ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার পত্রিকায় ক’দিন আগেই প্রকাশিত হয়েছিল একটি ব্যতিক্রমী ছবি। রাজধানীর রাসেল স্কয়ারে রাস্তার ডিভাইডারের মাঝে করলা গাছের চাষ করে রেখেছে কে বা কারা যেন! উদ্দেশ্য কী? উদ্দেশ্য হচ্ছে যারা দরিদ্র বা ভ্রাম্যমাণ মানুষ, তারা যেন বিনামূল্যে সে সবজিগুলো খেতে পারেন।
উদ্যোগটা অভিনব, সন্দেহ নেই। রাস্তার ডিভাইডারকে এভাবে ভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু কে আছেন এই উদ্যোগের পেছনে। বাংলাহাব তুলে ধরছে সেই মানুষটিরই কথা।
আবদুল আলিম একজন সাধারণ মানুষ,পান্থপথে একটা বেসরকারি কোম্পানিতে (রস লিমিটেড) কর্মরত।সেই সুবাদে পান্থপথেই তিনি থাকেন।তাঁর ছোট বেলা থেকেই মনের মাঝে যে কোন ভালো কাজের আকাঙ্ক্ষা কাজ করে।অনেক মিডিয়া ও পএিকায় বহু মানুষের ভালো কাজ করতে দেখে তার মনে খুবই উৎসাহ জাগে যে তিনিও কিছু করবেন।তার মনে হলো তিনি যদি একটা এদেশ ও সমাজের মানুষের জন্য ভালো কাজ করতে পারিতাম নিজেকে ধন্য মনে করতেন।
ঠিক তখনই তার মাথায় রাস্তার মাঝে ডিভাইডারে সবজি চাষের বুদ্ধি আসে।তার পরিকল্পনা কোম্পানির এক সহকর্মী নুর ইসলামকে জানালেন। সেই সহকর্মী আব্দুল আলিমের এমন উৎসাহ ও আগ্রহ দেখে বীজ বীজ কেনার টাকা দেন।তারপর বীজ লাগানোর জন্য এগিয়ে আসে আরো একজন, স্থানীয় এক বাসার দারোয়ান শাহজাহান মিয়া। শুরু হয় অন্য রকম এক মিশন। দুজনে মিলে ডিভাইডারের মাঝে মাটি দিয়ে সমান করেন।
তারপর বীজ রোপন করেন। বীজ রোপনের এক সপ্তাহ পানি দিই, যত্ন নিতে থাকি।তা্র কয়েক সপ্তাহ পর ডাটা শাক বড় হয়। শাক গরীব লোকদের বিতরণ করি।
অনেক মানুষ আমাদের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। এতে আলিমের মনটা আনন্দে ভরে যায়। এরপরের মিশন রাসেল স্কয়ার।
শাক চাষের পর তারা করলা চাষ করেন।অনেক করলার ফলন হয়েছিল। যেটা নিয়ে ডেইলি স্টারে ছবি প্রকাশিত হয় ও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর আব্দুল আলিমের নজরে আসে। এব্যপারে তিনি বলেন,
প্রথমে আপনার (বাংলাহাব সম্পাদক) মাধ্যমে ডেইলি স্টারের খবর পাই।আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।সেই সাথে ধন্যবাদ জানাই আমাকে যে সকল ভাই উৎসাহ ও সহযোগিতা করেছেন।আমার একটাই স্লোগান, এ দেশ ও সমাজের জন্য ভালো কিছু করতে চাই,তাই আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।ধন্যবাদ।
আব্দুল আলিমের জন্য আমাদের শুভ কামনা।
লেখকঃ আব্দুল আলিম
সম্পাদনাঃ জুলকারনাইন মেহেদী