ফটোগ্রাফার লেনার্ট নিলসন তার জীবনের বহু বছর কাটিয়ে দিয়েছেন মানব ভ্রূণের বেড়ে ওঠাকে ক্যামেরাবন্দী করার জন্য। ভ্রূণ থেকে একটি পূর্ণাঙ্গ মানবদেহে পরিণত হওয়াকে স্পষ্ট ছবির মাধ্যমে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। ১৯৬৫ সালে তিনি লাইফ ম্যাগাজিনে এই বিষয়ের উপর ১৬ পৃষ্ঠার একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেন। আর এতেই রাতারাতি বিশ্বে তিনি পরিচিতি লাভ করেন।
ফোটোগ্রাফার লেনার্ট নিলসন
এই ভ্রুণের ছবি তোলার জন্য নিলসনকে কিন্তু কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি। তিনি তার সবচেয়ে পারফেক্ট ছবিটি তুলতে পেরেছিলেন একটি সাইটোস্কোপের সাহায্যে। তিনি একটি সাইটোস্কোপ, ন্যানো ক্যামেরা, ও তার সাথে একটি ক্ষুদ্র লাইট লাগিয়ে সেটাকে একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভে স্থাপন করেন তার ভ্রূণটির দিকে নজর রাখার জন্য। সাইটোস্কোপ হচ্ছে একটি মেডিকেল ইন্সট্রুমেন্ট যা মানবদেহের ব্লাডারের পরীক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হয়। তার এই চেষ্টার জন্য মানুষ প্রথমবারের মতো একটি ভ্রুণের বেড়ে ওঠা দেখতে পায়।
দেখুন একটি জীবনের একটু একটু করে বেড়ে ওঠার যাত্রা!
সবচেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন শুক্রাণুটি এগিয়ে যাচ্ছে ডিম্বাণুর দিকে।
সেই আকাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত!
পিতার আরো অন্য ২০০ মিলিয়ন শুক্রাণুকে পরাজিত করে বিজয়ী শুক্রাণুটি প্রবেশ করছে মায়ের ডিম্বাণুতে।
শুক্রাণুর এই চোখা মাথাটি বহন করছে সকল জেনেটিক বৈশিষ্ট্য।
এক সপ্তাহ পর, নিষিক্ত ডিম্বাণুটি তথা ভ্রুণটি ফেলোপিয়ান টিউবের মধ্য দিয়ে ভাসতে ভাসতে নিচে গর্ভে নেমে আসে।
আরো একসপ্তাহ পর, ভ্রূণটি ইউটেরাসের দেয়ালের সাথে লেগে যায়।
২২ দিন বয়সী ভ্রুণ। এর ধূসর অংশটি একসময় হবে শিশুর মস্তিষ্ক।
১৮ দিন থেকে শুরু হবে তার হার্টবিট।
নিষিক্তকরণের ২৮ দিন পর।
৫ সপ্তাহ পর। ভ্রূণটি এখন ৯ মিলিমিটার লম্বা। চোখ, নাক ও মুখের ছিদ্র তৈরি হয়েছে।
৪০ দিন পর। ভ্রুণ এখন প্লাসেন্টা দ্বারা ইউটেরাসের সাথে যুক্ত।
৮ সপ্তাহ পর
১০ সপ্তাহ পর। চোখের পাতা অর্ধেক তৈরি হয়েছে। কিছুদিনের মাঝেই পুরোপুরি তৈরি হয়ে যাবে
১০ সপ্তাহের মাঝেই ভ্রুণটি নিজের হাত নেড়ে তার পারিপার্শ্বিক অবস্থা সমন্ধে ধারণা নিতে পারবে
১৬ সপ্তাহ
রক্তবাহী নালীগুলো দেখা যাচ্ছে
১৮ সপ্তাহ। ভ্রুণটি এখন বাইরের আওয়াজ শুনতে পাবে
১৯ সপ্তাহ
২০ সপ্তাহ। ভ্রুণটি এখন ২০ সেন্টিমিটার লম্বা। মাথায় চুল গজানো শুরু হবে।
২৪ সপ্তাহ
৬ মাস
৩৬ সপ্তাহ, এক মাস পরেই সে একজন পূর্ণাঙ্গ মানবশিশুরূপে জন্ম গ্রহণ করবে
ফোটোগ্রাফার লেনার্ট নিলসন : Lennart_Nilsson