রক্ত শীতল করা ১০টি ভৌতিক অণুগল্প

১। ড্রেসিং টেবিল
গ্লাসে ক্রমাগত টোকার শব্দ শুনে ঘুম ভেঙ্গে গেল। প্রথমে মনে হয়েছিল জানালায় হয়ত কেউ আছে কিন্তু পরে খেয়াল করে শুনি শব্দটা আসছে ড্রেসিং টেবিলের বড় আয়নাটার ভেতর থেকে!

২। ওয়ালপেপার
ঘুম থেকে উঠে আবিষ্কার করলাম ফোনের ডিসপ্লেতে কেউ একজন আমার ঘুমন্ত ছবি ওয়ালপেপার হিসাবে সেট করে দিয়েছে। কিন্তু আমি একা থাকি আর রুমের দরজাও ভেতর থেকেই বন্ধ!

৩। ০২:০৭
মেয়েটা তার ছুরির মত ধারালো নক দিয়ে আমার বুক চিরে হৃদপিন্ডটা বের করে আনার আগে আমার দেখা শেষ দৃশ্যটা ছিল দেয়ালে টাঙ্গানো ডিজিটাল ঘড়িটাতে ০২:০৭ বাজে। ধড়পড় করে ঘুম ভেঙ্গে উঠে বসে ঘড়ির দিকে তাকাতে দেখি এখন ০২:০৬, হঠাৎ করে দরজা খোলার ক্যাৎক্যাৎ শব্দ পেলাম!

৪। নাইটি
কানের কাছে বউয়ের আদুরে গলায় ফিসফিসিয়ে ‘অ্যাই! উঠো না… আমার ঘুম আসছে না!’ শুনে ঘুম ভেঙ্গে গেল। জেগে উঠে দেখি তার প্রিয় গোলাপী নাইটিটা আমার হাতে ধরা, যেটা সহ তাকে পুড়িয়ে মেরেছিলাম!

blank

৫। আন্ডার দ্য বেড
সোফায় ঘুমানো ছেলেকে কোলে করে এনে তার বিছানায় শুইয়ে দেয়ার সময় হঠাৎ জেগে উঠে আমার গলা জড়িয়ে ধরে বলল- ‘আব্বু, দেখো তো আমার খাটের তলায় কোন ভূত আছে কিনা!’ আমি একটু হেসে তার আবদার মেটাতে খাটের তলায় তাকাতেই দেখি আমার ছেলের মতই দেখতে অবিকল একই রকমের একটি ছেলে ভয়ে গুটিসুটি মেরে সেখানে শোয়া, আমাকে দেখেই সাহস ফিরে পেয়ে বলল- ‘আব্বু, দেখো না আমার খাটের উপর কে জানি শুয়ে আছে!’

৬। কাঁধের ভূত
রাগের মাথায় বউকে খুন করে ফেলার পর থেকেই ভয়ে ভয়ে ছিলাম কখন না আবার আমাদের চার বছরের ছোট্ট ছেলেটা তার মায়ের কথা জিজ্ঞাসা করে বসে, কিন্তু অবাক করা ব্যাপার হল দুই মাসে একবারও সে তার মায়ের কথা জিজ্ঞাসা করেনি। দুই মাস পর একদিন হঠাৎ করেই জিজ্ঞাসা করল- ‘আব্বু, অনেক দিন ধরেই দেখছি, আম্মুকে তুমি সব সময় কাঁধে নিয়ে ঘোরো কেন?’

৭। হাসি
ছোট বাচ্চাদের হাসির মত মধুর শব্দ এই পৃথিবীতে আর কিছুই নেই। যদি না এটা আপনি রাত ৩টায় শোনেন আর বাসায় আপনি ছাড়া আর কেউ থাকে না!

blank

৮। চিনি
কলিংবেলের শব্দ শুনে দরজা খুলতেই দেখি পাশের ফ্ল্যাটে উঠা নতুন ভাড়াটিয়ার বউ দাঁড়িয়ে, আমার দিকে তাকিয়ে হাসিমুখেই বলল- ‘ওহ ভাইয়া? স্নেহা ভাবী কই? কাল চা বানানোর সময় আমাদের চিনি ছিল না দেখে তার কাছ থেকে এক কাপ চিনি নিয়ে গিয়েছিলাম, আজ ফেরত দিতে এলাম’। চিনি ভর্তি কাপ ফেরত নিয়ে নিয়ে আমি বেকুবের মত দাঁড়িয়ে রইলাম, কারণ দুই বছর আগে কার এক্সিডেন্টে স্নেহা মারা যাবার পর থেকে বাসায় আমি একাই থাকি!

৯। বউ
গত এক বছর ধরেই হচ্ছে ব্যাপারটা- অফিস থেকে বাসায় ফেরার পর এক মেয়ে আমার দরজা খুলে দেয়, রান্না-বান্না করে রাখে, আমার খাবার বেড়ে দেয়, ভাবসাব দেখে তাকে আমার বউ বলেই মনে হয়। অথচ আমি কখনো বিয়েই করিনি, তারচেয়েও বড় ব্যাপার আমি ব্যতীত তাকে আর কেউ কখনো দেখেও নি!

১০। প্রতিবিম্ব
ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করতে করতে বেসিনের পাশে আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। কিন্তু একি! আমার প্রতিবিম্বের গায়ে লাল টিশার্ট কেন, আমার গায়েরটা তো কালো!

[গল্পগুলো ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত]