আজ বিশ্ব পাই(π) দিবস। মানবসভ্যতার এবং অগ্রগতির সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এই পাই (π) এর। পাই এর পুরো মান আমরা এখনও জানি না, কিন্তু প্রথম তিন ডিজিটকে ধরে নিয়ে মার্চ মাসের ১৪ তারিখ পাই (π) দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। গাণিতিক ব্যাখার পাশেও পাই (π) এর আরো অনেক মজার গল্প আছে। আসুন, মার্চের ১৪ তারিখ এরকম ১৪টি ছোট গল্প বা তথ্য জেনে নিই।
১। ধারণা করা হয়, মানব সমাজ গত ৪০০০ বছর ধরে পাই(π) সম্পর্কে জানে। কিন্তু এটি প্রকাশের জন্য গ্রীক π হরফটি ব্যবহার শুরু হয়েছে ১৭০০ শতকের পরে।
২। গণিতবিদ উইলিয়াম জোনস সর্বপ্রথম ১৭০৬ সালে পাই(π) প্রতীকটির প্রচলন করার প্রস্তাব দেন।
৩। গ্রীক পাই(π) প্রতীকটিকে জনপ্রিয় এবং সর্বজনগৃহীত করে তোলেন সুইস গণিতবিদ লিওনার্দো ইউলার।
৪। গ্রীক π (piwas) হরফ সেই ভাষার ১৬তম হরফ। আবার ইংরেজি P (Pi) এই ভাষার ১৬তম হরফ।
৫। আলবার্ট আইনস্টাইন এর জন্মদিনও ১৪ই মার্চ।
৬। স্যান ফ্রানসিস্কোর এক্সপ্লোরেটোরিয়াম নামের জাদুঘরে ১৯৮৮ সালে প্রথম পাই(π) দিবস পালন শুরু করেছিলেন ল্যারি ‘শ।
৭। প্রায় ২১ বছর পর, ২০০৯ সালের ১২ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১৪ মার্চকে জাতীয় পাই দিবস হিসেবে পালনের অনুমোদন দেয়।
৮। পাই(π) দিবস পালন শুরু হয় রাত ১:৫৯ এ। কারণটা লুকিয়ে আছে পাইয়ের মানের ভিতর (পাইয়ের মান ৩.১৪১৫৯……)।
৯। ২০১০ সালে প্রথম পাই(π) দিবস উপলক্ষে গুগল ড্যুডল প্রকাশ করে।
১০। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির উদ্যোগে ২০০৬ সাল থেকে এদেশে পাই(π) দিবস উদযাপন শুরু হয়।
১১। পাই(π) এর মানের প্রথম কয়েক লাখের মধ্যে “১২৩৪৫৬” এই ক্রম পাওয়া যায় না।
১২। পাই(π) এর ৬.৪ বিলিয়ন পর্যন্ত মান আমরা জানি। এই জানা মান না থেমে একটানা বলতে থাকলে একজন মানুষের ১৩৩ বছর সময় লাগবে।
১৩। মিশরের গীযা’র পিরামিড বানানোতে পাই(π) এর মানের মত হিসাব ব্যবহার করা হয়েছে।
১৪। পাই(π) দিবস পালনের জন্য সত্যি সত্যিই পাই (এক ধরণের কেক) খাওয়ার প্রচলন আছে।
এখন তাহলে এই দিবস এর জন্য ফেইসবুকে কি স্ট্যাটাস দেওয়া উচিত?
“চলো সবাই,
পাই(π) দিবসে
পাই খাই!”