CRIME SCENE- ১০ হত্যাকান্ড ও তাদের ঘিরে থাকা অমীমাংসিত রহস্য

github.com
github.com

ইতিহাসের অমিমাংসিত মৃত্যু, যা জানার পর একা পথ চলতে গিয়ে নিজের ছায়াকেও ভৌতিক মনে হতে পারে।

মৃত্যু মানব জীবনের এক স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। জীবনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে মানুষ মৃত্যুকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে শেখে। প্রকৃতি যদিও রহস্যময়তা পছন্দ করে না , কিন্তু মানুষ নিজেই এমন সব রহস্যময়তার মধ্যে নিজেকে আবৃত করে রাখে যার হদিশ পাওয়া দুস্কর। এই যেমন ধরুন মৃত্যু ব্যাপারটি। পৃথিবীতে এমন কিছু লোকের মৃত্যু নিয়ে আজকে আলোচনা করব যাদের মুত্যুরহস্য আজও রহস্যময়তার চাদরে ঢাকা।

০১। লায়েতিশিয়া টোরেক্স, ১৯৩৭

স্থান: প্যারিসের চার্লটস স্টেশন।

সময়: সন্ধ্যা ৬.৩০।

ট্রেনের জন্য অপেক্ষামান এক যাত্রী। নাম লায়েতিশিয়া তোরেক্স। কোন এক অজ্ঞাত কারণে স্টেশনে আজ তেমন কোন যাত্রীই চোখে পড়ছে না। ট্রেন প্লাটফর্মে এসে পৌঁছামাত্রই লায়েতিশিয়া ট্রেনে উঠার তোড়জোড় শুরু করল। ট্রেনে উঠেই তার চোখে পড়ল বগিতে কোন যাত্রীই নেই। পুরো বগিতে সে একা।  ট্রেন ছাড়ার মুহুর্তেই হঠাৎ পড়িমড়ি করে তিনজন লোক ঐ বগিতেই উঠে এলো। ট্রেন চলার কিছু পরেই  লায়েতিশিয়ার ঘাড়ে ইস্পাতের ধারালো ব্লেডের শীতল ছোঁয়া লাগে। তৎক্ষণাৎই সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ধারণা করা হয় যে, ওই তিনজনই এই হত্যার সাথে জড়িত।  পরবর্তীতে তার মৃত্যুর তদন্ত  ‍শুরু হলে পুলিশের কাছে তোরেক্সের জীবনের অজানা কিছু তথ্য হাতে আসে। গ্যাব্রিয়েল জ্যানেট নামের একজন দক্ষিণপন্থী সাংবাদিকের সাথে তার সম্পর্কের কথা পুলিশ জানতে পারে।  কিন্তু তোরেক্সের জীবনের কিছু রহস্যময়তা তার মৃত্যুকে নতুন দিকে মোড় দেয়। পুলিশের তথ্য মতে, গ্যাব্রিয়েল অস্ত্র চোরাচালানির সাথেও জড়িত। প্যারিসের সবচেয়ে ভয়ংকর সন্ত্রাসী দলেরও সে সদস্য ছিল। তৎকালীন ফ্রান্সের অনেক ধনীই আর্থিকভাবে এই দলটিকে সাহায্য করতো। কিন্তু কি জন্য লায়েতিশিয়াকে হত্যা করা হয়েছিল তার সঠিক কারণ এখনও পুলিশের কাছে অধরা।

 ০২। হ্যারি ওকস, ১৯৪৩

হ্যারি ওকস ছিলেন বাহামার একজন নামকরা স্বর্ণ ব্যবসায়ী ছিলেন। স্বর্ণ ব্যবসার মাধ্যমে তিনি প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন যা ছিল অনেকের কাছে ঈর্ষণীয়। সে সময়ের ইংল্যান্ডের কোনো লর্ডের চেয়ে ও তার আয়ের পরিমাণ ছিল বেশী। পরবর্তীতে কানাডায় তিনি স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকেন। ১৯৪৩ সালের ৮ জুলাই নিজের বাসায় তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। খুনি তাকে হত্যার পর পাশে থাকা গ্যাসোলিনের পাইপ খুলে ফেলে যাতে করে ঘরে আগুন লেগে হ্যারির মৃত্যু হয়েছে বলে সকলে মনে করে। কিন্তু কোনো কারণে সেই আগুন না লাগায় তার মৃতাদেহ অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তে তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। মাথায় এমনভাবে আঘাত করা হয় যে তার মাথার খুলি ফেটে যায়। স্থানীয় পুলিশ অনেক তদন্ত করেও খুনীকে ধরতে পারেনি। হ্যারির জামাতা থেকে শুরু করে ম্যানেজারকে পর্যন্ত এই হত্যাকান্ডের জন্য সন্দেহ করা হয়। কিন্তু পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণের অভাবে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায়নি। পরবর্তী সময়ে জানা যায়, কোনো একটি মাফিয়া দলের সঙ্গে কোন্দলের কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছিল।

