
উপন্যাসটির ঘটনাপ্রবাহ
এক বছরের ব্যবধানে কোনো কারণ ছাড়াই বোস্টন শহরে বীভৎসভাবে খুন করা হয় দুজন মহিলাকে। খুনের ধরন থেকে পুলিশ এটুকু নিশ্চিত যে কোনো সাধারণ ছাপোষা লোকের কাজ নয় এটা। কেননা খুনগুলো যে করেছে সেই ব্যক্তিটি মেডিক্যাল জ্ঞানসম্পন্ন এবং নিঃসন্দেহে নিজের কাজে ভীষণ দক্ষ। বোস্টনের সংবাদপত্রগুলো নাম না জানা এই পিশাচটার নাম দেয় ‘সার্জন’। বলাই বাহুল্য বোস্টনের মেয়েদের মধ্যে খুব দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়তে থাকলো সার্জন আতঙ্ক।
এদিকে নড়েচড়ে বসে বোস্টন হোমিসাইড ডিপার্টমেন্ট। ব্যাপারটা তাদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হলো ডিটেক্টিভ টমাস মুর এবং তার পার্টনার জেন রিজোলিকে। শুরু হয় সার্জনকে খুজে বের করার অভিযান। হাতে তেমন কোনো সূত্রও নেই যা ধরে আগাতে পারে ডিটেক্টিভদ্বয়। অন্যদিকে লাশের অটোপসি করে ডা. আইয়েলস বিস্ময়কর সব তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে থাকে তাদেরকে। নিজের কাজে ডাক্তার আইয়েলস এক কথা অদ্বিতীয়া। ল্যাবরেটরিতে লাশের সাথে সাথে ব্যবচ্ছেদ হতে থাকে খুনির মনস্তত্বও। পাশাপাশি থেমে নেই সার্জন। খুন করার বিষয়টিকে সে শৈল্পিক পর্যায়ে নিয়ে গেছে। রাতের অন্ধকারে শিকার করছে বোস্টনের মেয়েদেরকে।
ঘটনাচক্রে ডিটেক্টিভ মুর ও রিজোলি এক বিস্ময়কর তথ্য আবিষ্কার করে। দু’বছর আগে সাভানাতে অ্যান্ড্রু ক্যাপরা নামে এক মেডিক্যাল স্টুডেন্ট দক্ষ সিরিয়াল কিলার হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল, এবং বেশ কয়েকজন মেয়ে শিকার হয়েছিল তার এই নৃশংস খেলায়। মজার ব্যাপার হলো, বোস্টনের বর্তমান আতঙ্ক সার্জনের সাথে সাভানার সেই সিরিয়াল কিলার অ্যান্ড্রু ক্যাপরার খুনের ধরন ছিল অদ্ভুতভাবে হুবহু একই রকম, যেন ক্যাপরাই খুনগুলো করছে। অবশ্য তা হলে মন্দ হতো না, কিন্তু অদ্ভুত বিষয়টি হলো–দুই বছর আগে অ্যান্ড্রু ক্যাপরার ভবলীলাসাঙ্গ হয়েছিল তারই সর্বশেষ শিকার সার্জন ক্যাথরিন কর্ডেলের হাতে। ক্যাথরিনকে নিজের নৃশংসতার শিকার বানাতে এসে দূর্ভাগ্যের ফেরে কর্ডেলের গুলিতে ক্যাপরার মৃত্যু হয়।
তাহলে? কীভাবে বোস্টনের নব্য ত্রাস সার্জন দুই বছর আগে মারা যাওয়া অ্যান্ড্রু ক্যাপরার শিকার করার পন্থাটি হুবহু অনুসরণ করছে? কী করে সে ক্যাপরা কপিকাটে পরিণত হলো? কী সম্পর্ক রয়েছে এই দুই খুনীর মধ্যে? আর দুই বছর পর কোথা থেকেই বা উদয় হলো এই খুনী?

উপন্যাসটি সম্পর্কে ব্যক্তিগত মতামত

লেখিকা সম্পর্কে কিছু কথা
বই সম্পর্কিত কিছু তথ্য

বিভিন্ন বিদেশি পত্রিকায় প্রকাশিত মন্তব্য

মূল উপন্যাসটি ইংরেজি ভাষায় লেখা হয়েছে। তাই ইংরেজি বই পাঠের অভ্যাস না থাকলে বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হবে পাঠককে। তবে ঘাবড়ানোর কিছুই নেই, পাঠক চাইলেই বইটির বাংলা অনুবাদ সংগ্রহ করে পড়তে পারবেন। বইটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন সান্তা রিকি। বাতিঘর প্রকাশনি থেকে ২০১৬ সালের অমর একুশে বইমেলাতে প্রকাশিত হয়েছে। অনুবাদগ্রন্থের পৃষ্ঠা সংখ্যা ৩৩৬। অনুবাদ বেশ ভালো বলে সুনাম কুড়িয়েছে।
Feature image source: tessgerritsen.com