কোরিয়ার হাসপাতালগুলোতে কোনও রোগী ভর্তি করার সময় তাদের বাম হাতে একটি সাদা রিস্টব্যান্ড পরিয়ে দেওয়া হয়। এই রিস্টব্যান্ডগুলোতে রোগীর নাম, পরিচয় ও অন্যান্য তথ্যাবলী লেখা থাকে। যখন কোন রোগী মারা যায়, তখন তাদের ডান কব্জিতে একটা লাল রিস্টব্যান্ড পরিয়ে লাশটা মর্গে পাঠানো হয়।
কোরিয়ার এমনই এক হাসপাতালে এক তরুণ সার্জন নাইট শিফটে কাজ করছিল। লাস্ট অপারেশন শেষ করতে করতে রাত দুটোর মতো বেজে গেল। সে তখন ছয় তলায় ছিলো। হাসপাতাল থেকে বেরোনোর জন্য এলিভেটরের দিকে পা বাড়ালো সে।
সারাদিন পরিশ্রমের কারণে ডাক্তার খুব ক্লান্ত ছিল। এই রাত দুইটার সময় হাসপাতাল একদম নিরব। বেশির ভাগ রোগীই ঘুমিয়ে পড়েছে, নার্সদের অনেকেই কাজ শেষে বাসায় চলে গেছে।
এলিভেটরে ঢুকে দেখে ভিতরে আরো একজন মহিলা আছে। মহিলার সাথে টুকটাক কথা বলতে বলতে এলিভেটর দিয়ে নিচে নামতে শুরু করলো। বেজমেন্ট ফ্লোরে নেমে, এলিভেটরের দরজা খুলতেই দেখে সাদা গাউন পরা এক বৃদ্ধ লোক দাঁড়িয়ে আছে দরজার সামনে। লোকটা এলিভেটরে ঢুকতে যাবে এমন সময়ই তাড়াতাড়ি করে দরজা বন্ধ করে দিয়ে পঞ্চম তলার বাটনে চাপ দিল ডাক্তার।
‘এটা করলেন কেন?’ চমকে উঠে জিজ্ঞেস করলো মহিলা।
‘ডাক্তারি জীবনে অনেক অপারেশন করেছি আমি,’ ডাক্তার বললো। ‘অপারেশনের সময় অনেক মানুষকে মরতে দেখেছি। যখন কোন রোগী মারা যায়, তখন তাদের হাতে একটা লাল রিস্টব্যান্ড পরিয়ে দেওয়া হয়।’
কথাটা শুনে চুপ করে রইলো মহিলা।
‘আপনি ওটা দেখেননি?’ আবারো বললো ডাক্তার। ‘ঐ লোকটার হাতে একটা লাল রিস্টব্যান্ড লাগানো ছিল।’
‘লাল রিস্টব্যান্ড…?’ বলে মহিলা তার ডান হাতের কব্জিটা উঁচিয়ে ধরলো। ‘মানে? আমার হাতের রিস্টব্যান্ডের মতো?’
(বিদেশি গল্প অবলম্বনে)