মমতা নিয়ে স্পর্শ করুন। এতে সন্তানের প্রতি পিতামাতার আর পিতামাতার প্রতি সন্তানের কোন অস্বস্তি থাকলে তা কমে যায়, সৌহার্দ্য বৃদ্ধি পায়।
১৩/ বয়োঃসন্ধিকালীন পরিবর্তনজনিত পড়াশুনার বিষয়বস্তু বা বই বা লেখা পড়তে উৎসাহিত করুন এবং যতটা সম্ভব হয় তাদেরকে জানান- অনেক টিনএজ ছেলেমেয়ে এই বয়সের পরিবর্তন সম্পর্কে জানে না, বা জানলেও বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে অনেকসময়ই ভুল তথ্য পায়। তাই আপনার সংগ্রহে কোন আর্টিকেল, বই, তথ্যকণিকা থাকলে তাকে পড়তে উৎসাহিত করুন। এবং এই বিষয়ে তার কোন প্রশ্ন থাকলে সাবলীলভাবে উত্তর দিন। তার অজানা কে জানতে সহযোগীতা করলে সে ভুল তথ্যগুলোকে সনাক্ত করতে সমর্থ্য হবে। প্রয়োজনীয় তথ্যটিই তাকে সঠিক সময়ে সহযোগীতা করবে।
১৪/ সুস্থ জীবন যাপনের রুটিন তৈরিতে তাকে জোর না করে, সহুযোগীতা করুন- এসময় অনেক ছেলেমেয়ে খাওয়া-দাওয়া ও ঘুমের অনিয়ম করে। তাই কিভাবে সে সুস্থজীবন যাপনের রুটিন তৈরি করবে তাকে জানান। এর উপকারিতা জানান। আর ভুল রুটিনের অপকারিতাগুলো জানান। এরপর তাকেই অনুরোধ করুন কোনটি সে বেছে নিতে চায়। তাহলে সে কিভাবে সুস্থ থাকবে এবং সুস্থতার জন্য সে কি কি করতে পারে। সব কিছু বলে না দিয়ে তাকেও ভাবতে সহযোগীতা করুন।
১৫/ বার বার এক কথা বলা থেকে বিরত থাকুন- কোন একটি বিষয় তারা অনেকসময কথা শুনছে না বা তার মত করেই কোন কাজ করতে চায়। তখন একই কথা বারবার বলা থেকে বিরত থেকে সে কি কারণে তার মত করে ভাবছে তা দেখুন। আপনার নিজের কথাটি রাখার জন্য বা আপনি বড় এ কারণেই শুধু আপনার মত করে তাকে ভাবতে হবে এমনটি ঠিক নয়। আমরা বড়রা সবসময় আমাদের মত করেই সন্তানকে কাজ করাতে চাই। কিন্তু সেও তার মত করে কিছু কাজ করতে চায়। সেদিকে জোর না করে এক কথা বার বার না বলে একবার শান্তভাবে আপনার প্রত্যাশা তাকে বুঝিয়ে বলুন।
১৬/ সন্তানের কোন অন্যায় বা ভুল হয়ে গেলে তা ঠান্ডা মাথায় বুঝিয়ে বলুন এবং এধরনের ঘটনা থেকে আপনার প্রত্যাশা কি তা তাকে পরিস্কার ভাবে জানান।
১৭/ একই ভাবে পিতা-মাতার যে ভুল হয় না তা না। আপনার ভুলটিও স্বীকার করে নিয়ে সন্তানের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিন। মনে রাখবেন আপনার এই আচরণই তাকে সহমর্মিতা ও অন্যকে ক্ষমা করতে শিখাবে।
১৮/ সপ্তাহে বা ছয় মাসে অন্তত একবার সন্তান ও পরিবার পরিজন নিয়ে কোন প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে ঘুরে আসুন। মনে রাখবেন এই বেড়ানোতে বেশী টাকা খরচ করার চেয়ে সন্তানের সান্নিধ্যে ও কাছাকাছি মানসম্মত সময় কাটানোটা বেশী গুরুত্বপূর্ণ।
১৯/ পেশা বা পড়াশুনাজনিত পছন্দের ব্যাপারে জোর করা থেকে বিরত থাকুন- বয়োঃসন্ধিকালে সন্তান নিজের সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দিতে চায়। এবং পড়াশুনার ক্ষেত্রে স্বস্তি প্রয়োজন ও বুঝে পড়ালেখা করার বিষয় রয়েছে। তাই কোন বিষয় পছন্দ করতে চাইলে তার সাথে আলোচনা করুন। তার পছন্দের বিষয়টি কি কারণে সে বাছাই করছে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা। এর উপকারী দিকগুলো বা অপকারী দিকগুলো নিয়ে কথা বলা।
২০/ সন্তানকে পরামর্শ দেয়ার ব্যাপারে সচেতন হোন- আপনি যা জানেন তা অবশ্যই একজন বয়োজ্যষ্ঠ দৃষ্টিতে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। কিন্তু আপনার টিনএজ সন্তান নিজেও অনেক তথ্য জানে। তাই যখন আপনার জানা কোন বিষয় তাকে জানাবেন তখন সতর্ক থাকুন সেটি যেন তাকে ছোট করে না হয় এবং পরামর্শ না গ্রহণ করলে কি কি অসুবিধা হবে তা বুঝিয়ে বলুন। সেটি গ্রহণ করা বা না করার জন্য তাকে সময় দিন।
লেখিকাঃ শাম্মী আখতার। আমি পেশায় একজন এসিস্ট্যান্ট মনোবিজ্ঞানী। আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে অনার্স শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাউন্সেলিং মনোবিজ্ঞানে মাস্টার্স করি। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এডুকেশনাল এন্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগে এম.ফিল করছি এবং সাজেদা ফাউন্ডেশনের মনোসামাজিক কাউন্সেলিং সেন্টারে কর্মরত আছি । সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়তে ও লিখতে পছন্দ করি। আমার শখ সাঁতার কাটা, মুভি দেখা, ঘুরে বেড়ানো।