এলিজাবেথ আলেক্সান্দ্রা মেরি, যিনি রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ নামে বহুল পরিচিত, গত ২১শে এপ্রিল ছিল তার জন্মদি্ন। তিনি ৯১ তম বছরে পা রেখেছেন। তিনি ১৯৫২ সাল থেকে ইংল্যান্ড, কানাডা, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার রাণী হিসেবে অধিষ্ঠিত। চলুন, দেখে নেয়া যাক তার জীবন সম্পর্কিত কয়েকটি তথ্য।
১. ১৯২৬ সালের ২১ এপ্রিল রাত ২টা ৪০ মিনিটে রাজা ষষ্ঠ জর্জ ও রাণী এলিজাবেথ বউয়েস লিয়ন এর ঘর আলোকিত করে এলিজাবেথ জন্মগ্রহণ করেন 17,বার্টন স্ট্রিট, মেফেয়ার, লন্ডনে।
২. এলিজাবেথ বাইরে শিক্ষা নিতে যাননি, কারণ মারিয়ন ক্রফোর্ডের তত্ত্বাবধানে এলিজাবেথের ঘরোয়া পরিবেশে শিশুশিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। এলিজাবেথ নিজ বাড়িতে শিক্ষাগ্রহণ করেছেন।
৩. তিনি জন্মের পর থেকে ১৬ বছর পর্যন্ত জনসম্মুখে আসেননি। ১৯৪৩ সালে ১৬ বছর বয়সে এলিজাবেথ প্রথম জনসম্মুখে আসেন।
৪. ১৯৪৫ সালে তিনি সামরিক বাহিনীতে প্রশিক্ষণের জন্য যোগদান করেন।
৫. প্রিন্স ফিলিপের সাথে এলিজাবেথের পরিচয় হয় ১৩ বছর বয়সে। ফিলিপ ছিলেন তাঁর থার্ড কাজিন। এলিজাবেথের সঙ্গে ১৯৪৭ সালের ২০ নভেম্বর ফিলিপের বিয়ে হয়। প্রিন্স ফিলিপ গ্রীস ও ডেনমার্কের রাজকীয় পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বিয়ের পূর্বমুহুর্তে প্রিন্স ফিলিপ যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন ও নাম পরিবর্তন করেন ফিলিপ মাউন্টব্যাটেন নামে। বিয়ের দিন তিনি ডিউক অব এডিনবরা পদবীধারী হন ও ১৯৫৭ সালে যুক্তরাজ্যের প্রিন্স হন। এলিজাবেথ তার স্বামীকে আদর করে “সসেজ” বলে ডাকতেন।
৬. পিতা রাজা ষষ্ঠ জর্জের মৃত্যুর দুই দিন পর, ১৯৫২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি এলিজাবেথকে ইংল্যান্ডের রাণী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তিনি রাজকীয়ভাবে রাজ সিংহাসনে আরোহণ করেন ১৯৫৩ সালের ২ জুন।
৭. রাণী প্রতি বছরই পার্লামেন্টের উদ্বোধন করেন। শুধু ১৯৫৯ এবং ১৯৬৩ সালে এ কাজটি করতে পারেননি কারণ তখন তিনি গর্ভবতী ছিলেন।
৮. রাণী এলিজাবেথ ভূতে বিশ্বাস করেন। তার বিশ্বাস প্রথম এলিজাবেথের অতৃপ্ত আত্মা উইন্ডসর ক্যাসলে ঘুরে বেড়ায়। তিনি এবং তার মৃত বোন ছেলেবেলায় নাকি প্রথম এলিজাবেথের ভূত দেখেছেন গ্রিন করিডরে।
৯. রাণীর উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। ১২ মিনিটের বেশি বক্তৃতা দিতে তিনি একদমই পছন্দ করেন না। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে চুলে রং লাগানো বন্ধ করলে রাণীর চুল রাতারাতি পেকে যায়। রানীর ওয়ারড্রবে রয়েছে ৫০০ হ্যাট এবং ২০০ হ্যান্ডব্যাগ। প্রতিদিনই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেতে হয় বলে রানী দিনে পাঁচবার পোশাক বদলান। রাণী গোঁফ দাড়িওয়ালা পুরুষদের পছন্দ করেন না। রাণী রাত ১১টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েন এবং ঘুমের আগে বই পড়া পছন্দ করেন।
১০. এ পর্যন্ত ২৩টি সমুদ্রগামী জাহাজ তাঁর নামে পানিতে ভাসানো হয়েছে, তিনি ৩৩টি কর্গি জাতের কুকুরের মালিক, ভ্রমণ করেছেন ১৩০টিরও বেশি দেশ, তাঁর ১৪০টি ছবি আঁকা হয়েছে এবং তিনি এ পর্যন্ত কমপক্ষে দশ লাখ চিঠির জবাব দিয়েছেন।
বিশ্বের মানুষের কাছে পরম শ্রদ্ধেয় ও ভালোবাসার রাণী দীর্ঘায়ু হোন!