০৩। হ্যারল্ড হল্ট, ১৯৬৭

হ্যারল্ড হল্টের জন্ম ১৯০৮ সালের ৫ আগস্ট। তিনি ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ১৭তম প্রধানমন্ত্রী।  বত্রিশ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদি ছিলেন একাধারে অস্ট্রেলিয়ান পার্লামেন্টের সাংসদ এবং সরকারী দলের জ্যেষ্ঠ কেবিনেট মন্ত্রী।

১৯৬৬ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন। কিন্তু তাঁর এই প্রধানমন্ত্রীত্বের বয়স ছিল মাত্র ২২ মাস। ঘটনাটি ঘটে ১৯৬৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর ভোরে। ভিক্টোরিয়া রাজ্যের প্রোটেসিয়া অঞ্চলের  নিকটবর্তী শেভিয়ট বিচের হ্যারল্ড যান প্রতি দিনের মতো সুইমিং করতে। তার পর থেকেই আর সন্ধান মেলেনি সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর। সেদিন থেকে নিখোঁজ এই রাজনীতিবিদের এখনও পর্যন্ত সন্ধান মেলেনি । তন্নতন্ন করে খোঁজা হলো পাহাড়ি সব অঞ্চলে এবং সমুদ্রে। কিন্তু, কিছুতেই তার খোঁজ মিললো না।  ফলে বাড়তে লাগলো গুজবের ডালপালা। কারো মতে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। কারো বা সন্দেহ স্ত্রীর প্রতি রাগ করে গা ঢাকা দিয়েছেন। কারো কারো ধারণা, নিশ্চয় চাইনিজ সাবমেরিন অপহরণ করেছে।

০৪। টম থমসন, ১৯১৭

টম থমসন একজন প্রভাবশালী কানাডিয়ান চিত্রশিল্পী। ১৯১৭ সালের ৮ জুলাই তিনি যান ক্যানু লেকে মাছ ধরতে। ঐ দিন আট দিন পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ কেউ দিতে পারে নি। ৮দিন পর তার মৃতদেহ লেকে ভেসে উঠে। কিন্তু কিভাবে তার মৃত্যু হলো তা এখনও অজানা। অনেকরই অনুমান পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে। এর পরেও কিছু প্রশ্ন থেকে যায়? তার মৃতদেহ পোস্টমর্টেম  করতে গিয়ে দেখা যায়, তার বা পায়ের গোড়লিতে বরশীর সুতো পেঁচানো অবস্থায় রয়েছে। সুতো পেঁচিয়ে পানিতে ডুবে যাওয়ার এই তত্ত্ব তখন অনেকই বিশ্বাস করেন। কিন্তু পায়ের গোড়ালিতে এরকম নিখুঁত পেঁচানো অবস্থায় সুতো পাওয়া অস্বাভাবিক নয় কি? এ থেকে অনেক বিশেষজ্ঞই থমসন আত্মহত্যা করেন বলে মতামত দেন। কিন্তু তার এই মৃত্যুর সঠিক কিনারা আজও করা যায়নি।

