মুভিঃ Raees
পরিচালকঃ রাহুল ঢোলাকিয়া
অভিনয়ঃ শাহরুখ খান, নওয়াজ উদ্দীন সিদ্দিকী, মাহিরা খান
রেইস চলচ্চিত্রে ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন – “শাহরুখ খান”। ছবিতে রেইসকে দেখানো হয় একজন আবেগপ্রবণ ,জনদরদি, স্বপ্নবাজ,বুদ্ধিদিপ্ত, অসাধু ব্যবসায়ী হিসেবে। যে কিনা সময়ান্তে কাছের মানুষের দ্বারা অপমান সহ্য করে, বিশ্বাস ঘাতকতার শিকার হয় এবং প্রাণ সংকটে পড়ে। যা তাকে মানসিকভাবে ভেঙ্গে দেয় এবং ঠাণ্ডা মাথার খুনিতে পরিণত করে। রেইস তার মায়ের দেয়া শিক্ষায় অনুপ্রাণিত হয় যা তাকে শেখায় ” কোন ব্যবসা-ই ছোট নয় আর ব্যবসার চেয়ে বড় কোন ধর্ম নাই, ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ পর্যন্ত এই ব্যবসার দ্বারা কারো কোন ক্ষতি না হয়।”
মায়ের দেয়া শিক্ষাকেই রেইস তার জীবনের মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করে। ব্যবসায়ীক মামলায় রেইসকে আপোষহীন ও অপ্রতিরোধ্য শক্তি হিসেবে চিত্রায়নের পাশাপাশি পরিচালক তাকে একজন জনপ্রিয় নেতা হিসেবেও উপস্থাপন করেছেন।এমন জনদরদি ব্যক্তি যে কিনা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করেন না, ধর্মকে লক্ষ্য করে কাউকে সমর্থন কিংবা হানী পৌঁছান না। এছাড়াও মানবতার কল্যাণে তার স্বকীয় অংশগ্রহণ লক্ষণীয়ভাবে তুলে ধরা হয়। এখন ভাবা যেতে পারে রেইস আসলে কি? কখনো মনে হবে রেইস একটি অত্যন্ত চমৎকার আকর্ষণীয় চরিত্র যে জনকল্যাণে কাজ করে, তার জীবনেও প্রেম আসে, তার ও সংসার আছে, প্রিয়তমা স্ত্রীর জন্য সে খাবার রান্না করে, পিতৃত্বের খুশিতে আবেগ তাড়িত হয়। আবার মনে হতে পারে, একজন নীতিতে পক্ক অসাধু ব্যবসায়ী, যে তার প্রতারক বন্ধুদের স্বহস্তে মৃত্যুর স্বাদ দেয়। তারপরও মন্দের পথে যতই ভালো কাজ সাধিত হোকনা কেন, মন্দ কেবল- ই শাস্তিযোগ্য এবং এই সামাজিক মূল্যবোধকে সচল রাখার জন্য চলচ্চিত্রের শেষাংশে রেইস তার অপরাধ স্বীকার করে এবং কাপুরুষের জীবনকে আলিঙ্গন করে পালিয়ে যেতে অস্বীকৃত হয়। ঘটনাক্রমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে রেইসকে গুলি করা হয়।
মুভিতে নওয়াজ ও শাহরুখের অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করবে এটা আগে থেকেই অনুমিত ছিল, হয়েছেও তাই। পরিচালক রেইসের মৃত্যুকে দর্শকের সামনে একজন স্বপ্নবাজ ,নীতিবান মানুষের অসমাপ্ত যাত্রা হিসেবে দেখাতে সক্ষম হয়েছেন। আর পরিচালকের স্বার্থকতা এখানেই।
মূল লেখিকাঃ ফাতেমা আজীজ তুলি। ইংল্যান্ড থেকে।
অনুলিখনঃ মাহবুব সিয়াম , বাংলাহাব টিম