ট্যাবলেটের প্যাকেট দিয়ে বানিয়ে ফেলুন দারুণ শো-পিস

ঘর গোছানো হলো মেয়েরদের পছন্দের কাজ গুলোর মধ্যে একটি। তাদের ঘর বিশেষ করে শোবার ঘর, ড্রয়িংরুমকে পরিপাটি করে গুছিয়ে রাখতে তারা বেশ উৎসাহী এবং এর জন্য তারা ছেলেদের চেয়ে সব সময়ই এগিয়ে। কিন্তু সেই পরিপাটি করা ঘরকে নষ্ট করার জন্য পেছনে লেগে থাকে কিছু ময়লা সামগ্রী। যেমন ট্যাবলেটের খালি প্যাকেট, ময়লা কার্ডবোর্ড আরো কত কি!

সেই ময়লা বা অপ্রয়োজনীয় ট্যাবলেট এর প্যাকেটকে দিয়েই যদি আমাদের ঘরের সৌন্দর্য্যকে আরো পরিপাটি করে তোলা যায় তবে কেমন হয়?
হ্যাঁ, আজকে আমি আপনাদের জানাবো কিভাবে পরিত্যাক্ত ট্যাবলেট এর প্যাকেট দিয়ে শোপিস বানানো যায়। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক ট্যাবলেট এর পরিত্যক্ত প্যাকেট থেকে কভাবে শোপিস বানানো যায়।

ট্যাবলেট এর শোপিস বানাতে যা যা লাগবে 

blankশুরুতে আমরা জেনে নিব ট্যাবলেট এর সোপিস বানাতে কি কি লাগবে

১ : ট্যাবলেট এর খালি প্যাকেট [ আমি নলাকার ও গোলাকার ট্যাবলেট এর খালি প্যাকেট ব্যবহার করেছি। ]
২ : কার্ডবোর্ড
৩ : রঙিন কাগজ
৪ : রং
৫ : কুন্দন পাথর, সুতো
৬ : গাম

যেভাবে ট্যাবলেট এর শোপিস বানাতে হবে
১ : ট্যাবলেট এর শোপিসের জন্য শুরুতেই লাগবে কয়েক ধরনের ডিজাইন করা ট্যাবলেট এর খালি প্যাকেট। ডিজাইন এর জন্য বেছে নেয়া যায় গোলকার, ডিম্বকার, অথবা নলাকার ট্যাবলেট এর প্যাকেট। এখানে আমি নলাকার ও গোলাকার টাই বেছে নিয়েছি। প্রতিটি ডিজাইনের প্যাকেট ৪/৫টা করে নিতে হবে।

blank২ : এরপর প্রতিটি প্যাকেট কেটে ট্যাবলেট এর ডিজাইনের অংশটুকু কেটে আলাদা করে ফেলি।
৩ : এরপর কার্ডবোর্ডকে বর্গাকারে কেটে নেই। এবং এতে সাদা অথবা পছন্দের রঙিন কাগজ গাম দিয়ে লাগাই।এভাবে ৩টা কার্ড বানাই।

blank৪ : এরপর হোলাকার বা নলাকার ট্যাবলেট এর ডিজাইন গুলো কার্ডবোর্ডে গাম দিয়ে লাগাই। এভাবে ৩টা কার্ডেই লাগাই।
৫ : এরপর পছন্দমতো ফেব্রিকের রঙ সেই ট্যাবলেট এর প্যাকেটে ওপর আস্তে আস্তে লাগাই। এরপর এটিকে শুকাতে দেই। অন্যদিকে,
৬ : একটি রেশমি সুতাতে কিছু পুতি।,কুন্দন পাথর দিয়ে মালার মতো বানাই, এববগ তা কার্ডবোর্ডে গাম এর সাহায্যে লাগাই।

blank৭ : এরপর একটি কার্ডের পেছনের এক প্রান্তে ১টি কাঠের অর্ধেক অংশ গাম দিয়ে লাগিয়ে অপর অংশটি অন্য একটি কার্ডের সাথে লাগাই। এভাবে ৩টি কার্ডকে সংযুক্ত করি।

এবং এভাবেই তৈরী করা হয় ট্যাবলেট এর প্যাকেট দিয়ে শোপিস। পাঠকদের সুবিধার জন্য আমজ।বেশ কয়েকটি ছবি দিয়েছি,আশা ভালো লাগবে।

লেখিকাঃ মিলি আক্তার ( চন্দ্রপ্রভার রাত্রি), শিক্ষার্থী, ফার্মেসি বিভাগ, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিট্টি, বাংলাদেশ