০৫। রাওল ওয়েলেনবার্গ, ১৯৪৫

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রাওল ওয়েলেনবার্গ সুইডেনের বিশেষ দূত হিসেবে হাঙ্গেরীতে কর্মরত ছিলেন। এসময় হাঙ্গেরীতে বসবাসরত ২০ হাজার ইহুদীকে হিটলার বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। তাই, ইহুদীদের কাছে তিনি ছিলেন একজন মহানায়ক। সে সময়ের সাবেক সোভিয়েত রাশিয়ার আর্মিরা যখন হাঙ্গেরী দখল করে তখন রাওল ওয়েলেনবার্গকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা এরপর থেকেই তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে সুইডেন-রাশিয়ার একদল বিশেষজ্ঞ তার বিষয়ে ১০বছর ধরে তদন্ত শুরু করে। তারা ধারণা করেন গ্রেফতারের পর ওয়েলেনবার্গকে মস্কোর লুবইয়ানকা কারাগারে অন্তরীণ রাখা হয় এবং কারাগারে থাকা অবস্থায় ১৯৪৭ সালের ৭ই জুলাই তিনি মারা যান বলে তাদের অভিমত। এর বেশি কোন তথ্য জানাতে পারেনি যৌথ এ গবেষকদল।

০৬।  ফ্রেড্রিক ম্যাকডোনাল্ড, ১৯২৬ 

ফ্রেড্রিক ম্যাকডোনাল্ড ১৯২২-১৯২৫ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ান পার্লামেন্টের এমপি ছিলেন। ১৯২৫ সালের পরবর্তী নির্বাচনে তিনি আরেক প্রার্র্থী থমাস জন লের নিকট অল্প ভোটে পরাজিত হন।  ম্যাকডোনাল্ডের বিরুদ্ধে এ সময় নির্বাচনে না দাঁড়ানোর জন্য  থমাস এর নিকট থেকে দুহাজার পাউন্ড ঘুষ নেয়ার অভিযোগ ছিল। কেন্দ্রীয়ভাবে এ বিষয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান করা হচ্ছিল। এই ঘটনার পরপরই ১৯২৬ সালের ১৫ এপ্রিল ম্যাকডোনাল্ড নিউ সাউথ ওয়েল্স রাজ্যের প্রধান জ্যাক লেঙ এর এক জরুরি সভায় যোগ দিতে গিয়ে আর ফিরে আসেন নি। ঐ সভায় যোগ দেয়া অনেক সদস্য ম্যাকডোনাল্ডের সভায় যোগ দেয়ার কথা স্বীকার করলেও সভা থেকে বের হওয়ার পর তাকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি । এমনকি তার লাশটি পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। কারও মতে, আদালতে সাজা হওয়ার ভয়েই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। অন্যপক্ষের মতে, তাকে হত্যা করা হয়েছে। পরবর্তীতে তার একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেলেও তার লাশ না পাওয়ায় মৃত্যুটিকে ধোঁয়াশা করে তোলে। আর একটি অদ্ভুত ব্যাপার ঘটে। থমাসকে এ মৃত্যুর জন্য মূলত দায়ী করা হলেও  ১৯২৮ সালে তাকেও তার বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

০৭। জিমি হোফা, ১৯৭৫

জিমি হোফা ছিলেন আমেরিকান ট্রেড ইউনিয়ন নেতা । লেখক হিসেবেও তিনি সুপরিচিত ছিলেন। ১৯৩২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ব্রাদারহুড টিমস্টার এর একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। এছাড়া ১৯৫৮ সালথেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ট্রেড ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালের ৩শে জুলাই ব্লুমফিল্ড টাউনশিপ এর একটি রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে তিনি রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন । নিখোঁজ হবার সাত বছর পর ১৯৮২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তার অন্তর্ধানের রহস্য আজও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

০৮। জুলিয়া ওয়ালস, ১৯৩১:

