চীন, অর্থনীতি, যান্ত্রিক কলাকৌশল, শিক্ষায় যেমনি এগিয়ে যাচ্ছে তেমনি এগিয়ে যাচ্ছে জনসংখ্যা আর পরিবেশ দূষণে! চলুন দেখি এমন কিছু উদ্ভট ব্যাপারের ছবি যা শুধুমাত্র দেখা যাবে চীনে!
সুপারমার্কেট ওয়ালমার্টে খোলামেলাভাব বিক্রি হচ্ছে হাঙর আর কুমির। যদিও হাঙর আর কুমিরের অংশবিশেষ চাইনিজদের কাজে লাগে, সুপারমার্কেটে কিন্তু আস্ত প্রাণীগুলোই পাওয়া যায়!
চীনের ট্রাফিক জ্যাম কিন্তু বেশ কুখ্যাত! কখনো কখনো এমন জ্যাম লেগে যায় যে দুদিনেও ছুট্টি মেলেনা! তাই জ্যামে আটকে পরা যাত্রীদের জন্য রয়েছে সুব্যবস্থা! তারা চাইলেই একটি বিশেষ সংস্থা থেকে দুজন লোক ভাড়া করতে পারে। তাদের মধ্যে একজন সেই যাত্রীকে মোটরবাইকে করে গন্ত্যব্যে পৌছে দিবে, আরেকজন জ্যামের মধ্যিখানে বসে গাড়ি পাহারা দেবে এবং জ্যাম পার করে গাড়ি বাড়িতে দিয়ে আসবে।
টিবাকস হচ্ছে আমেরিকান স্টারবাক্সের চাইনিজ সংস্করণ। স্টারবাক্সে যেমন মেলে হরেক রকম কফি, এখানে মেলা নানান রঙের নানান ঢঙের চা!
ক্যানে করে সফট ড্রিংকস বা বিয়ারের মতো করে বিক্রি হয় তাজা নির্মল বাতাস! তাও বিভিন্ন ফ্লেভারে! চীনের বাতাস দূষিত বলেই এই ব্যবস্থা!
তেলাপোকার ফার্ম কিন্তু বেশ জনপ্রিয় চীনে। বিভিন্ন চাইনিজ মেডিসিনে ব্যবহার করা হয় তেলাপোকা! তাই চীনের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠছে তেলাপোকার ফার্ম। অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করে অনেকেই লাভবান হয়েছেন। সবার মতে, তেলাপোকার ব্যবসা অত্যন্ত লাভজনক!
চীনে বিশাল এক জায়গা জুড়ে রয়েছে পাথরের বন। আর সেই পাথরগুলো ২৭০ মিলিয়ন বছর পুরনো। ভাবা যায়?
বাসায় যে জামা পরে ঘুমোতে যান, সেগুলো নিশ্চয়ই আপনি রাস্তায় পরে বেরুবেননা। নিজের কাছেও কেমন লাগবে, মানুষও কেমন অন্য চোখে দেখবে। তবে চীনে কিন্তু এমনটা নয়! রাতের পোশাক “পাজামা” পরেই কিন্তু অনেকে রাস্তায় বেরোয়, দিনের কাজগুলো সেরে নেয়!
পৃথিবীর অনেক দেশেই মেয়েরা সামরিকবাহিনীতে যোগদান করে। তবে অন্যান্য দেশের চেয়ে ভিন্ন একটি নিয়ম রয়েছে চীনে। সামরিকবাহিনীর সদস্য হওয়ার সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পরেও আরেকটি পরীক্ষা রয়েছে। তা হলো, রূপের পরীক্ষা! অসাধারণ রূপবতী না হলে আপনি যতই যোগ্য হননা কেন, সামরিকবাহিনীতে যোগদান করার স্বপ্ন আপনার অধরাই থেকে যাবে!
ভেন্ডিং মেশিনে চকলেট, চিপস অন্যান্য আরো অনেক কিছুর সাথে পাওয়া যাবে তাজা কাঁকড়া! তাই চাইলেই আপনি ভেন্ডিং মেশিনে পয়সা ফেলে পেতে পারেন প্লাস্টিকের বক্সে রাখা একটি জ্যান্ত কাঁকড়া!
বিভিন্ন ছাত্রাবাস এবং অফিসের বাইরের স্থান ঘেরা থাকে শক্ত নেট দিয়ে! যাতে চাইলেই কেউ হতাশাগ্রস্থ হয়ে আত্মহত্যা করতে না পারে!
তথ্যসূত্র ও ছবিঃ ইন্টারনেট