রুপক
গল্প সাহিত্য
গল্প- জন্মদাগ
রোজ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দশ বছরের শিশু বাচ্চা রুপক তার বাবাকে জিজ্ঞেস করে বাবা আমার কপালে এত বড় কাটা দাগ কিসের! কিভাবে কাটা গেল আমার কপাল? বাবা কখনো উত্তর দেয় না । বলে-“তুমি বড় হও একদিন গল্প করতে করতে তোমায় সব বলে দিব”। কিন্তু না আজ আর ছেলে মানতে চায় না। কারন প্রতিদিন একটা না একটা অযুহাতে বাবা তার কাছ থেকে প্রশ্নের উত্তর দেওয়া থেকে বিরত থাকে! এদিকে ছেলেকে যে সত্য ঘটনাটা বলবে সে সাহস বা শক্তি কোনটাই তার হয়না! কারন এই একটা প্রশ্নের সাথে মিশে আছে তার আবেগ, ভালোবাসা,অনুভূতি, চিরতরে হারানোর বেদনা। কিন্তু এই ছোট্ট শিশুকে আর কত ভুলিয়ে রাখবে?সত্যটা একদিন সে নিশ্চয় জানতে পারবে? সে দিনই বা বাবা কি উত্তর দিবে? অনেকগুলো প্রশ্ন যখন তীরের মত তার মস্তিষ্ক রক্তাক্ত করতে লাগলো তখন সে নিকশ কালো রাতের নিশ্চুপতাকে বরণ করে নিল। কারন এই সব প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার জন্য মানসিক সুস্থতা ধরকার। আজ তা হয়ত তার নেই, কিন্তু মনবল ঠিকিই আছে। কারন হারানোর বেদনা তাকে আজ কঠিন পাহাড়রের মত স্থিরতা দান করেছে। যদিও একটা সময় পাহাড়ের ও কান্না পায়! আর তা ঝর্ণা বলে আমরা সাধারণে উপভোগ করি!