ব্রিটিশ অপরাধ বিষয়ক লেখক হিসেবে পরিচিত জুলিয়া ওয়ালসের মৃত্যু রহস্য সে সময় অনেক লেখকের লেখার খোরাক জুগিয়েছিল। উইলিয়াম ওয়েলস তখন ছিলেন একজন বীমা কোম্পানির দালাল। লিভারপুল সেন্ট্রাল দাবা ক্লাবের একজন সদস্য ছিলেন। ১৯৩১ সালের ২০ জানুয়ারির কথা। সেদিন উইলিয়াম দাবা ক্লাবে অবস্থান করছিলেন। তার কাছে এক ব্যক্তি আসে এইট বার্তা নিয়ে ।  বার্তায় তাকে বীমা সংক্রান্ত কাজে এক ব্যক্তি একটি নির্দিষ্ট স্থানে দেখা করতে বলা হয়। বার্তায় পাওয়া সংবাদ অনুসারে জায়গামতো যাবার পর সেই ব্যক্তিকে না পেয়ে তিনি বাড়ির দিকে ফিরছিলেন, কিন্তু বাসায় ফিরে দেখেন কে বা কারা তার স্ত্রী জুলিয়াকে বীভৎস কায়দায় হত্যা করেছে। প্রথম অবস্থায় পুলিশ এই হত্যাকান্ডের জন্য উইলিয়ামকে দায়ী করে। কিন্তু প্রমাণের অভাবে তাকে মুক্তি দিতে হয়। এর কিছুদিন পরে অপর দুই ব্যক্তিকে ওই হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। কিন্তু যথাযথ তথ্য প্রমান না থাকায় আদালত হত্যাকারীকে চিহ্নিত করতে পারেনি ।

০৯।  বিচারপতি জোসেফ ফোর্স ক্র্যাটার, ১৯৩০

আজকে দিনে অনেকের কাছে এই নামটি অপরিচিত হলেও সেসময় জোসেফ ফোর্স ক্র্যাটার ছিলেন  বহুল আলোচিত এক নাম । দূর্নীতিবাজ বিচারপতি হিসেবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। মাফিয়া গ্রুপের সাথেও তার সখ্য ছিল বলে গুজব রয়েছ। ১৯৩০ সালের ৬ই আগস্ট হঠাৎই গায়েব হয়ে যান নিউ ইয়র্ক সিটির এই বিচারপতি। সাথে ছিলেন তার বান্ধবী স্যালি লু রিট্জ।  অনেকেরই  অনুমান মাফিয়া দলে ভিড়ে গেছেন তিনি। আবার কারো কারো মতে,  দূর্নীতি আর মাফিয়াদের কল্যাণে প্রচুর ধন সম্পদের মালিক হন তিনি। ধরা পড়ার ভয়ে এবং উন্নত জীবনের আশায় ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে লুকিয়ে আছেন । অনেক খোঁজাখুঁজি করা হলেও তার অন্তর্ধান  রহস্য এখনও পর্যন্ত উন্মোচিত করা সম্ভব হয় নি।

১০। মেরি মনি

২৪ সেপ্টেম্বর, ১৯০৫ সালের এক সন্ধ্যায় দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের মার্সথাম রেলওয়ে স্টেশনের এক টানেলের কাছে মেরি মনি নামক এক যুবতীর ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রাথমিক তদন্তে এই হত্যাকান্ডকে আত্মহত্যা হিসেবে মনে করা হলেও ময়নাতদন্তে তার গলায় জড়িয়ে থাকা স্কার্ফের নিচে ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। তদন্তে জানা যায় যে, সন্ধ্যা ৭টার দিকে মেরি তার এক বন্ধুকে জানায় যে সে হাটতে যাচ্ছে এবং শীঘ্রই সে ফিরে এসে তার সাথে দেখা করবে। রাত ১০.৫০ এর তার মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। দুই জন সাক্ষী পাওয়া যায় যারা সন্ধ্যের দিকে মেরিকে স্টেশনে হাঁটতে দেখেছে। অন্য একজন  সাক্ষী তাকে এক পুরুষের সাথে  স্টেশনে দেখেছে বলে জানায় এবং আরেকজন সেই পুরুষকে একাকী ট্রেনে উঠেতে দেখেছে বলে জানায়। এই পুরুষকে মেরির প্রেমিক?  কিন্তু পুলিশের তদন্তে মেরির প্রেমিকের কোন অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি। পরবর্তী পুলিশ সন্দেহ করে মেরির ভাই এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত । কিন্তু তার কোন প্রমান পুলিশ খুঁজে পায়নি। ১৯১২ সালে মেরির ভাই আত্মহত্যা করে।

লেখকঃ প্রকাশ কুমার নাথ। পেশায় কম্পিউটার প্রোগ্রামার । ভালো লাগে বই পড়তে আর নানান দেশের খবর সংগ্রহ করতে। এছাড়া গান শুনার নেশা তো রয়েছেই । ইচ্ছে আছে বই লেখার । কালি, কলম আর মগজাস্ত্র এক সুরে বাঁধার অপেক্ষায় আছি ।