ডায়েট কন্ট্রোল কথাটির সাথে সবাই বর্তমানে কমবেশি পরিচিত। আমাদের শরীরে শক্তি ধরে রাখতে এবং হজম ক্ষমতা ভাল রেখে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত।ফলে চর্বিযুক্ত ভাজাপোড়া খাবারের দিকে হাত বাড়িয়ে কম মশলাযুক্ত সিদ্ধ খাবার,সবজি,ফল এসব বেশি বেশি খাওয়া। বিস্বাদ খাবার খেতে খেতে যারা ডায়েটের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন তাদের জন্য আজকের এই ফিচার।এখানে আজ আমরা কয়েকটি স্বাস্থ্যকর কিন্তু মজাদার রেসিপি নিয়ে কথা বলবো।
ওটস খিচুরি
ওটস বিশ্বব্যাপী সমাদৃত খাবার। আন্তজাতিক খাবার এটা। এর গুন অসংখ্য। ওটস খিচুড়ি খুবই স্বাস্থ্যকর, সব বয়েসী মানুষের জন্যেই। আর যারা খুব স্বাস্থ্য সচেতন, ক্যালোরি হিসেব করে খান তাদের জন্য এটা আদর্শ খাবার। সকালে ওটস দিয়ে নাস্তা করলে সারাদিন ক্ষুধা প্রশমিত থাকে।কারণ ওটস ফাইবারযুক্ত খাবার। ওটস মেটাবলিজম বা বিপাকক্রিয়া বুস্ট করে, ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায়,শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে দেয় না।শুধু তাই নয়, ওটস দেহে জমা মেদ দূর করতেও তৎপর।চলুন তাহলে জেনে নেই ওটস দিয়ে তৈরি মজাদার খিচুরি। উপকরন- ওটস হাফ কাপ,ডাল (মুগ,মসুর),শাক( যেকনো শাক দিতে পারেন),সবজি (ডাল,বরবটি, গাজর,পটল,পেপে,ক্যাপ্সিকাম, কিডনি বিন),১ টি পেয়াজ,১টি রসুন,হাফ চা চামচ আদা পেস্ট,হাফ চা চামচ হলুদ,৩ টি মরিচ,পরিমিত লবণ,১ চা চামচ তেল,কালিজিরা, ধনেপাতা, ডিম সিদ্ধ কুসুম ছাড়া,২ টুকরা মুরগির মাংস। প্রণালি প্রথমে ওটস টেলে শক্ত শক্ত করে সেদ্ধ করে রাখুন।তারপর সমস্ত সব্জী ও মুরগির মাংসের পিসটা অল্প পানিতে সেদ্ধ করুন। এইবার নন্সটিক প্যান এ ১ টেবিল চামচ তেল দিন। তাতে সামান্য একটু কালিজিরা দিয়ে ফোড়ন দিয়ে নিন।এখন ডাল,রসুন কুচি, পেয়াজ কুচি,আদা ,হলুদ,লবন ও পানি দিয়ে ৫ মিনিট রাখুন।ডাল সেদ্ধ হয়ে আসলে সিদ্ধ সবজী,মাংস ও ওটশ দিন।অল্প,অল্প করে গরম পানি দিয়ে রান্না করুন। সব শেষ এ ডিমটা টা দিন।ব্যাস রান্না শেষ।নামানোর আগে উপরে ধনেপাতা আর কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে নিবেন।হয়ে গেলো মজাদার ওটস খিচুরি।
সয়া নাগেটস সাসলিক
এটি খুব মজাদার ও স্বাস্থ্যকর খাবার।রান্না করতেও খুব কম সময় লাগে।চলুন তাহলে জেনে নেই সয়া নাগেটস সাসলিক এর রেসিপি। উপকরন: সয়া নাগেটস ১৫/২০ টা, টক দই ১ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ,রশুন বাটা ১ চা চামচ,গরম মশলা ১/২ চা চামচ,পেয়াজ বাটা ২ চা চামচ, লবন পরিমানমত, ক্যাপ্সিকাম,টমেটো,পেয়াজ,গাজর ,গাথার জন্য কাঠি। প্রণালী : সয়া নাগেটস ১০ মিনিট গরম পানিতে সেদ্ধ করে পানি ঝেরে রাখতে হবে, নন সটীক প্যানে তেল দিয়ে মসলা গুলো কশিয়ে নিয়ে সয়া নাগেটস গুলা দিয়ে নাড়াচাড়া করে সামান্য পানি দিয়ে মাংসের মত কশিয়ে নিতে হবে,কসানো হয়ে গেলে পানি দিয়ে খানিক্ষন রান্না করে মাখা মাখা হয়ে গেলে নামিয়ে নিতে হবে।এবার টমাটো, ক্যাপ্সিকাম,গাজর,পেয়াজ গুলো সামান্য তেল ,গোল মরিচ গুড়া,লবন ভাজতে হবে।এবার কাঠিতে ক্যাপ্সিকাম, নাগেটস,টমেটো, নাগেটস, পেয়াজ,নাগেটস এভাবে গেঁথে নিলেই হয়ে গেল মজাদার সয়া নাগেটস সাসলিক
ফলের স্মুদি
স্মুদি খুবই মজার ও স্বাস্থ্যকর।কিছু কিছু স্মুদি খাদ্যআঁশ এবং প্রোটিনে ভরপুর এবং সেই সাথে বিপাক ক্রিয়া বাড়াতে সাহায্য করে।এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই স্মুদি পান করার ফলে ত্বক হবে মসৃণ এবং উজ্জ্বল।দেহের ওজন কমাতে এবং ফ্যাট বার্ন করতে উল্লেখিত স্মুদিগুলো খুবই ভাল ফল দেয় এবং সেই সাথে দেহকে রাখবে শক্তিশালী ও সতেজ।জেনে নেই কয়েকটি স্মুদির রেসিপি ওটস ফলের স্মুদি ওটস দুই টেবল চামচ টকদই আধা কাপ, পাকা আম অর্ধেক,খেজুর,কাঠবাদাম,লো ফ্যাট মিল্ক দুই টেবল চামচ একসাথে নিয়ে ব্লেন্ড করে ফেলতে হবে।গ্লাসে সমস্ত মিশ্রণ ঢেলে নিয়ে এক চামচ ভেজানো তোকমা নিবেন।হয়ে গেল স্মুদি। আপেল-দারুচিনি স্মুদি ওজন কমানোর জন্য খুব মজাদার এবং কার্যকরী একটি স্মুদি এটি। খুব সহজেই ও কম সময়ে তৈরি করা যায়। একটি আপেল টুকরো করে নিয়ে তাতে সামান্য একটু ননফ্যাট দুধ এবং ২ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো,মধু দিয়ে ব্লেন্ড করে তৈরি করে ফেলুন মজাদার স্মুদি। মিক্সড ফ্রুট স্মুদি ১ টা কলা,৩ টা স্ট্রবেরি, ১/২ কাপ আপেল কুচি ,এক মুটো আনার, ৪/৫ টি কাঠবাদাম কুচি, খেজুর ৩ টি, মধু ১ চামচ,১/২ কাপ লো ফ্যাট দুধ। সব উপকরন একসাথে নিয়ে ব্লেন্ড করে গ্লাসে ঢেলে নিন।হয়ে গেল স্বাস্থ্যকর স্মুদি।